অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ এলেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে। উৎসবের আবহে পরপর দু'দিনে বাঙালি হারিয়েছিল দুই প্রিয় কবিকে। বারো বছর আগে ২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং সত্তর বছর আগে ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবরে জীবনানন্দ দাশ প্রয়াত হন। শারদীয়ায় বিষাদযোগ! এই বছরেই বিষাদবিধুর কবি জীবনানন্দের জন্মের ১২৫ বছর পূর্তি হয়েছে। ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অধুনা বাংলাদেশে তাঁর জন্ম হয়।
জীবনানন্দ চর্চায় দেখি সংখ্যার বিচারে কবিতার তুলনায় তিনি শিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন খুবই কম। তবু সেগুলোর বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। পেশাগত দিক থেকে কবি নিজেও ছিলেন একজন শিক্ষক বা অধ্যাপক। পড়াতেন কলেজে। ১৯২২ সালে কলকাতার সিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের টিউটর পদে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর শিক্ষকতার শুরু হয়। সে সময়ে তিনি ছিলেন সব থেকে কমবয়সি অধ্যাপক।
১৯২৮ সালে কলেজের হস্টেলে সরস্বতী পুজো নিয়ে সেই বিতর্কিত হট্টগোল এবং আরও নানা কারণে ছাত্রসংখ্যা কমে যায়। ফলে বরখাস্ত হতে হয় তাঁকে। কলেজের আর্থিক অনটন চরমে পৌঁছনোর অজুহাতের পাশাপাশি তাঁর কবিতায় অশ্লীলতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। এই কলেজে থাকাকালীনই তাঁর প্রথম কাব্য 'ঝরা পালক' প্রকাশিত হয়। চাকরি যাওয়ার চার বছর পরে বের হয় ‘আমরা বেশ আছি’ উপন্যাস। তাতে সত্যেন চরিত্রের মাধ্যমে বিরক্তির সঙ্গে সিটি কলেজের অধ্যক্ষ হেরম্বচন্দ্র মৈত্রকে উপস্থিত করেছিলেন জীবনানন্দ। আবার ‘চৌত্রিশ বছর' উপন্যাসের বেকার শৈলের কথাতেও এই সিটি কলেজের চাকরিহারার প্রসঙ্গ এসেছে।
১৯২৯ সালে পূর্ববঙ্গের খুলনার বাগেরহাট প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে যুক্ত হন—কিন্তু মাস তিনেকের জন্য। আবার কলকাতায় ফিরে এসে গৃহশিক্ষকতা শুরু করেন। ডিসেম্বর মাসে রাজধানী দিল্লিতে রামযশ কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হয়ে চলে যান জীবনে নিরানন্দ এক কবি। চার মাস কাজ করার পর বিবাহের উদ্যোগের জন্য আর কাজের জায়গায় ফিরে না যাওয়ায় চাকরি চলে যায় তাঁর।
১৯৩৫ সালে নিজের Alma Mater বরিশালের ব্রজমোহন কলেজের অধ্যাপক হন কবি। সেই কলেজ থেকেই আঠারো বছর আগে তিনি প্রথম বিভাগে ইন্টারমিডিয়েট অব আর্টস পাশ করেছিলেন। সেখানে থাকতেই প্রকাশ পায় বিখ্যাত কাব্যত্রয়ী ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’, ‘বনলতা সেন' ও ‘মহাপৃথিবী’।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 26 October 2024 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 26 October 2024 من Saptahik Bartaman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।
হীরের খোঁজে
হারিয়ে যাওয়া হীরে ৷ সম্পাদনা: সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় ৷ কমলা- গীতা-বীণা প্রকাশনী ৷৷ ২৯৯ টাকা৷ • অমিত ভট্টাচার্য
যাত্রারাজ্ঞী
আসরে বাসরে রুমা দাশগুপ্ত ৷৷ শীর্ষেন্দু মুখার্জি ৷ দে'জ পাবলিশিং (১৩, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কল-৭৩) ৷ ৩৫০ টাকা। • অরুণ মুখোপাধ্যায়
অগ্নিযুগের পাঁচ বিপ্লবী
রাজনৈতিক জগৎ আজ সেলিব্রেটিদের দখলে, কিন্তু এক সময় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বিদ্বজ্জনরা। সুধীরকুমার মিত্রের ‘বাংলার পাঁচ স্মরণীয় বিপ্লবী’ বইতে বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত, রাসবিহারী বসু, বাঘাযতীন, প্রফুল্ল চাকী এবং সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়কদের জীবনাবলীর এক দারুণ চিত্র এই বইয়ে।
কোজাগরী
এই গল্পের মধ্যে অতীন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। বাসে, গজদন্তী মেয়েটির সাথে সিটের জন্য বিতর্ক এবং পরবর্তীতে কেটোয়ার দিকে যাওয়ার পথে সেই মেয়েটির সঙ্গে টোটোতে আবার দেখা। নানা হাসি-মজা, ব্যঙ্গ এবং ছোটোখাটো ঝগড়ায় অতীন অস্বস্তিতে পড়লেও প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশে কিছুটা প্রশান্তি লাভ করে।