গৌরী দে স -রস্বতী নদী সত্যই রহস্যময়ী। দেখা গেছে এই নদী | বারবার আবির্ভূতা হয়েছে আবার বারবার অন্তর্ধান হয়েছে। অন্য কোনও নদীর ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটি দেখা যায় না। ঋগ্ভাষ্যে বলছে সরস্বতী শব্দের দুটি অর্থ। ‘দেবীরূপা’ ও ‘নদীরূপা’—–—দ্বিবিধা হি সরস্বতী বিগ্রহবন্দেবতা নদীরূপাচ। ঋগ্বেদও বলছে— ‘সরস্বতী সব ইত্যুদকনাম সর্তেস্তদ্বতী’ প্রাচীন ঋষিগণ বলছেন, ‘সরস’ শব্দের প্রাচীন অর্থ ‘জল’। আর অন্য একটি অর্থে ‘সরস' মানে হল ‘জ্যোতি’। এ জন্য বেদে সূর্যের আর এক নাম ‘সরস্বান’। সূর্য ও জলের মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। এই দুয়ের যোগসূত্র ধরে সরস্বতীকে বলা হয় ‘জ্যোতির্ময়ী জলদেবী'।
আর একটি পুরাণ বলছে সরস্বতী, লক্ষ্মী ও গঙ্গা ছিলেন বিষ্ণুর তিন স্ত্রী। কিন্তু দেখা গেল বিষ্ণু সরস্বতীর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন। তখন গঙ্গা সরস্বতীকে অভিশাপ দিলেন সে যেন নদী রূপে পৃথিবীতে নেমে আসে। সরস্বতীও ছাড়লেন না। তিনিও গঙ্গাকে অভিশাপ দিলেন সে-ও যেন নদী হয়ে মর্তে অবতরণ করে। দেখা গেল এরপর দুটি নদীর সৃষ্টি হল।
আবার বেদ বলছে, ব্রহ্মার মুখ থেকে সরস্বতীর জন্ম হয়। ব্রহ্মার আদেশেই সরস্বতী নদী হয়ে মর্তে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সরস্বতীর অন্তর্ধান ও আবির্ভাবের ব্যাপারে এক পুরাণে পাওয়া যায়, যেহেতু ব্রহ্মার মুখ থেকে সরস্বতীর জন্ম- -তাই যখনই ব্রহ্মা তাঁকে ডেকেছেন তখনই সরস্বতী উদয় হয়েছেনঅর্থাৎ মর্ত থেকে অন্তর্ধান করেছে।
এ তো গেল পুরাণ কাহিনি, এবার আসা যাক ভৌগোলিক তত্ত্বে। হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে সরস্বতী প্রবলবেগে পাঞ্জাবের সিন্ধুনদের এক শাখা রূপে বয়ে চলল। খরস্রোতা, বিপুল কলেবরা এই নদীর উভয় তীর ছিল উর্বর। নদীর জল ছিল যেমন স্বাদু, তেমনই স্বচ্ছ ও স্বাস্থ্যপ্রদ।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 21 January 2023 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 21 January 2023 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
অবাধ্য ভিক্ষু ও তথাগত
অবাধ্যতার শাস্তি—মিত্রবিন্দকের গল্পে তথাগত শোনালেন কিভাবে গুরুজনদের অমর্যাদা তাকে মহাসমুদ্রের যন্ত্রণায় নিয়ে যায়। একাকী দ্বীপে সুখভোগের পরিণামে নরকবাস ও ক্ষুরচক্রের দুঃখ—জীবনের শিক্ষা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।
মননে চিন্তনে পরাবিদ্যা
চিন্তা একটি জটিল এবং রহস্যময় প্রক্রিয়া, যা অনুভূতি থেকে উদ্ভূত হয়। মাখনলাল রায়চৌধুরীর \"চিন্তাশক্তি: তাহার সংযম ও সাধনা\" বইয়ে চিন্তার উৎপত্তি, স্মৃতি, একাগ্রতা এবং পরোপকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে, জীতেন্দ্রনাথ সেনের \"আত্মসমর্পণ যোগ\" গ্রন্থে আত্মসমর্পণ যোগের মর্ম এবং ভগবানের প্রতি চিত্তশুদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। দুটি বই-ই মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
তাঁতশিল্প, শিল্পী সমাজ
বই: টানা পোড়েন: তাঁতশিল্প ও শিল্পী সমাজ লেখক: পলাশ পান মূল্য: ১০৫০ টাকা | প্রকাশক: আনন্দ প্রকাশন তাঁতশিল্পের ঐতিহ্য, সংকট, এবং সম্ভাবনার এক বিস্তৃত আখ্যান। প্রাচীন বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস, লোককথা, এবং আধুনিকতার চাপে তার রূপান্তর তুলে ধরেছেন লেখক। বইটি গবেষকদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ এবং সাধারণ পাঠকের জন্য গর্বের এক উপহার।
ভূতেরও ছত্রিশ জাত
ভূতের গল্পের রহস্যময় দুনিয়ায় প্রবেশ করুন! তিমিবাবু আর অপরাজিতা নন্দীর কথকতায় প্রকাশ পেয়েছে ৩৬টি অনবদ্য ভূতের গল্প। পার্ক স্ট্রিটের গোরস্থান থেকে শুরু করে ইয়াকোহামার ডল হাউস, রোমানিয়া, এবং আফ্রিকার মতো আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভৌতিক সমস্যার সমাধানে দক্ষ এই জুটি। লেখিকা দ্বৈতা হাজরা ≡ গোস্বামী মজা, ব্যঙ্গ আর আতঙ্ক মিশিয়ে তৈরি করেছেন এমন গল্প, যা সব বয়সের পাঠকের মন জয় করবে। তিমিবাবু আর তেত্রিশ ভূত—এখনই সংগ্রহ করুন! মূল্য: ২৫০ টাকা। (কমলিনী, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা-৭৩)।
থাইরয়েডের সমস্যা সামলাবেন কীভাবে?
থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ হলে বিরাট বিপদ! ধীরে ধীরে অগোচরে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। দেখা দিতে পারে ব্লাডপ্রেশার, স্মৃতিভ্রম, ওজনবৃদ্ধি, চুল পড়া, বন্ধ্যাত্ব, হার্টের অসুখ, সন্তানের বুদ্ধিজনিত বৈকল্যের মতো বহু গুরুতর সমস্যা। কীভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়? আধুনিক চিকিৎসা ও ডায়েট নিয়ে লিখেছেন এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডাঃ রানা ভট্টাচার্য। কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কথা জানিয়েছেন ডাঃ গৌতম আশ। এছাড়া থাইরয়েড টিউমার ও ক্যান্সার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ইএনটি, হেড অ্যান্ড নেক সার্জেন ডাঃ মনোজেন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য। বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ ও গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের অসুখের চিকিৎসা নিয়ে জরুরি তথ্য দিলেন গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ পল্লবকুমার মিস্ত্রী।
হোমিওপ্যাথিতে সারে থাইরয়েডের অসু
থাইরয়েড আমাদের গলার সামনে থাকা একটি প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি যা শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি থাইরক্সিন (টি ফোর) এবং ট্রাইআয়োডো থাইরোনাইন (টি থ্রি) হরমোন উৎপাদন করে। থাইরয়েডের অসুখ যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম, বিভিন্ন উপসর্গ যেমন ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, এবং ঘামসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে থাইরয়েডের রোগগুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। থাইরয়েডের অসুখের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যা শরীরের ভারসাম্য পুনঃস্থাপন করে।
প্রেগন্যান্সিতে থাইরয়েডের অসুখ
থাইরয়েডের সমস্যা গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত, বা সময়ের আগে ডেলিভারি। হাইপোথাইরয়েডিজমে হরমোনের অভাবে মেনস্ট্রুয়েশন সাইকেল বা ওভ্যুলেশন সমস্যা হতে পারে, যার ফলে গর্ভধারণে বাধা পড়ে। অন্যদিকে, হাইপারথাইরয়েডিজমে অতিরিক্ত হরমোনের কারণে মেনস্ট্রুয়েশন অনিয়মিত হতে পারে এবং গর্ভধারণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের সমস্যা চিনতে রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে তাজা টিএসএইচ ও হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য থাইরয়েডের পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কবির নতুন পাওয়া নাতনি
রবীন্দ্রনাথ নিজে কবিতাটি পড়ে পারুল দেবীর হাতে তুলে দিলেন উপহার হিসেবে— ‘ভাইফোঁটা' কবিতা। এছাড়া নিজের লেখা অনেক বই কবি দিয়েছিলেন পারুলকে।
উদারনীতির স্থপতি
মনমোহন সিং ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ। ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, অবিভক্ত পাঞ্জাবের গাহ গ্রামে জন্মগ্রহণকারী এই কীর্তিমান ব্যক্তি দেশের উদার অর্থনৈতিক নীতির জনক হিসেবে পরিচিত। কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ড থেকে শিক্ষা লাভের পর, তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে অগ্রসর হয়ে, সরকারি নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে বেসরকারি ও বিদেশি পুঁজির জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারতের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছেছিল। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি একাধিক বৈপ্লবিক আইন প্রণয়ন করেন এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সাফল্য অর্জন করেন। 'অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' হিসেবে অভিহিত হলেও, তাঁর কার্যকাল দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
নীল সাগরের তীরে দিগলিপুর
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পোর্টব্লেয়ার (নতুন নাম শ্রীবিজয়পুরম) আমাদের ভ্রমণের প্রথম গন্তব্য। আমরা দুই পরিবারের মোট ছ'জন সদস্য সপরিবারে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছাই। প্রথম পাঁচদিন দ্বীপগুলোর বিচগুলোতে কাটানোর পর ষষ্ঠ দিনে দিগলিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। যাত্রা পথে জিরাংগা চেকপোস্টে থেমে জারোয়া আদিবাসীদের গ্রাম দেখতে পাই। এরপর, স্পিড বোটে চুনাপাথরের গুহা ও রস ও স্মিথ দ্বীপ ঘুরে আসি, যা আন্দামানের অন্যতম সুন্দর স্থান। দ্বীপের অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সমুদ্রের স্বচ্ছ জল মন মুগ্ধ করে।