সুপারস্টার ও লিড চরিত্রের অবসেশন কাটিয়ে

তাঁর কাজ সর্বত্র প্রশংসিত। নায়ক না হয়েও ‘পদ্মাবত’, ‘নীরজা’র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকের মনে ছাপ ফেলেছে। তাঁর অভিনীত ‘রকেট বয়েজ’ এমি অ্যাওয়ার্ডস-এ নমিনেশন পায়। জিম সার্ভ বললেন তাঁর সিনেমা ও জীবনের গল্প। শুনলেন আসিফ সালাম

আপনার জন্ম তো মুম্বইয়ের পার্সি পরিবারে। কিন্তু অনেকেই আপনাকে প্রবাসী বলে ভুল করেন। সেটা আমার সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য? যাই হোক, আসলে মহারাষ্ট্রে জন্মানোর পর আমার পরিবার আমাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে শিফট করে। তখন আমার তিন বছর বয়স। তারপর আবার আট বছর বয়সে মুম্বইতে ফিরে আসি। পরবর্তীকালে আমি উচ্চ শিক্ষার জন্য আমেরিকাতে যাই। এর ফলে হয়তো আমার আদব-কায়দা বা উচ্চারণে একটা বিদেশি টান রয়েছে। সেই কারণেই অনেকের হয়তো এই ভুল ধারণাটা আছে। 

আপনার কি মনে হয়ে এই প্রবাসী উচ্চারণ ও ব্যক্তিত্বের জন্য বলিউডে আপনাকে টাইপকাস্ট করা হচ্ছে? সেটা তো দর্শক বলবে। আমার কাজ ভাল অভিনয় করে যাওয়া। তবে আপনি যদি টাইপকাস্ট বলতে এও বোঝাতে চান যে আমাকে শুধু পার্শ্বচরিত্রের জন্য ভাবা হয়, লিডের জন্য নয়, তা হলে আমি বলব এটা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কারণ, আমি মনে করি একটা ছবি হল একটা গোটা টিমের কাজ। সেখানে কোনও লিড থাকে না। আজ আমরা যতদিন না এই সুপারস্টার এবং লিড চরিত্রের অবসেশন কাটিয়ে উঠতে পারব, ততদিন ভাল কাজ ডেলিভার করা সম্ভব হবে না। আমাদের ছবিতে লিড একজনই হওয়া উচিত, সেটা হল ছবির গল্প। কনটেন্ট যদি একটা ছবিকে নেতৃত্ব দেয়, তা হলে সেই ছবির সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সুপারস্টার আছে, তাদের নিয়ে হইহই হচ্ছে, সব ঠিক আছে। কিন্তু ভাল কনটেন্ট উপহার দিতে পারছি কি? সেটা ভাবনার বিষয়।