চাকমারা কোথায় যাবেন?

তাঁর কথায়, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন জারির পর চাকমাদের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আর কার্যকর নেই।

- মৃণালকান্তি দাস

ভারতে ‘অরুণাচল’ প্রদেশের স্বীকৃতি পায় ১৯৮৭ সালে। এর আগে সেটা ছিল নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি (এনইএফএ)। তারও আগে ছিল অসমের অংশ। যে বছর বঙ্গভঙ্গ রদ হয়, সেই বছরই অসম কেটে এনইএফএ গঠিত হয়। ১৯৪৭-এর ‘দেশভাগ'-র পর এনইএফএ পাকাপাকিভাবে ভারতের মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। চাকমাদের অরুণাচলে যাওয়া এই অধ্যায়ের ঘটনা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম তখন পাকিস্তানভুক্ত। ১৯৪৭-এর শুরুতে পুরনো ভারতের আরও বহু এলাকার মতো পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়েও বিতর্ক ছিল। প্রশ্ন ছিল, এই জনপদ কার অধীনে যাওয়া উচিত— ইসলামাবাদ না কি নয়াদিল্লি। শেষ পর্যন্ত ‘সামগ্রিক ভূখণ্ড বিনিময়' শেষে অমুসলিম-প্রধান হয়েও এই এলাকা পাকিস্তানভুক্ত হয়। তবে তাতে দেশভাগের | সময় ওঠা বিতর্কের রেশ মিটে যায়নি। ফল হিসেবে পাকিস্তানের শাসকদের | সঙ্গে পার্বত্যবাসীর আস্থা-বিশ্বাসের টানাপোড়েন ছিল। এই রকম পটভূমিতেই ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র বানায় পাক সরকার। তাতে রাঙামাটিকেন্দ্রিক অনেক জমিজমা জলের তলায় তলিয়ে যায়। প্রধানত চাকমা সম্প্রদায়ের অনেক মানুষকে এলাকা ছেড়ে নানা দিকে ছড়িয়ে পড়তে হয়। নতুন করে বসতি গড়তে তাঁদের কারও কারও নজর পড়ে সেই সময় এনইএফএ-র দিকে।