শরীর থাকলে অসুখ করবে— এই আপ্তবাক্য আমরা সকলেই জানি। এখন শরীর রাখতে হলে খাবারও যে খেতে হবে সেকথাও কারও অজানা নয়! সমস্যাটা সেখানে নয়। মুশকিল হল, লোভের বশবর্তী হয়ে কিংবা শুধু অজ্ঞানতাবশত আমরা এমন একটা খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলি যে খাদ্যাভ্যাস পরবর্তীকালে ডেকে আনে নানা ধরনের জটিলতা। অসংযমী খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের একাধিক অসুখ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অসুখ হল— হৃদরোগের সমস্যা, স্থূলতা, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি। এই ধরনের জটিলতা থেকে দূরে থাকার জন্য প্রয়োজন ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যগ্রহণ।
তবে এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখা দরকার যে একাধিক ধরনের খাদ্য রয়েছে যা শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়ায়। এই প্রদাহ আবার বাড়িয়ে দেয় শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার সম্ভাবনা। প্রশ্ন হল কোন ধরনের অসুখে শরীরে ব্যথার উপসর্গ তৈরি হয় এবং সেগুলির সঙ্গে কীভাবে খাদ্যাভ্যাস জড়িত। দেখা যাক। প্রথমে আমরা সেই সমস্ত রোগগুলির কথা বলব যে রোগগুলি সরাসরি শরীরে ব্যথার মাত্রা বাড়ায়। • ইউরিক অ্যাসিড এবং গাউট আর্থ্রাইটিস • স্টিওপোরোসিস • কোমরে ব্যথা • মাইগ্রেন • রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস • টেনিস এলবো • সার্ভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস • অস্টিওআথ্রাইটিস • অস্টিওপোরোসিস।
প্রাথমিক অবক্ষয়জনিত রোগের সূত্রপাত ক্রনিক ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি লাভ চ্যালেঞ্জের হতে পারে তবে অসম্ভব নয়। দেখা গিয়েছে দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে একাধিক অসুখজনিত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কীভাবে তা হয়। আসলে আমাদের এই দেহ তৈরি হয় একাধিক কোষ দিয়ে। আর কোষের অন্দরে অবিরত হয়ে চলেছে কাজ। কোষগুলিই যেন এক একটি কারখানা। তাহলে সেই কারখানার বর্জ্য তৈরি হবেই। এই বর্জ্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এগুলিকে বলা হয় ফ্রি র্যাডিক্যালস। সাধারণত রেচনক্রিয়ার মাধ্যমে এই বর্জ্য আমাদের শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ক্রমশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠছে। এই ধরনের খাদ্যের কারণে শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালস-এর মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকছে। ফ্রি র্যাডিক্যালস শরীরে প্রদাহ তৈরি করে। শরীরে একাধিক অঙ্গের ক্ষতি অনবরত সাধন করতেই থাকছে। তার ফলে দেখা দিচ্ছে ইনফ্ল্যামেশন ও প্রদাহ।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 27 July 2024 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 27 July 2024 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
হাতছানি দিয়ে ডাকে
দেবাশীষ দেব ৷৷ ভাষা ভেঞ্চার (৫/২৫, সেবক বৈদ্য স্ট্রিট, কল-২৯) ৷৷ ৭৫০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
কক্সবাজারে ক'দিন
ভ্রমণের শখ যাদের, তাদের কি রাজনৈতিক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আটকাতে পারে? কক্সবাজারের সফরে আমি এমনই একটি অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। বাংলাদেশে চলছিল ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। তবুও, আশা না হারিয়ে শেষে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারলাম। সৈকতের সৌন্দর্য, সমুদ্রের ঢেউ, ঝর্ণা এবং স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা—সবই এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে রইল।
কোথায় সমাধিস্থ সুলতান রাজিয়া?
রাজিয়া সুলতান ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা শাসক, যিনি তার পিতার মৃত্যুর পর সিংহাসন লাভ করেন। মেধা, সাহস ও যুদ্ধের দক্ষতায় তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, নারীরা শাসনে সক্ষম। তবে, তার উত্থান অনেকের পছন্দ হয়নি এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে বন্দি করা হয়। পরবর্তীতে, আলতুনিয়ার সঙ্গে তার বিবাহ এবং বিদ্রোহের পর, রাজিয়া কোথায় মারা গেছেন, তা আজও রহস্য। ইতিহাসের নানা বিবরণে তার মৃত্যুর স্থান ও সময় সম্পর্কে নানা মত রয়েছে।
বরফের সাম্রাজ্য দুধপাথরি
বৈচিত্র্যময় ভারত আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ। কাশ্মীরের প্রকৃতি যেন এক জীবন্ত কবিতা, যেখানে শ্বেতশুভ্র পর্বত, সবুজ বন ও তুষারপাতের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার মতো এক অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে। দুধপাথরি, শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে, একটি অদ্ভুত সুন্দর ও নির্জন স্থান, যেখানে বরফে ঢাকা উপত্যকায় প্রবাহিত শালিগঙ্গা নদী আপনার মন মুগ্ধ করবে। এখানকার তুষারশোভিত দৃশ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ যেন স্বর্গের একটি ক্ষণস্থায়ী চিত্র।
ব্যতিক্রমের বারান্দা
সুমন প্রতিদিনের মতো সাতটা বাইশের বনগাঁ লোকালে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছাল। আজকের দিনটা বিশেষ ছিল, কারণ তিনি একজন ডাক্তারের স্ত্রী, লিপির সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তার স্বামী নির্মাল্য সেনগুপ্তের অকাল মৃত্যুতে লিপি চাকরি পেতে মেডিক্যাল পরীক্ষায় ফিট না হওয়া সত্ত্বেও সুমন তার পাশে দাঁড়ান। শেষমেশ, সুমন ডাক্তারের রিপোর্ট পরিবর্তন করে লিপির চাকরি নিশ্চিত করেন, এবং লিপি নতুন জীবনের পথে এগিয়ে যায়।
ট্রাম্পের জয়, মোদির স্বস্তি
হিউস্টনে ২০১৯ সালের 'হাউডি মোদি' সভায় নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একসাথে মঞ্চে উপস্থিত হন, এবং একে অপরকে উজ্জ্বল প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। এর পরেই ২০২০ সালে মোদি ও ট্রাম্পের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সেই সম্পর্কের উষ্ণতা অনেকটাই কমে যায়। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, পাকিস্তান এবং চীন নিয়ে ট্রাম্পের কট্টর অবস্থান ভারতকে কিছু সুবিধা দিতে পারে, তবে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি, বিশেষ করে H-1B ভিসা নিয়ে ভারতীয়দের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধোঁয়ার ব্যবহার
গভীর জঙ্গলে হারিয়ে গেলে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য ধোঁয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনটি স্থানে আগুন জ্বালালে বা ত্রিভুজের মতো আগুন জ্বালালে দূর থেকে ধোঁয়া দেখা যাবে। বাতাস অনুকূলে থাকলে ধোঁয়া উদ্ধারকারীদের কাছে সাহায্যের সংকেত পৌঁছাবে। তবে, সতর্কতার সাথে আগুন নেভানো জরুরি।
মোবাইল ফোন ব্যবহার
জরুরি অবস্থায় মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার উপকারী বন্ধু। আইফোনে এসওএস ফিচার ব্যবহার করে আপনি সহজে সাহায্য চাইতে পারবেন। সাইড বাটন ও ভলিউম বাটন একসঙ্গে চেপে এই ফিচার চালু করলে ‘ইমার্জেন্সি এসওএস’ লেখা দেখা যাবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি সেবায় ফোন করবে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ‘এসওএস ইমার্জেন্সি’ অপশন ব্যবহার করে সরাসরি জরুরি নম্বরে ফোন করতে পারবেন।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝবেন কীভাবে?
ওভারিয়ান ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে থাকা এক ধরনের ক্যান্সার, যা ওভারির কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে সৃষ্টি হয়। অসুখটির প্রাথমিক উপসর্গ অস্পষ্ট থাকায় এটি ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবেও পরিচিত। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসা পদ্ধতিতে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং উন্নত চিকিৎসা কৌশল যেমন এইচআইপিএসি ব্যবহার করা হয়। এটি শনাক্ত করতে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এবং অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়।
ব্যাখ্যাহীন বিপর্যয়
ক্রিকেট আসলে জীবনের এক রূপ, যেখানে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। রোহিত শর্মার দলের এমন বিপর্যয় ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় অঘটন। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হার এবং ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের কলঙ্ক ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক বড় লজ্জা। ব্যাটিং ব্যর্থতা, পেস ও স্পিনের বিরুদ্ধে খারাপ প্রদর্শন, এবং রক্ষণাত্মক টেকনিকের অভাব দলের পরাজয়ের মূল কারণ।