![তেইশ নম্বর বালিঘাট তেইশ নম্বর বালিঘাট](https://cdn.magzter.com/1415613292/1718278689/articles/qmwGjboka1718364122075/1718364349442.jpg)
একটি মানুষ লাশ হবে আজ রাতে। বলা ভাল, রাতে খেয়েদেয়ে ঘুমোতে গিয়ে আর উঠবে না। এই ভয়ঙ্কর রাক্ষসের দেশ ছেড়ে চলে যাবে। কখন কী ভাবে কেমন করে, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কেউ থাকবে না। দু'দণ্ড শান্তি কিংবা একমুঠো আনন্দ দেবে বলে এই দেশে এনেছিল যারা, তারাও কথা রাখেনি, তাই চলে যাওয়ার আগে বলে যাওয়ার দায়ও সে অনুভব করে না। সে যা অনুভব করে, সেই দমচাপা অনুভূতিটাও কাউকে বলতে পারে না। বলতে বোধহয় চায়ওনি। পরদিন সকালের কাজকর্ম বাড়ির লোকেরা সম্পূর্ণ করবে কিংবা দু'বার চায়ের পাট চুকে যাবে, তখন হয়তো চায়ের আড্ডায় পলাশের কথা মনে পড়লে পলাশের খোঁজ করা হবে। যে-শিশুটা ওকে প্রথম বাবা বলে ডেকেছিল, শুধু সেই শিশুটাকে পাঠানো হবে তার বাবাকে জাগিয়ে তোলার জন্য। এই শিশুই তার বাবার কাছ থেকে গতকাল রাক্ষসের দেশ ছাড়িয়ে জন্নতের নদী দেখানোর মতো একটা দুর্দান্ত প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিল।
এর পর মৃতের বাবা মহিদুল ভীষণ বিরক্ত হয়ে ওর মাকে বলবে, “নবাবি ছেলে নিজের কাজকর্ম ছেড়েছুড়ে এখনও বিছানায় পড়ে! এতে কি দুনিয়া চলবে!”
কথার ঠেস যে ঘরের বউ, সে কথা বুঝতে অসুবিধে হয় না জশিলার। জশিলা খাতুন থেকে জশিলা বিবি হয়েছে বছর দশেক হয়ে গেল। এখন সে তিন ছেলের মা। এত দিনে সংসারের সবার চাহিদা বুঝেছে। সেই অনুযায়ী ঘরের কাজ করে, মন জুগিয়ে কথা বলে, ফাইফরমাশ খাটে, ঠিকঠাক সব কিছু জুগিয়েও দেয়। পরিশেষে সে তার শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদ-স্বামী সবাইকে এক রকম ভয়ই করে কিংবা সমীহ করে। তাই তার শয্যাসঙ্গী যখন বহুক্ষণ ধরে বিছানা কামড়ে পড়ে থাকে, তখনও সাহসী হয়ে বলতে পারে না, ঘটে যাওয়া ঘটনার শুধু প্রত্যক্ষদর্শী সে নয়, একজন অবহেলিত জীবও বটে। মহিদুল অধৈর্য এবং রাগের মিশেলে ঘুমন্ত ছেলের পাছায় কষে লাথি মারার উদ্দেশ্যে দ্রুত পলাশের বেডরুমের দিকে এগিয়ে যায়। ঠিক আগের রাতের সীমান্তে, অদূরে খন্দে ভরা মরা নদীতে আগুনে হলকাগুলো আশপাশের অন্ধকারকে যখন ঝলসে দিচ্ছিল, আর ভয় পাওয়ানো বোমা ফাটার বিকট শব্দে ভোরের শিরশিরে হাওয়া কেঁপে কেঁপে উঠছিল, তখনই পলাশ জেগে ওঠে। দ্রুত বারান্দায় এসে ত্ৰস্ত চোখে পুব আকাশের দিকে চেয়ে অস্থির ভাবে পায়চারি করে। দেখে, গুটিকয়েক দিনচরা পাখি আর্তস্বরে চরাচরে বেঘোরে বিক্ষিপ্ত উড়ে আসে। ওরা সব ভিতু।
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
![কবিতার খাতা কবিতার খাতা](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/1xgfGrgKe1737657875676/1737658057063.jpg)
কবিতার খাতা
দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।
![কলের গাড়ি কলের গাড়ি](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/R9KmXYeMy1737657598780/1737657869174.jpg)
কলের গাড়ি
এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।
![উপেনবাবুর মেয়ে উপেনবাবুর মেয়ে](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/Zizx7F8GL1737659126780/1737659331284.jpg)
উপেনবাবুর মেয়ে
গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।
![ভালবাসার গল্প ভালবাসার গল্প](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/7fv3dzwv51737658368724/1737658555349.jpg)
ভালবাসার গল্প
বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।
![তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/FFVnsu0DI1737659332115/1737659437137.jpg)
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।
![সুখলালের কিস্সা সুখলালের কিস্সা](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/Nf1TOJHvn1737656848597/1737657141615.jpg)
সুখলালের কিস্সা
সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।
![১৯৬৪ ১৯৬৪](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/30YGJCyq11737658059732/1737658362819.jpg)
১৯৬৪
শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।
![রক্ষক রক্ষক](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/FcZZGsLh81737658606740/1737658893125.jpg)
রক্ষক
আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।
![ফুলের তোড়া ফুলের তোড়া](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/maUImPJai1737658899404/1737659121982.jpg)
ফুলের তোড়া
বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”
![সমাজের শিকড়ে সমাজের শিকড়ে](https://reseuro.magzter.com/100x125/articles/8064/1961487/-xQvqwfz61737659445604/1737659530346.jpg)
সমাজের শিকড়ে
মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।