বর্ষা এসে পড়েছে, সঙ্গে বেড়েছে বর্ষাকালীন রোগের প্রকোপ ও সংক্রমণজনিত নানাবিধ সমস্যা। এই স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুস্থ থাকার বিধান রয়েছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বর্ণিত ঋতুচৰ্যা অধ্যায়ে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাবিজ্ঞান ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত এবং এই শাস্ত্রের মূল লক্ষ্য হচ্ছে— সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষা এবং রোগীর রোগের চিকিৎসা করা। ঋতুচর্যায় প্রতিটি ঋতুর জন্য আলাদা আলাদা ঋতুচর্যার সুবিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় যা ঋতুকালীন রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে সুস্থ থাকা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
কী এই ঋতুচৰ্যা: এককথায় আয়ুর্বেদ মতে ঋতুচর্যা হল ঋতুভিত্তিক বেশ কিছু নিয়মাবলি যা প্রকৃতি, আবহাওয়া ও দেহের ভারসাম্য রক্ষাকারী তত্ত্বের সাম্যতা বজায় রাখে এবং দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আয়ুর্বেদবিজ্ঞান মনে করে শুধু রোগ-জীবাণুই একমাত্র অসুখের উৎপত্তির বা অসুস্থতার প্রধান কারণ নয়। রোগের প্রধান কারণ দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব। যখন কারও দেহের অনাক্রম্যতা হ্রাস পায় তখনই সে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে নাহলে তো আমরা প্রতিনিয়ত কোটি কোটি জীবাণুর মধ্যেই বসবাস করছি। এই হিসেবে তাহলে সকলেরই রোগ হওয়ার কথা।
তাই চিকিৎসার পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধক ও অনাক্রম্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগকে সমূলে উৎপাটন করাই হচ্ছে এক সম্পূর্ণ চিকিৎসা।
‘রোগা সর্বাদপি মন্দাগ্নি’ আয়ুর্বেদ মতে প্রায় সমস্ত রোগের মূল কারণ হিসেবে মন্দাগ্নিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুক্তি সাপেক্ষে বিভিন্ন সংহিতা জুড়ে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির জঠরাগ্নি যদি সাম্যাবস্থায় থাকে তাহলে সেখনে রোগ হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যায়। আয়ুর্বেদ ফিজিওলজি মতে বর্ষাকালে দেহে পাচকরসের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় ফলে মানুষ মন্দাগ্নিপ্রবণ হয়ে পড়ে। গৃহীত খাদ্যদ্রব্য পূর্ণরূপে পরিপাক হওয়ার আগে পুনরায় কোনওপ্রকার খাদ্য গ্রহণ করা একেবারেই উচিত নয়। এককথায় এই বর্ষাকালে খিদে পেলে তবেই খান। গুরুপাক খাদ্য এড়িয়ে চলুন।
সেবনীয় পথ্য এই ঋতুতে সহজপাচ্য খাদ্যদ্রব্য সেবনীয়। ডালের মধ্যে মুগ ডাল, সব্জির মধ্যে পটল, সজনে, ডুমুর ইত্যাদি খাওয়া যায়। এছাড়া মধু, আসব-অরিস্ট, সুপক্ক মাংস সেবনীয়।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 23 July 2022 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 23 July 2022 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।