কেদারনাথ থেকে গৌরীকুণ্ডে নেমে । আসতে সন্ধে হল। তার উপর জঙ্গলচটি পার করতেই শুরু হল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আশ্রয় খোঁজার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেল! আর, সকালে উঠে দেখি অমল ধবল মেঘ ভাসছে নীল আকাশে। কালক্ষেপ না করে শেয়ার জিপে প্রথম পৌঁছলাম শোনপ্রয়াগ । সেখান থেকে গুপ্তকাশী হয়ে উখিমঠ। কপালজোরে উখিমঠ পৌঁছনো মাত্রই পেয়ে গেলাম রাঁশি যাওয়ার শেয়ার গাড়ি। গাড়ি এগোল মধুগঙ্গাকে পাশে রেখে। একে একে পার করলাম মনসুনা, উনিয়ানা ইত্যাদি সুন্দর গ্রাম । নীচ দিয়ে বয়ে চলা মধুগঙ্গা, আর পাহাড়ের ঢালে হলদে-সবুজ ধাপ চাষ দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই রাঁশি।
গাড়িতে পরিচয় হল কয়েক জন কমবয়সি যুবকের সঙ্গে। তারাও আমাদের মতোই মদমহেশ্বরের যাত্রী। তবে ইতিমধ্যে দুপুর হয়ে যাওয়ায় তারা থেকে যাবে রাঁশি গ্রামে। পরদিন শুরু হবে তাদের যাত্রা। রাত কাটাবে জিপের ড্রাইভার কৈলাস নেগির হোমস্টেতে। পরিচয় হল তাঁর সঙ্গেও। অমায়িক এবং উপকারী মানুষ। আমাদের বললেন তাঁর বাড়িতেই সমস্ত ভারী মালপত্র রেখে যেতে। আমরাও জানালাম, ফেরার পথে আমরা তাঁর হোমস্টেতেই উঠব
গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী রাকেশ্বরী মায়ের মন্দির দর্শন করে এলাম। মন্দির সংলগ্ন ছোট বাড়িটি পুরোহিতের। মন্দির বন্ধ ছিল। যাত্রীরা এসেছে শুনেই মদমহেশ্বরের পুরোহিতমশাই এসে মন্দিরের দরজা খুলে দিলেন। পাথরের তৈরি দেউল শৈলীর ছোট্ট মন্দির। নাটমন্দিরে অনাদিকাল থেকে জ্বলছে ধুনী। গর্ভগৃহে বিরাজমান মদমহেশ্বরের শক্তি, দেবী রাকেশ্বরী। তাঁর দুয়ারে মাথা ঠেকিয়ে তবেই মদমহেশ্বর যাত্রা শুরু করা নিয়ম।
মাত্র চল্লিশ-পঞ্চাশ ঘরের বাসিন্দাদের নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রাম রাঁশি। আগে এখান থেকেই শুরু হত হাঁটাপথ। এখন পাকা রাস্তা এগিয়েছে আরও এক কিলোমিটার, পৌঁছেছে অগতোলি ধার অবধি। কৈলাসজি তার গাড়িতে আমাদের অগতোলি ধারে পৌঁছে দিলেন। দুপুর তিনটে নাগাদ শুরু হল আমাদের যাত্রা।
هذه القصة مأخوذة من طبعة April 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة April 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।