মরা বাঙালিরা আদতে পেটুক জাতি। যে কোনও ঋতুকে আমরা কোনও না কোনও একটি খাবার দিয়ে বুঝিয়ে থাকি। গরমকাল মানেই যেমন আম, তেমনই শীতকাল মানেই হচ্ছে মোয়া এবং নলেন গুড়। আর গুড়ের মিষ্টি মানেই বা বলা ভাল, শীতকাল মানেই আমাদের মাথায় প্রথম যেটি ঘোরে, তা হল মোয়া। হ্যাঁ, জয়নগর বা বহরুর মোয়া। জয়নগরের মোয়া একটা অদ্ভুত জিনিস। না সে সন্দেশ, না সে রসের মিষ্টি। সামান্য এক খইকে হালকা গুড়ে পাক দিয়ে যে অমন জিনিস বানানো যায়, সেটা কিন্তু আপনি না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। বহরু, জয়নগর আর দক্ষিণ বারাসাত— এই তিনটি জায়গাই হচ্ছে সাউথ সেকশনের তিনটি স্টেশন। পশ্চিমবঙ্গের মোয়ার পীঠস্থান। কিন্তু শুধু গুড় দিয়ে তো আর মোয়া তৈরি হয় না। মোয়া তৈরির জন্য লাগে খইও। কিন্তু যে সে ধানের খই নয়। ‘কনকচূড়’ বলে একটি ধান তৈরি হয় ওই জয়নগর, বহরু চত্বরে। কনকচূড় ধানের খই দিয়ে প্রথম তৈরি হয় জয়নগরের মোয়া। কনকচূড় ধানের খই গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে, হাতে গোল্লা পাকিয়ে, তার মধ্যে একটু খোয়া ক্ষীর, কাজুবাদাম, ইদানীং কালে কিশমিশ, আজকাল পেস্তাও মাঝে মধ্যে একটু দেওয়া হয়, একটু ঘি-ও দেওয়া হয়— সব মিশিয়ে জন্ম হয় ‘মোয়া’-র। মোয়া জিনিসটা কিন্তু অত্যন্ত মোলায়েম স্বাদের। তার মধ্যে সন্দেশ বা রসগোল্লার উচ্চকিত হাবভাব নেই। আর ভাল মোয়ার জীবৎকাল হচ্ছে মাত্র দু'টি মাস। বলে রাখা ভাল, আসল মোয়া এবং নকল মোয়া— এই দু'টির তফাত হয় ভাল জাতের গুড়ের উপর। গুড়ের সাপ্লাই যত কমছে, মোয়ার সাপ্লাই কিন্তু তত কমতে বাধ্য। যদি জয়নগর বা বহরুর মোয়াই আপনাকে খেতে হয়, কোনও এক রোববার সকাল বেলার ট্রেন ধরে আপনি চলে যান জয়নগর বা বহরু স্টেশনে। সকাল বেলা ট্রেনে চাপুন শিয়ালদার সাউথ প্ল্যাটফর্ম থেকে। প্রথমে আপনার সামনে আসবে
هذه القصة مأخوذة من طبعة December 30, 2022 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة December 30, 2022 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।