মা “নুষের কত আগে পৃথিবীতে এসেছি আমরা, কেউ বলে আঠাশ কোটি বছর, আবার কারও মতে বত্রিশ কোটি বছর এখানে আমাদের বাস। তুলনায় মানুষ তো নেহাতই সেদিনের শিশু। কিন্তু তাই বলে, মানুষকে ঘৃণা করি না তো! অথচ মানুষ, বিশেষ করে মেয়েমানুষ কী প্রবল ঘৃণাই না করে আমাদের! মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েদের সামনে একটা চিতাবাঘ এসে দাঁড়ালে তারা যতটা ভয়ার্ত হবে, আমাদের কাউকে দেখলে তারও বেশি হয়ে উঠবে। এত ভয় আসে কোথা থেকে? অলক্তিকাকে দেখেও আমার একই প্রশ্ন জাগত। কারণ, আমি টের পেতাম অন্য সব বিষয়ে ও যতই আলাদা হোক, আমাদের ব্যাপারে ওর ঘৃণা আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। কিন্তু তাতে ওর প্রতি আমার মোহ, মায়া, আকর্ষণের বিন্দুমাত্র ঘাটতি ঘটেনি, ঘটা সম্ভব ছিল না। নিউরোবায়োলজির একটা ল্যাব থেকে পালিয়ে এসে, সাত ঘাটের জল খেতে খেতে যেদিন থেকে ওই চোখধাঁধানো বাথরুমের একটা শেলফের পিছনে জায়গা পেলাম, সেই দিন থেকেই দিনে দেড়-দুই ঘণ্টা অলক্তিকার সান্নিধ্য আমাকে স্বর্গীয় অনুভূতি দিত। স্বর্গ কেমন আমি জানি না। মানুষের মতো ‘স্বর্গ-স্বর্গ’ করে হেদিয়েও মরি না আমরা, কিন্তু দুটো বাড়ি পিছনের একটা মেজ়েনিন ফ্লোরে জায়গা পেয়ে গিয়েও আবার যে এই বাথরুমে ফিরে এলাম, তার কারণ কেবল অলক্তিকা।
যখন ধীরে ধীরে ও নগ্ন হত আমার সামনে, ওর গলার শেষ থেকে শুরু হওয়া মালভূমি, ওর নাভির উপত্যকা, সুঠাম কোনও গাছের মতো ওর দুই পা, সরস্বতীর হাতের বীণার মতো অনাবৃত হাত দু'খানা, মোহর ভরে রাখা ঘটের মতো ওর নিতম্ব, আমাকে চেতনায় মানুষ করে তুলত। আমার চারটে ডানা, তিন জোড়া পা, এমন এক উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপত, যা এর আগে কখনও অনুভব করিনি। আমার সেই অনুভবের বিন্দুমাত্র আন্দাজ পাওয়া অলক্তিকার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সত্যি বলতে, ও আন্দাজ পাক তাও আমি চাইনি। একবার বাথরুম পরিষ্কারের সময় ও যখন কাজের মেয়েটিকে আরও বেশি করে ফিনাইল ঢালতে বলছিল, যাতে কোথাও অবাঞ্ছিত কেউ লুকিয়ে থাকতে না পারে, আমার মনে হচ্ছিল ওর টার্গেট আমি, শুধু আমি।
هذه القصة مأخوذة من طبعة April 17, 2023 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة April 17, 2023 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
শিখিয়েছে কে? উন্নতির পথ দেখিয়ে দিয়েছে কে? তুমি।”
সমরেন্দ্রর জীবনাবসানের পর, প্রযুক্তি আর মানুষের সম্পর্ক নিয়ে এক মনস্তাত্ত্বিক যাত্রা। পেশাদারি অ্যাপ, আধুনিক শ্মশানসেবা, আর মানবিকতার দ্বন্দ্ব এই গল্পের মূল সুর। জীবনের শেষে, সম্পর্কের হিসেব কি আসলেই মুছে যায়?
রবীন্দ্র-অনুবাদে অনুভবী স্বর
উইলিয়াম রাদিচের জীবন এক ভাষাপ্রতিভার জ্বলন্ত উদাহরণ, যার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে বিশ্ব সাহিত্যে প্রতিষ্ঠার দৃঢ় সংকল্প ছিল। তাঁর অনুবাদ কর্ম এবং সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মানবতার স্পর্শ রেখে গেছেন।
দাপট বাড়ছে হিন্দির
মাতৃভাষা না-জানা যে সবচেয়ে বড় অশিক্ষা, এই সহজ সত্যটুকু বাঙালি ভুলতে বসেছে।
শিশুমনস্তত্ত্ব ও ভিন্ন দৃষ্টির ইতিহাস
দু'টি ভিন্নধর্মী প্রযোজনা। একটি শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে ছোটদের নাটক, অন্যটি ইতিহাসনির্ভর।
রোবট
সমরেন্দ্রের ছেলে, অনুপম, বিদেশে থাকলেও প্রযুক্তির মাধ্যমে তার বাবা-ছেলের সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে। তবে, পুরনো দিনের স্মৃতির মাঝে সমরেন্দ্র নিজের পছন্দে জীবন কাটাতে চান, আর অনুপম তার বাবার প্রতি চিন্তিত হলেও, আধুনিক দুনিয়ায় ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করছে।
সুখের লাগিয়া
বইটি রচনার নেপথ্যে আছে লেখকের জীবনের অনেক দুঃসহ অভিজ্ঞতা ও তা থেকে বেরিয়ে আসার স্মৃতি। জীবন সংগ্রামের হতাশায় যারা ন্যুব্জ, তাদের ভরসা দেবে সেই আশায় লেখা হয়েছে এই বই।
আবু এব্রাহামের কার্টুন: দ্বিবিধ বাস্তব
এই প্রদর্শনীতে দর্শক হাঁটতে থাকেন ইতিহাসের বিবিধ উত্তাল দশকের স্মৃতিচিহ্নের মধ্য দিয়ে।
আবেগের স্মারকলিপিকার
শতবর্ষে রাজ কপূর। যতটা বিতর্কিত, ততটাই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তাঁর ভূমিকার যথার্থ মূল্যায়ন এই সময়ে অতি জরুরি।
ক্রান্তিকালের অভিজ্ঞতালব্ধ লেখকসত্তা
চলতি বছরের শেষ মাসের প্রথম সংখ্যা সমরেশ বসুর সাহিত্য-জীবন ও বিবিধ কর্মের এক জীবন্ত দলিল। ছ'টি লেখাই সুপাঠ্য। ‘কালকূট' ছাড়াও সমরেশ বসু 'ভ্রমর' ছদ্মনামে বারোটি উপন্যাস লিখেছিলেন ১৯৭৫-১৯৮৫ পর্যন্ত। সমরেশ বসুর শতবর্ষে ‘ভ্রমর’ বিষয়ে কিছু কথা থাকলে ভাল হত।
বিশ্বাসভঙ্গের রাজনীতি
মণিপুরের যথার্থ পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে কথা না-বললে সমাধান অসম্ভব।