এককালে বাঙালি স্বাস্থ্য ফেরাতে পশ্চিমে যেত হাওয়াবদল করতে। তাদের | সেকালের পশ্চিমা গন্তব্যগুলি একালের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। ২০০০ সালে বিহার থেকে জন্ম নেওয়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ঘাটশিলা, গালুডি, হাজারিবাগ, ম্যাকলাক্সিগঞ্জের সঙ্গে বাঙালির অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
ঘাটশিলা-গালুডি টিলায় ঘেরা ঘাটশিলার মধ্য দিয়ে বইছে সুবর্ণরেখা। বাঙালির প্রিয় কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসতবাটি
এখানকার ডাহিগোড়া অঞ্চলে। বাড়ির নাম গৌরীকুঞ্জ। সংস্কারের ফলে আদি বাড়ির খোলনলচে বদল হলেও, তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র সযত্নে রাখা আছে। শহর থেকে দু'কিলোমিটার দূরে ফুলডুংরি টিলা। কলকাতা-রাঁচি হাইওয়ের পাশে, শালমহুলের জঙ্গলে মোড়া টিলার উপর থেকে ঘাটশিলাকে অসাধারণ দেখায়। চলে আসুন সুবর্ণরেখা ভিউপয়েন্টে। নদীখাত জুড়ে পাথর। তারই ফাঁক দিয়ে বয়ে চলেছে। সুবর্ণরেখার জলধারা। নিঝুম প্রকৃতির নীরবতা ভঙ্গ করছে জলের অবিরাম বয়ে
পড়খণ্ড চলার কুলকুল ধ্বনি। পরদিন চলে যেতে পারেন, আদিবাসী দেবতা রঙ্কিণী মাতার মন্দিরে। এক কালে এই মন্দিরে নরবলি দেওয়া হত বলে জানা যায়। নবনির্মিত ব্রিজ পেরিয়ে চলে যান ১২ কিলোমিটার দূরে গালুডিতে। গালুডিও স্বাস্থ্যকর স্থান। চারদিকে অনুচ্চ পাহাড় আর টিলা। মনোরম প্রকৃতি। এখানেও বইছে সুবর্ণরেখা নদী। রয়েছে বিশাল ড্যাম। বাঁধের জলে শীতে পরিযায়ী পাখিরা আসে। আরও ২০ কিলোমিটার গেলে রয়েছে রঙ্কিণী মাতার মন্দির। এছাড়া দেখে নিতে পারেন বুরুডি ড্যাম ও লেক। চারদিক পাহাড়ঘেরা, মাঝে বিশাল জলাধার। বোটিংয়ের ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন ১২০২১ বরবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাওড়া থেকে ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে ঘাটশিলা পৌঁছয় সকাল ৯টা ৩ মিনিটে। ২২৮৬১ কান্তাবনজি ইস্পাত এক্সপ্রেস (মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্র, রবি) ট্রেনটি হাওড়া থেকে ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে ঘাটশিলা পৌঁছয় সকাল ৯টা ২৬ মিনিটে। ১৮০৩০ শালিমার এল টি টি এক্সপ্রেস ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে দুপুর ৩টেয় ছেড়ে ঘাটশিলা পৌঁছয় সন্ধে ৭টায়। রয়েছে আরও কিছু ট্রেন। কলকাতা থেকে ঘাটশিলা সড়কপথে কমবেশি ২৩৮ কিলোমিটার। গাড়িতে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা মতো সময় লাগে। ঘাটশিলা থেকে গালুডি ১২ কিলোমিটার। গাড়িতে ৩০ মিনিট মতো সময় লাগে।
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।