অবসর নেওয়ার পর অধ্যাপক রত্নেশ্বর সান্যাল আমাদের গড়িয়া হাউজিং কমপ্লেক্সের তিন তলায় একটি ফ্ল্যাটে চলে এসেছেন, তিন মাস হল। সিটি কলেজে ইতিহাস পড়াতেন। আমি ওঁকে চিনি আত্মীয়তার সূত্রে। ওঁর ডাকনাম অনুসারে ‘বকু জেঠু' বলেই ডাকি।
জেঠু এখানে আসার কিছু দিন পরেই অজানা কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কয়েক দিন। ফিরেছেন শুনে দেখা করতে গেলাম রোববার সকালে। পুব দিকের ঘরটায় আসন্ন শীতের নরম রোদ মাখছিলেন বকু জেঠু। একটা ইজিচেয়ারে দেহ এলিয়ে। বাঁ হাতে খবরের কাগজের রবিবাসরীয়র পাতা ধরা ছিল। পাশের ছোট তেপায়া টেবিলে ডিশের উপর এক কাপ চা। আমাকে দেখে খুশি হয়ে বললেন, “কী রে, সানডে-তে ক্রিকেট মাঠে না গিয়ে আমার ঘরে আবির্ভূত হলি যে ?”
বললাম, “অসুখের খবর শুনে তোমায় দেখতে এলাম। শরীর ফিট এখন?” “হ্যাঁ,” বলে জেঠিমার উদ্দেশে হাঁক দিলেন, “শুনছ? অনীক এসেছে। ওর জন্য কেক আর চা পাঠাও।” জেঠিমা রান্নাঘর থেকে জবাব দিলেন, “কেক ফুরিয়ে গেছে। চায়ের সঙ্গে চানাচুর পাঠাচ্ছি।”
আমি বললাম, “ক্রিকেট খেলতে যাইনি। কারণ, অঞ্জন গেছে বালিতে। ওর মামার বাড়ি। ওর বোলিং না ফেস করলে ব্যাট করে মজা পাই না। আর তোমার কাছে বিশেষ করে এলাম পুরনো দিনের ইন্টারেস্টিং গল্প শুনতে। তোমার কথা বাড়িতে উঠলেই আমি বলি, ‘হিজ় স্টোরি মানেই জ্যান্ত হিস্ট্রি।'”
জেঠু বললেন, “দ্যাখ অনীক, তোর মুখের আদলের সঙ্গে বেশ মিল ছিল, এমন একটি ছেলের কথা আজ মনে পড়ছে। কথাটা অনেক দিন আগের। কিন্তু ছেলেটার নাম স্পষ্ট মনে আছে। দীপ্তেন্দ্র সান্যাল। শুধু আমার পদবি বলে নয়। ওই নামে আমার প্রথম যৌবনে এক জন বিখ্যাত লেখক ছিলেন। তিনি ‘অচলপত্র' নামে এক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। দেশের নামী লোকদের ঠাট্টা বিদ্রুপ করে তটস্থ করে রাখতেন।”
11211 একটু থেমে জেঠু এক চুমুক চায়ে গলা ভিজিয়ে নিলেন। ওঁর মেয়ে চুমকি আমার জন্য চা-চানাচুর রেখে হাসি মুখে তাকিয়ে চলে গেল। গল্প শুরু হয়ে গেছে বুঝে আমি আর কোনও কথা বললাম না। এখন থেকে শেষ পর্যন্ত জেঠুর জবানিতে চলবে ওঁর অভিজ্ঞতার কাহিনি।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 5 Aug, 2024 من ANANDAMELA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 5 Aug, 2024 من ANANDAMELA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।