সৈকত, ক্যাসিনো, ক্রুজ বা পর্তুগিজ স্থাপত্যের বাইরেও ভারতের এই ক্ষুদ্রতম রাজ্যটি তার প্রত্নসম্পদ, অরণ্য, বন্যপ্রাণ, নিজস্ব শিল্প-সংস্কৃতি-ইতিহাস আর জনজীবনের স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। এবার যাওয়া যাক সেই অল্প চেনা গোয়ায়।
উসগালিমল পেট্রোগ্লিফ সাইট দক্ষিণ গোয়ার সাঙ্গুয়েম তালুকভুক্ত উসগালিমল (পানসাইমল নামেও পরিচিত) ভারতের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেট্রোগ্লিফ সাইট। আদিম মানুষের আঁকা গুহাচিত্র সকলেই দেখেছেন। রং দিয়ে ছবি আঁকা ছাড়াও তারা অনেক সময় কোনও ধারালো জিনিস দিয়ে পাথরের উপর খোদাই করে আঁকিবুকি করত, একেই বলা হয় পেট্রোগ্লিফ। এখানে কুশাবতী নদী সংলগ্ন পাথুরে জমিতে, অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিটিয়ে খোদাই করা আছে বিশালাকার সব ছবি মানুষ, ময়ূর, অজস্র হরিণ ও ষাঁড়, ষাঁড়ের লড়াই, হরিণের লড়াই, শিকারদৃশ্য, পশুপালন। এছাড়া আছে জটিল গোলকধাঁধার মতো অতিকায় একটি নকশা, যার অর্থ একালের মানুষ বুঝে উঠতে পারেনি। বর্ষাকালে কুশাবতী নদীর জল বেড়ে গেলে এই জায়গাটি জলের তলায় চলে যায়, তাই বর্ষা ছাড়া অন্য সময় এখানে আসবেন। উসগালিমল থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে নেত্রাভ্যালিতে আছে ৪০০ বছর আগে খনন করা একটি আয়তাকার বাঁধানো পুকুর। পুকুরের জলের দিকে তাকিয়ে থাকলে দেখা যায়, নীচ থেকে আপনাআপনি অনেক বুদবুদ ক্রমাগত উঠে আসছে জলের উপরিতলে। তাই এই পুকুরের নাম বুদবুদিয়াঞ্চি তালি। বিজ্ঞানীদের মতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বা সালফার-ডাই-অক্সাইড বা মিথেন গ্যাসের কারণে এই নিরন্তর বুদবুদের উত্থান। প্রচলিত লোকবিশ্বাসে এ হল দেবতার মহিমা। ঘুরে আসতে পারেন পুকুর সংলগ্ন গোপীনাথ মন্দির থেকেও।
উসগালিমলের এক দিকে নেত্রাভালি, অন্য দিকে ৭ কিলোমিটার গেলে রিভোনা গুহাসমূহ। সভ্যতার মধ্যযুগের প্রায় শুরু থেকেই ল্যাটেরাইট পাথরের এই প্রাকৃতিক গুহাগুলিতে যে মানুষের হাত পড়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় গুহার ভিতরে ও বাইরে কিছু সিঁড়ি, বেদি, গুহার দেওয়ালে খোদাই করা কুলুঙ্গি থেকে। অদূরেই সন্ধান মিলেছে একটি বুদ্ধমূর্তির, যা থেকে ঐতিহাসিকদের অনুমান, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক থেকে এই গুহাগুলিতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা সাধনা করতেন। পাথরে নানা রকম খনিজের উপস্থিতির কারণে গুহাগুলির ভিতরের অংশ বেশ রঙিন। এছাড়া পরিত্যক্ত গুহাগুলিতে তেমন দর্শনীয় কিছু নেই। তবে, যথার্থ ইতিহাসপ্রেমীদের ভালো লাগবে।
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।