এবছর মে মাসের এক দুপুরে ট্রেন থেকে নামলাম হলদোয়ানিতে। কুমায়ুনের । এই শহরে শামা রেস্তোরাঁর খুব নাম শুনেছিলাম। হোটেলে মালপত্র রেখে এখানেই মধ্যাহ্নভোজন সেরে কালকের জন্য গাড়ি ঠিক করে নিলাম। অতীতে শুধুমাত্র ট্রেক করেই যাওয়া যেত আদি কৈলাস ও ওম পর্বত দর্শনে। কিন্তু এখন হিমালয়ের দুর্গম এসব জায়গায় মূলত সামরিক প্রয়োজনে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। তার সুবাদে গাড়িতেই যাওয়া যাচ্ছে।
পরদিন চটজলদি প্রাতরাশ সেরে তৈরি হলাম জৌলজিবি যাওয়ার জন্য। পথ অনেকটা, প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার। কাঠগোদাম পেরিয়ে গাড়ি পাহাড়ি পথে উঠতে লাগল। উষ্ণ সমতল ছাড়তেই আমাদের ঘিরে ধরল আরামদায়ক আবহাওয়া। শালের জঙ্গল আর পাহাড় প্যাঁচানো পথে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এসে পড়ল ভীমতাল। টলটলে জলের বিশাল ঝিল। তার মধ্যে আকাশের প্রতিবিম্ব। তার মধ্যে বোটিং। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা নির্জন পরিবেশ। সময় হাতে নিয়ে এলে এক রাত কাটানো যেত।
প্রচুর বাঁক থাকলেও রাস্তা ভালো। গাড়িচালক সুরজ বলল, ধারচুলা পর্যন্ত রাস্তা এরকমই। ধারচুলার কথায় মনে পড়ে গেল, অতি উচ্চতাবিশিষ্ট ও সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় আদি কৈলাস ও ওম পর্বত দর্শনে যেতে শারীরিক সক্ষমতার শংসাপত্র ও আলাদা পারমিট লাগে, সেসব পাওয়া যাবে ধারচুলা থেকেই
ইতিমধ্যে আড়াই ঘণ্টা কেটে গেছে পথে পথে। অবশেষে আলমোড়া বাইপাস ধরে জাগেশ্বরে পৌঁছনো গেল। জটাগঙ্গা নদীর পাড়ে, ঘন দেওদারে আচ্ছাদিত নির্জন জাগেশ্বরের। পরিবেশকে পরিবেশ ভাবগম্ভীর করেছে গ্রানাইট পাথরে গড়া প্রাচীন মন্দিরসমষ্টি। মন্দিরের প্রধান আরাধ্য জাগেশ্বর ওরফে শিব। মন্দিরের বাঁধানো চাতালে দাঁড়িয়ে শান্তি অনুভব করা যায়।
মন্দির দেখে গাড়িতে হাইওয়েতে উঠে এলাম। পাহাড় আর পাহাড়। মাঝেমধ্যে দূর দিগন্তে শ্বেতশুভ্র হিমালয়ের ঝলক। পিথোরাগড়ে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারতে থামা হল। পিথোরাগড়ের বাজার থেকে কেনা হল টুকিটাকি কিছু জিনিস আর শুকনো খাবারদাবার।
هذه القصة مأخوذة من طبعة September - October 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة September - October 2024 من Bhraman.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।