উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে ছোট রাজ্যটি ত্রিপুরা। আয়তনের দিক দিয়ে ছোট হলেও ত্রিপুরায় দ্রষ্টব্যস্থলের | সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এখানে রয়েছে জঙ্গলাকীর্ণ অনুচ্চ পাহাড়শ্রেণি, ছোট-বড় টিলা, চা, রবার, আনারসের বাগান, প্রাচীন মন্দির, প্রাসাদ, সরোবর, অভয়ারণ্য এবং ঊনকোটি, ছবিমুড়ার মতো অতুলনীয় ভাস্কর্য-সমৃদ্ধ স্থান।
ত্রিপুরায় বাঙালি অধিবাসীদের পাশাপাশি উপজাতীয় মানুষজনের সংখ্যাও অনেক। প্রধানত বনজঙ্গলে ঘেরা অসমতল এলাকায় বসবাসকারী উপজাতীয় জনগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ত্রিপুরি, রিয়াং, চাকমা, জামাতিয়া এবং লুসাই। ত্রিপুরায়
বেড়াতে গিয়ে কোনও উপজাতি গ্রামে যাওয়ার সুযোগ হলে তা হবে এক মধুর অভিজ্ঞতা। আয়তনের দিক দিয়ে ছোট রাজ্য বলে এক যাত্রায় ত্রিপুরার বেশিরভাগ পর্যটনকেন্দ্রগুলি দেখে নেওয়া যায়। পর্যটকরা আগরতলা থেকে গাড়ি ভাড়া করে অথবা রাজ্য পর্যটন দপ্তর আয়োজিত প্যাকেজ ট্যুরে অংশ নিয়ে ত্রিপুরা ভ্রমণ করতে পারেন।
আগরতলা ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্য উদয়পুর থেকে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন পুরনো আগরতলা নামে এক স্থানে। পরবর্তী কালে পুরনো আগরতলা থেকে রাজধানী সরে আসে বর্তমান আগরতলা শহরে। আজকের আগরতলা বাঙালি অধ্যুষিত শহর। পথেঘাটে বাংলায় বার্তালাপ, বাংলায় লেখা দোকানের সাইনবোর্ড এবং বাঙালি ভোজনশালার ছড়াছড়ি দেখে মনেই হবে না যে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আছেন। আগরতলা শহরের প্রধান আকর্ষণ উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ। এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যটি ১৯০১ সালে নির্মাণ করিয়েছিলেন রাজা রাধাকিশোর মাণিক্য। প্রাসাদের সামনে বিশাল উদ্যান এবং দু'টি বড় দিঘি। এক সময় এই প্রাসাদ রাজ্যের বিধানসভা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। নতুন বিধানসভা ভবন নির্মিত হওয়ার পর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে রাজ্য সংগ্রহশালা স্থানান্তরিত হয়েছে। এই মিউজিয়ামের প্রধান আকর্ষণ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের অমূল্য সংগ্রহ। এছাড়া রয়েছে মহারাজাদের তৈলচিত্র, ঐতিহাসিক আলোকচিত্র, রাজাদের আমলের মুদ্রা, অস্ত্রশস্ত্র, উপজাতীয় সমাজে ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদ, অলংকার, বাদ্যযন্ত্র এবং হস্তশিল্প সামগ্রী। সন্ধের পর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদকে সুপরিকল্পিত ভাবে আলোকিত করা হয়।
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
বাঁকুড়ার অষ্টসখী দুর্গার গ্রামে
এবছর যাঁরা আমরাল গ্রামের অষ্টসখী দুর্গাপুজো দেখতে যেতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সঞ্জয় গোস্বামীর সঙ্গে: -৮৯১৮১-৩৬০৫৬
ইতিহাসের দিল্লি
প্রায় দু'হাজার পাঠক-পাঠিকা এক সঙ্গে বসে পড়াশোনা করার মতো একটি সুবিশাল হলঘরও আছে এখানে।
স্মৃতির নগরী আগ্রা
আছে আরও নানা স্থাপত্য। তবে কেল্লা-প্রাঙ্গণের মূল আকর্ষণ সেলিম চিস্তির দরগা। শ্বেতপাথরের এই দরগাটি কেল্লার জামি মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
বারাণসীর পথ-ঘাট অলিগলি
বারাণসীর খাওয়াদাওয়া বারাণসীর গলি, তস্য গলির মধ্যে পথ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। তবে গলিতে মানুষের কোনও অভাব নেই, তাঁরাই বাতলে দেবেন পথ। এই সব গলির দেওয়ালে আঁকা আছে রংবেরঙের চিত্র। ছবির বিষয় কেবল ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাহিনিই নয়, সমসাময়িক সমাজও। এই অলিগলি থেকে শুরু করে রাজপথ, সর্বত্রই খাবারের দোকান পাবেন। বারাণসীতে এসে রসনাকে তৃপ্তি না দিলে নিজেই ঠকবেন! বেনারসের সকাল শুরু হয় গরম কচুরি দিয়ে, সঙ্গে নিতে পারেন মালাই টোস্ট আর চা। বেনারসের আর-এক জনপ্রিয় খাবার চাট। ফুচকা থেকে বড়া আর টম্যাটো থেকে কচুরি, সব কিছুরই চাট মেলে বেনারসে। চাটের সঙ্গে আছে ঠান্ডা কুলফি ও ফালুদা। শীতে বেনারস গেলে অবশ্যই চেখে দেখবেন মালায়িও— মালাই ও মাখনের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। অনেকের মতে মালায়িও হল মিষ্টির রাজা। এছাড়া রাবড়ি, লস্যি আর শেষ পাতে নানা স্বাদগন্ধের বেনারসি পান তো আছেই !
চেনা কাশ্মীর দেখে অল্প চেনা পথে
আরও আনন্দের হয় যদি শ্রীনগর থেকে চলে যেতে পারেন কাশ্মীরের অচেনা স্বর্গ তোসা ময়দান । তুষারে মাখা পিরপাঞ্জাল পর্বতশ্রেণি ঘিরে আছে বিস্তীর্ণ তৃণভূমিকে। ঢেউখেলানো ময়দানের বুক চিরে খরস্রোতে বয়ে চলেছে সুখনাগ নদী। ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া মনের সুখে চরে বেড়ায় সেই সবুজ প্রান্তরে। শ্রীনগর থেকে তোসা ময়দানের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। গাড়িতে যাতায়াতের খরচ পড়বে ৬,০০০-৭,০০০ টাকা। শ্রীনগরের কোনও হোটেলে রাত্রিবাস করেই সারাদিনের সফরে দেখে নেওয়া যায় তোসা ময়দান। তবে কেউ যদি তোসা ময়দানে তাঁবুতে রাত্রিবাস করতে চান, কিংবা সীতাহরণ গ্রামের হোমস্টেতে থাকতে চান তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন সীতাহরণ গ্রামের ফৈয়াজ আহমেদ শেখ (৯৯০৬৮-৫৪২৮৬) ও মনজুর আহমেদ শেখের (৯৯০৬৬-৫৬৫৯১) সঙ্গে। তোসা ময়দান থেকে বিভিন্ন ট্রেকিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থার জন্যও কথা বলা যেতে পারে ওঁদের সঙ্গে।
গাড়োয়ালের পথে পথে
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ এবং হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https:// registrationandtouristcare.uk.gov.in কেদারে ডুলি ও ঘোড়ার খরচ বয়স্ক যাত্রীদের পদব্রজে কেদারনাথ যেতে অসুবিধা হলে ঘোড়া বা ডুলিরও ব্যবস্থা আছে এপথে। গৌরীকুণ্ড থেকে ১ কিলোমিটার এগিয়ে কেদার যাওয়ার ডুলি ও ঘোড়া পাওয়া যায়। গৌরীকুণ্ড থেকে ডুলিতে যাওয়া-আসা মিলিয়ে আনুমানিক খরচ ১৪,০০০-১৬,০০০ টাকা। শরীরের ওজন অনুযায়ীও ভাড়ার তারতম হয়। গৌরীকুণ্ড থেকে কেদার যাওয়ার ঘোড়ার সরকারি খরচ ৩,২০০ টাকা। তবে চাহিদা অনুযায়ী আরও অনেক আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হয়। ফেরার পথে কেদার থেকে গৌরীকুণ্ড ঘোড়ার খরচ ২,০০০ টাকা। জেনে রাখুন সাধারণত মদমহেশ্বরের মন্দির অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলে আবার দীপাবলির পর বন্ধ হয়। মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় মদমহেশ্বরের প্রতিমূর্তি ডোলিতে নামিয়ে আনা হয় উখিমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরে।
কুমায়ুন ভ্রমণ
লালকুঁয়া থেকে করবেট অরণ্য লালকুঁয়া থেকে করবেটের দূরত্ব মোটামুটি ৭০ কিলোমিটার। ১,২৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই অরণ্য আটটি 'জোন'-এ বিভক্ত। জনপ্রিয় জোনগুলি হল ধিকালা, বিজরানি, ঝিরনা ও ঢেলা। এর মধ্যে আবার ধিকালা জোনেই সরকারি থাকার ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের সাফারির ব্যবস্থা সব চেয়ে ভালো। উপরোক্ত সবক'টি জোনেই বনবিভাগের লজ, গেস্টহাউস আছে। বাফার এলাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার ব্যবস্থাও আছে। আগে থেকে বুকিং করলে অবশ্যই ধিকালা বা বিজরানি জোনের জন্যই চেষ্টা করা উচিত। তবে, জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর দেখা পাওয়া সবসময়ই ভাগ্যের ব্যাপার! ধিকালা জোনে থাকলে ধানগঢ়ী গেট দিয়ে প্রবেশ করার পথে কোশী নদীর বুকে গর্জিয়া দেবীর মন্দির দেখে নেওয়া যেতে পারে। করবেট থেকে ফেরার পথে কালাধুঙ্গিতে জিম করবেটের বাসস্থান ও মিউজিয়াম দেখে নেওয়া যায়। পথের ধারে একটি অত্যন্ত অনাড়ম্বর দুই কামরার বাড়িতে জিম করবেট থাকতেন। বর্তমানে এটিকে একটি সুন্দর মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়েছে। করবেট অরণ্য সম্বন্ধে বিশদে জানতে ৫৫ পৃষ্ঠা দেখুন।
উত্তরের অরণ্য
দুধওয়া জঙ্গলের প্রবেশপথেই রয়েছে অনেকগুলো কটেজ নিয়ে সরকারি বনবাংলো। পালিয়া কালানে বেসরকারি হোটেলও আছে।
বুদ্ধ-জীবনের আট মহাস্থান
সেই থেকে এর নাম মর্কট হ্রদ। এটি বুদ্ধের জীবনের আট মহত্তম ঘটনার অন্যতম ।
এক যাত্রায় গুজরাত দিউ
ফোর্টটি বেশ বিস্তৃত এবং সজ্জিত। এছাড়া দেখে নিন আই এন এস খকরি