*হারাজা কাব্য ভালবাসতেন। শিল্পও তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। কবিদের তিনি বড়ই ভালবাসতেন, তাঁদের কদর করতেন। ভালবাসলে কাছে পেতে মন চায়। মহারাজাও কবিদের কাছে পেতে চাইলেন। তাঁর মহার্ঘ অলঙ্কারসমৃদ্ধ হস্তধৃত হয়ে কবিরা যৎপরোনাস্তি আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন। তাঁরা যেন বেঁচে গেলেন। শুধু তাঁরা জানলেন না কবে কখন তাঁদের কাব্যের মৃত্যু হল। যে-কজন কবি মহারাজের আঙুল গলে পড়লেন, তাঁরা মরলেন কিন্তু তাঁদের কাব্য বাঁচল। সেই রাজহস্তধৃত কবিরা তাঁদের কাব্যকীর্তি দিয়ে মহারাজাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললেন। তিনি বুঝলেন রাজপোষ্য কবিরা সামান্য চাটুকারিতা ছাড়া উপাদেয় কিছুই উৎপন্ন করতে পারে না। তিনি হস্ত উপুড় করে তাঁদের ফেলে দিতে চাইলেন কিন্তু তাঁরা আঁকড়ে ধরে থাকলেন। কেউ আবার রাজহস্তধৃত হয়ে প্রাণহীন বেঁচে রইলেন। এঁদের রাজবন্দনা তাঁর কাছে অসহ্য হয়ে উঠল। কেন বেঁচে আছি? না থাকলে কার কী হবে? কোথা থেকে এসব চিন্তা এসে তাঁকে ভারাক্রান্ত করল। তাঁর এই সব প্রশ্নের এমন কোনও সদুত্তর তিনি পেলেন না যা তাঁকে সংসারে যে ভাবে আছেন সেই ভাবে থেকে যেতে উৎসাহিত করতে পারে। মহারাজ বৃদ্ধও হয়েছিলেন। সংসারের আড়ম্বর, আভিজাত্য, অনুযোগ অভিযোগ সর্বোপরি দৈনন্দিন পৌনঃপুনিকতা শেষ পর্যন্ত তাঁর জীবনকে ক্লান্ত করে তুলল। যেন বসিয়ে রাখল দিনক্ষয় দেখানোর জন্য। শেষে একদিন একমাত্র পুত্রের হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে মহারাজা আর রানিমা বানপ্রস্থে গেলেন। কিন্তু মহারাজের কাব্যপ্রীতি উৎকৃষ্ট মূল্যে দেশে-দেশান্তরে বিক্রিত তল।
هذه القصة مأخوذة من طبعة April 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة April 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।