মানালি থেকে রওনা হয়েছি লাহুলের পথে। বিপাশা নদীর ধার দিয়ে পথ | ক্রমশ উঁচুর দিকে চলেছে। চারপাশে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য! ঘন পাইনের জঙ্গল, সবুজ পাহাড়, পাহাড়ের চূড়ায় বরফ। শরৎ-সকালের আলো সব কিছুকে একটু একটু করে ভরিয়ে তুলছিল। সবুজ সোলাং উপত্যকা ছাড়িয়ে গাড়ি উঠে এল দশ হাজার ফুট উচ্চতায়, অটল টানেলের সাউথ পোর্টালে। প্রায় নয় কিলোমিটার সুড়ঙ্গপথ পেরিয়ে নর্থ পোর্টালে পৌঁছে দেখি ম্যাজিকের মতো বদলে গেছে প্রকৃতি !
সাউথ পোর্টালে পাহাড়ের ঢালগুলো ভরে রেখেছিল সবুজ আলপাইনের জঙ্গল। নর্থ পোর্টালে এসে দেখি, পাহাড় জুড়ে হলদে বাদামি রঙের ঘাস আর গুল্ম। বড় গাছ প্রায় নেই। উপত্যকার মধ্য দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছে তুঁতেরঙা চন্দ্র নদী, যার তীর ধরে লে মানালি হাইওয়ে বরাবর এগিয়ে চললাম শিশু গ্রামের দিকে।
মানালি থেকে কেলংগামী রাস্তার দু'পাশে ধূসর পাহাড়শ্রেণি। একটা বাঁক ঘুরেই ঢুকে পড়লাম অপূর্ব এক দৃশ্যে! পাহাড়ের ঢালে রাশি রাশি হলুদ পাতার গাছ। ক্রমশ তারা দু'দিক থেকে ঘন হয়ে ঘিরে ফেলল আমাদের। হেমন্তে সব পাতা ঝরিয়ে ফেলবে, তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
মূল রাস্তা ছেড়ে বাঁদিকের ঢালু পথে চন্দ্র নদীর কিনারা পর্যন্ত নেমে এলাম। নদীর অন্য পাড়ে, পাহাড়ের অনেকটা উপর থেকে ঝরে পড়ছে অপূর্ব এক ঝরনা। শিশু ওয়াটার ফলস। আর তার ঠিক পিছনে চালচিত্রের মতো দাঁড়িয়ে তুষারাবৃত পর্বতমালা। চার ধারে গাছেদের হলুদ পাতা থেকে চুঁইয়ে পড়ছে রোদ্দুর। ঠান্ডা বাতাসে দুলছে সারি সারি বৌদ্ধ পতাকা। অনেকটা সময় এখানেই কাটিয়ে দিলাম। তারপর চললাম শিশু গ্রামের বৌদ্ধ গুম্ফা দেখতে।
মানালি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রাতীরের গ্রাম শিশু, খুব ছোট জনপদ হলেও হাইস্কুল, পি ডব্লিউ ডি বাংলো, প্রাথমিক হেলথ সেন্টার ইত্যাদি সব ব্যবস্থাপনাই রয়েছে। আর আছে, শিশুকে ঘিরে বেশ কয়েকটি ছোট গ্রাম।
هذه القصة مأخوذة من طبعة September - October 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة September - October 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
আদি কৈলাসের পথে
একটা হোমস্টে। অনন্ত আকাশে কেবল দুটো চিল উড়ছে। প্রায় পনেরো হাজার ফুটে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমায় ঘিরে রেখেছে অসীম, উদার প্রকৃতি।
ত্রিপুরার ডম্বুর দীর্ঘ জলপথ পেরিয়ে এক আশ্চর্য দ্বীপে
আকাশের চাঁদ আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্ধকার সর্বব্যাপী নয়, আলো আছে। আলোর কথা ভেবে আনন্দ হয়।
মারাটুয়ার জলে-জঙ্গলে
বোটচালক একবার মেঘের দিকে দেখছে, একবার জেটির দিকে! আগে আমরা জেটি ছোঁব? না, আগে বৃষ্টি আমাদের ছোঁবে ? রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় দেখতে থাকি, বোটটা যেন জলের উপর দিয়ে উড়ছে!
তপোভূমি তপোবন
দেখলে মনে হবে, গিরিশিরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে শিবলিংয়ের মাথায় চড়া বুঝি সম্ভব। তবে, বাস্তবে শিবলিংয়ের শীর্ষারোহণ অন্যতম কঠিন অভিযান।
পালাসের বিড়ালের খোঁজে মোঙ্গোলিয়া
শহরে এসেও বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে উদার, অসীম প্রান্তরে পেয়েছিলাম এক অপার স্বাধীনতার অনুভূতি আর প্রকৃতির সঙ্গে এক প্রত্যক্ষ সংযোগের বোধ।
আন্টার্কটিকা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে অভিযান
মাদ্রিদের হোটেলে রাত কাটিয়ে পরদিন আমস্টারডাম ঘুরে নামলাম ব্রিস্টলে।
ড্যানিশ রিভিয়েরা
আর আছে ড্যানিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আশেপাশে জেলেদের গ্রাম। জেলেডিঙি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখা থাকে সমুদ্রতটেই। সোজা সোজা রাস্তা একেবারে নিরালা !
পাহাড়ি গরিলা আর শিম্পাঞ্জির খোঁজে
গাইডের আশ্বাস পেলাম, একটা না একটা নিশ্চয়ই নীচে নামবে। তাঁর কথা কিছুক্ষণ পরই সত্যি হল।
মুঘল রোডে পীর কি গলি
আমরা দেখলাম বহু স্থানীয় মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই দরগার চাতালে বসে প্রার্থনা করছেন।
কানাডার জলে জঙ্গলে
লিসা কখন নিজের হাতে এনে দিয়ে গেছেন জলের বোতল, আপেলের রস আর ওয়েফার। লাঞ্চ প্যাকেট খোলাই হয়নি। পড়েই রইল সেসব।