যে-সব মায়েরা এখন দৃষ্টান্ত

প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে আত্মবিশ্বাস। তাই যদি স্বপ্ন সফল করতে চান, তাহলে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলুন। আপনাদের প্রেরণা জোগাতে এখানে তুলে ধরা হচ্ছে সফল মায়েদের কাহিনি।

২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন ‘ক্যাফে কফি ডে’ বা ‘সিসিডি’-র মালিক সিদ্ধার্থ। জানা গেছে, ব্যাবসায়িক ক্ষতির কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। মিডিয়া-র মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছিল একটি সুইসাইড নোট। ওই সুইসাইট নোট থেকে জানা যায়, সিদ্ধার্থ এক প্রফিটেবল বিজনেস মডেল বানিয়েছিলেন কিন্তু তা অসফল হয়। এর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে গেছেন মৃত্যুর আগে। আত্মহত্যার কারণ হিসাবে তিনি আরও উল্লেখ করে গেছেন যে— প্রাইভেট ইক্যুইটি হোল্ডার এবং ঋণ দাতাদের আধিপত্য বিস্তার, সেই সঙ্গে আয়কর বিভাগের অত্যাচার তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না।

সিদ্ধার্থ-র আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর স্ত্রী মালবিকা প্রাথমিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁদের সুখের সংসারটা হঠাৎই ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। একদিকে স্বামীর মৃত্যু, অন্যদিকে কোম্পানির কোটি কোটি টাকা ঋণের বোঝা— সবমিলে মালবিকার মানসিক অবস্থা সমুদ্রে সোনার জাহাজ ডোবা-র মতো হয়েছিল। ছেলেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ও ছিল মালবিকার মনে। কিন্তু এত সব প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মালবিকা মনোবল হারাননি। কোম্পানি-র সমস্ত দায়ভার নিজের হাতে তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে সবকিছু সামলাতে থাকেন। এভাবেই মাত্র দু’বছরের মধ্যে প্রতিকূলতা সামলে উঠে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ায় কোম্পানি। ৩১ মার্চ ২০১৯-এ ক্যাফে কফি ডে-র ঋণের বোঝা ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কোম্পানি-র সিইও হন মালবিকা হেগড়ে। যখন মালবিকা কোম্পানি-র দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন তখন তাঁকে ভাবতে হয়েছিল চারটি বিষয়ে। এক-স্বামী-র মৃত্যুশোক কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন, দুই-পরিবারকে কীভাবে সামলাবেন, তিন- কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন, চার- হাজার হাজার কর্মচারীর চাকরি কীভাবে বাঁচাবেন। কিন্তু সবকিছু সামলে ওঠা কঠিন হলেও, এটা-ই সত্যি যে, অসহায় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সাফল্য পেয়েছেন মালবিকা হেগড়ে।