গাড়োয়ালের পথে পথে
Bhraman|July 2024
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ এবং হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https:// registrationandtouristcare.uk.gov.in কেদারে ডুলি ও ঘোড়ার খরচ বয়স্ক যাত্রীদের পদব্রজে কেদারনাথ যেতে অসুবিধা হলে ঘোড়া বা ডুলিরও ব্যবস্থা আছে এপথে। গৌরীকুণ্ড থেকে ১ কিলোমিটার এগিয়ে কেদার যাওয়ার ডুলি ও ঘোড়া পাওয়া যায়। গৌরীকুণ্ড থেকে ডুলিতে যাওয়া-আসা মিলিয়ে আনুমানিক খরচ ১৪,০০০-১৬,০০০ টাকা। শরীরের ওজন অনুযায়ীও ভাড়ার তারতম হয়। গৌরীকুণ্ড থেকে কেদার যাওয়ার ঘোড়ার সরকারি খরচ ৩,২০০ টাকা। তবে চাহিদা অনুযায়ী আরও অনেক আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত হয়। ফেরার পথে কেদার থেকে গৌরীকুণ্ড ঘোড়ার খরচ ২,০০০ টাকা। জেনে রাখুন সাধারণত মদমহেশ্বরের মন্দির অক্ষয় তৃতীয়ার দিন খোলে আবার দীপাবলির পর বন্ধ হয়। মন্দির বন্ধ হওয়ার সময় মদমহেশ্বরের প্রতিমূর্তি ডোলিতে নামিয়ে আনা হয় উখিমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরে।
গাড়োয়ালের পথে পথে

গা ড়োয়াল হিমালয়ের চির-চেনা পথের কাছাকাছি অল্পচেনা কিছু জায়গারও হদিশ রইল এই লেখায়। কলকাতা থেকে ট্রেনে হরিদ্বার হয়ে শুরু করতে পারেন গাড়োয়াল ভ্রমণ অথবা কলকাতা থেকে বিমানে চলুন দেরাদুনের জলিগ্রান্ট এয়ারপোর্টে। এখান থেকে আগামী কয়েক দিনের জন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে নিন।

হরিদ্বার গঙ্গানদীর সমভূমিতে প্রবেশ হরিদ্বারে। প্রতি ১২ বছর অন্তর এখানে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। নদীর পাড় জুড়ে নানান ঘাট। দিনভর পূজাপাঠ, গঙ্গাস্নান চলেছে। হর-কি-পৌড়ি ঘাট সন্ধের গঙ্গারতির জন্য বিখ্যাত । হরিদ্বারের গা ঘেঁষে রয়েছে শিবালিক পর্বতমালা। হর-কি-পৌড়ি ঘাটের অদূরে বিশ্ব পর্বতের চূড়ায় মনসাদেবীর মন্দির। কেবল কারে পৌঁছে যেতে পারেন মন্দিরে। নীল পর্বতের মাথায় চণ্ডী মন্দিরেও ওঠার জন্য রয়েছে কেবল কার। এই মন্দিরের গর্ভগৃহের চণ্ডী বিগ্রহটি অষ্টম শতকে আদি শঙ্করাচার্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করা হয়।

হৃষীকেশ হরিদ্বার থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে হৃষীকেশ। চারদিকে পাহাড়, তারই মধ্য দিয়ে বইছে গঙ্গা। সব মিলিয়ে হৃষীকেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। হরিদ্বারের মতো এখানেও রয়েছে নানান ঘাট। এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য লক্ষ্মণঝুলা। কিংবদন্তি অনুসারে, দশরথপুত্র লক্ষ্মণ হিমালয়ের পবিত্রভূমিতে যাওয়ার আগে, এই সেতু নির্মাণ করেছিলেন। তবে বর্তমানে যে-সেতুটি লক্ষ্মণঝুলা নামে পরিচিত, সেটির নির্মাণ ১৯৩৯ সালে। সেতু পেরিয়েই দেখা মিলবে লক্ষ্মণ মন্দিরের। এছাড়াও রয়েছে প্রস্তরনির্মিত বিশাল শিবের মূর্তি, কৈলাস আনন্দ আশ্রম, কালীকমলি আশ্রম, কালীকমলি বাবার সমাধি, রামঝুলা, গীতা ভবন, ভরত মন্দির, বালাজি মন্দির, চন্দ্রমৌলীশ্বর মন্দির।

ঘুঘুতিয়ানি-সিক্রেট ফলস হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন ঘুঘুতিয়ানি-সিক্রেট ফলস দেখতে। হৃষীকেশ থেকে প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের উপর জঙ্গলে ঘেরা ঘুঘুতিয়ানি। তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বাইক বা গাড়িতে পৌঁছলেও পরবর্তী চার কিলোমিটার শৌখিন গাড়ি আর উঠতে পারবে না। পথ বলে কিছু নেই। পাথর বিছানো, দু'পাশে ঘন জঙ্গল। জঙ্গলের গোপন কোনও অন্তরাল থেকে তীব্র বেগে ছুটে আসছে জলধারা। দু'একটা ঝুপড়ি চায়ের দোকান ছাড়া কোথাও কিছু নেই। ঝরনার জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন।

هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.

ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.

هذه القصة مأخوذة من طبعة July 2024 من Bhraman.

ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.

المزيد من القصص من BHRAMAN مشاهدة الكل
উমরুকুঠির অতিথি
Bhraman

উমরুকুঠির অতিথি

শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।

time-read
4 mins  |
November 2024
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
Bhraman

পথের বাঁকে তিলওয়ারা

তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।

time-read
1 min  |
November 2024
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
Bhraman

কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন

কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।

time-read
10+ mins  |
November 2024
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
Bhraman

নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ

পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।

time-read
3 mins  |
November 2024
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
Bhraman

সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন

বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।

time-read
3 mins  |
November 2024
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
Bhraman

ওমানের মরুতে মরূদ্যানে

ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

time-read
6 mins  |
November 2024
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
Bhraman

ওড়িশার জলে জঙ্গলে

নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।

time-read
5 mins  |
November 2024
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
Bhraman

গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ

দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।

time-read
6 mins  |
November 2024
কানাকাটা পাস
Bhraman

কানাকাটা পাস

কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।

time-read
8 mins  |
November 2024
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
Bhraman

ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক

আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.​com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।

time-read
1 min  |
November 2024