খুব জোরে বৃষ্টি নামতেই এক দৌড়ে বাঁ পাশের একটা নার্সারির দোকানে ঢুকে খু • পড়ল বুম্বা। স্কুল যাওয়ার পথে রোজই দেখে দোকানটা। কত ধরনের গাছ দোকান জুড়ে। তার দাদু বেঁচে থাকলে এই দোকানের মালিকের সমবয়সি হতেন, বোধ হয়। দোকানদারদাদু কপাল কুঁচকে তাকালেন ওর দিকে। তাঁর দোকানে এই ভাবে ঢুকে পড়া তিনি ভাল ভাবে নেননি। বুম্বা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই বোধ হয়, জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা দাদু, তোমার দোকানে এত রকমের গাছ রয়েছে, টাকার গাছ নেই?” কপালের ভাঁজ আরও গভীর হল ভদ্রলোকের। তার পরেই কী যেন ভেবে নিয়ে সপ্রতিভ মুখে বললেন, “আছে তো। টাকার গাছও আছে। তুমি নেবে? কেনার টাকা আছে তো?
বুম্বা তার ব্যাগের সামনের পকেট থেকে একটা প্যাকেট বের করল। এই প্যাকেটে টাকা আছে। গত কাল তার জন্মদিনে এই টাকা সে উপহার পেয়েছে। আজ অলকেশ স্কুলে এলে টাকাটা ওকেই দিয়ে আসত। অলকেশ বুম্বার ক্লাসের বন্ধু। খুবই গরিব ঘরের ছেলে। হাজার ভালবাসলেও ড্রয়িং খাতা, পেনসিল এ সব কেনার ক্ষমতা ওর নেই। বুম্বা তাই ঠিক করেছিল, ওর জন্মদিনে পাওয়া টাকা অলকেশকে দিয়ে দেবে। কিন্তু এখন ভাবল, ‘এই টাকা দিয়েই আপাতত গাছটা কিনি। টাকা পড়া শুরু হলে তখন তো অলকেশকে দেওয়া যাবেই।”
“ওই গাছ থেকে টাকা পড়বে রোজ?” জিজ্ঞেস করল বুম্বা “পড়বে তো। আলবত পড়বে।” “সত্যি সত্যি টাকা পড়বে!”
এই ‘টাকার গাছ' শব্দটা আজও বাবামুখে শুনেছে সে। মা কী একটা কিনতে চাইতেই বাবা বললেন, “এ বারে মনে হচ্ছে একটা টাকার গাছই লাগাতে হবে আমায়।”
তার মানে টাকার গাছ বলে সত্যিই কিছু আছে! না থাকলে, এই দাদুই বা কোথা থেকে দিতেন তাকে! অথচ এত দিন বাবা-মা জানতই না কথাটা। আশ্চর্য! মা চির কালই তাকে বোকা ভাবে। সব সময় বলে, “আমার বুম খুব সরল। যে যা বলে, তাই বিশ্বাস করে।”
আজ মা-ও বুঝবে, সে মোটেই বোকা নয়। বরং অন্য বাচ্চাদের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 5 Sep, 2024 من ANANDAMELA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 5 Sep, 2024 من ANANDAMELA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।