যে সময়ের কথা বলছি, তখন যে দেশ সবে স্বাধীন হয়েছে। তাই সরকারি অফিসের বিভিন্ন নতুন নতুন বিভাগে নিয়োগের ভীষণ ধুম। পেটে কলেজ-পাশ বিদ্যে থাকায় আমারও চাকরি জোটাতে তেমন কষ্ট হল না। চাকরিটি যেমন-তেমন নয়। সরকারের জিয়োলজিক্যাল সার্ভে বিভাগে জমি জরিপের তদারকি করার কাজ। তবে আমার নিয়োগ হল দেশের একেবারে পূর্ব প্রান্তে উত্তর পূর্ব ফ্রন্টিয়ার এজেন্সিতে, যা পরবর্তী কালে অরুণাচল প্রদেশ নামে পরিচিত হয়। প্রথমটায় বাড়ি থেকে এত দূরে একলা থাকতে হবে ভেবে মুষড়ে পড়লেও সেখানে গিয়ে চোখ ও মন দুই-ই জুড়িয়ে গেল।
যেখানে পোস্টিং হল, জায়গাটি ছিল তখনকার সাদিয়া ফ্রন্টিয়ার নামের ডিভিশনের মায়োদিয়া পাসে। পাহাড়ের গায়ে গায়ে কিছুটা করে সমতল জায়গা পরিষ্কার করে এক একটি ব্রিটিশ ধাঁচের বাংলো তৈরি করা হয়েছে। বাংলোর জানলা খুললেই চোখে পড়ে পাহাড়ের ঢাল-ভরা পাইন, দেবদারু, শাল, আরও কত কত আকাশ-ছোঁয়া গাছ। আর তারও সামনে বরফে ঢাকা মিশমি পাহাড়ের রেঞ্জ। সকাল হলে আর্দালি ও কয়েক জন কর্মচারী নিয়ে গাড়ি করে বেরিয়ে পড়া আর দিনের শেষে আলো থাকতে থাকতে বাংলোয় ফিরে আসা ছিল আমার কাজ। কোনও কোনও সময় বেশি গভীর জঙ্গলের মধ্যে গেলে বা পাহাড়ের উপর দিকে উঠলে তাঁবু ফেলেও কিছু দিন করে থাকতে হত। সব মিলিয়ে বেশ রোমাঞ্চকর জীবন। ধীরে ধীরে আমার মতো মফস্সলের ছেলেও কয়েক মাসের মধ্যে ঘর ছেড়ে আসার দুঃখ ভুলে গেল ।
দোষের মধ্যে কেবল একটি, কথা বলার লোক পাওয়া যায় না। পাহাড়ের কোলের হুনলি গ্রাম থেকে সরকারি বাংলোগুলো একটু দূরে এবং বেশি উঁচুতে থাকায় প্রয়োজন না পড়লে গ্রামের লোকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হত না। এমন সময় আমার সঙ্গে আলাপ হল ম্যাকফারলন সাহেবের। পুরো নাম, জোসেফ ডি ম্যাকফারলন। ঠিক কেমন করে তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, সে কথা আর মনে নেই। তবে সাহেব ছিল হাতে গোনা সেই সাদা চামড়ার মানুষদের মধ্যে এক জন, যারা জাতে ইংরেজ হলেও ভারতবর্ষকে সত্যিকারের ভালবেসেছিল।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 5 Aug, 2024 من ANANDAMELA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 5 Aug, 2024 من ANANDAMELA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।