হাসিমুখের সেই মানুষটি

সতীশ কৌশিক (১৩ এপ্রিল, ১৯৫৬ - ৯ মার্চ, ২০২৩) অভিনেতা হিসেবে নিজের জাত তিনি অনেক আগেই চিনিয়েছিলেন, মানুষ হিসেবেও সকলের বড় কাছের ছিলেন পরিচালক সতীশ কৌশিক। তাঁর হঠাৎ প্রয়াণ বলিউডকে অনেকটাই রিক্ত করে দিল। লিখছেন ঋষিতা মুখোপাধ্যায়

৭৯ সালের নয় অগস্ট পশ্চিম এক্সপ্রেসে করে মুম্বইয়ে পা রেখেছিলেন গোল-গাল, শ্যামবর্ণ এক ব্যক্তি। পকেটে তাঁর আটশো টাকা, তাও আবার জামাইবাবুর কাছ থেকে ধার করে আনা। সেই ব্যক্তি চেয়েছিলেন অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পেতে। তা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সতীশ চন্দ্র কৌশিকের সেই চাওয়াটা যে একেবারেই অলীক স্বপ্ন নয়, তা কয়েক বছরের মধ্যেই টের পাওয়া গিয়েছিল। ১ ৯

১৯৫৬ সালের ১৩ এপ্রিল হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের ধনৌন্দাতে জন্মান সতীশ। তাঁর ছোটবেলা কেটেছে দিল্লির করৌলবাগে।

দিল্লির কিরোরী মল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা। দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার পাশাপাশি পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তনী সতীশ, মুম্বইয়ে এসে সকালে কাজ করতেন টেক্সটাইল মিলে আর সন্ধেটা কাটত পৃথ্বী থিয়েটারে। সেখানে ক্লাস করতেন নাসিরুদ্দিন শাহ, ওম পুরীর মতো অভিনেতাদের কাছে। এভাবে চারবছর কেটে গিয়েছিল। আশার আলো প্রায় ছিলই না বলতে গেলে, কিন্তু হঠাৎই এল ‘জানে ভি দো ইয়ারো। সেখানে একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ছবিটির স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন। সেবছরই মানে ১৯৮৩তে বেশ কয়েকটি ছবি করেন সতীশ। সেই তালিকায় আছে ‘মাসুম’, ‘মান্ডি’, ‘উয়ো সাত দিন’। তবে যে চরিত্রটি তাঁকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা দিয়েছিল তা হল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র ‘ক্যালেন্ডার’। তারপর থেকে বলিউডের কমেডি চরিত্রে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছিলেন। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছেন। সেই তালিকায় আছে ‘রাম লখন’, ‘আন্টি নং ওয়ান’, ‘সাজন চলে সসুরাল'। অনিল কপূর হোক বা গোবিন্দ, নায়কের পাশের জায়গাটা তাঁরই ছিল। তবে একটা মর