ফুটবলের চেয়ে শাড়ি আমাকে বেশি আনন্দ দিত

পুরুষ-নারী বাইনারির ঊর্ধ্বে গিয়ে ছুঁয়েছেন সাফল্যের শিখর। নিতাশা বিশ্বাস, ভারতের প্রথম মিস ট্রান্স কুইন। মুখোমুখি অনিকেত গুহ।

জীবনে এক-একটা সময় আসে যেখানে আপনাকে সমাজসভ্যতার বিপক্ষে গিয়ে লড়তে হয়। লড়তে হয় নিজের জন্য, নিজের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। নিতাশা বিশ্বাস তেমনই এক নাম। ভারতের প্রথম ‘মিস টান্স কুইন' তিনিই।

কিন্তু এই যাত্রাপথের শুরুটা ঠিক কেমন ছিল? অকপটে জানালেন সবটা, ‘‘ছোটবেলা থেকেই বুঝতে পারতাম সকলে যেটা দেখানোর চেষ্টা করছে আমি তা নই। ছেলে হয়ে জন্মেছি। মাঠে খেলা, দৌড়ঝাঁপ করা, দাপাদাপি করা— এ সবের কোনও কিছুতেই আমার মন সায় দিত না। ফুটবলের চেয়ে শাড়ি আমাকে বেশি আনন্দ দিত। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতাম— সমস্যা কি আমার মধ্যেই? ধীরে ধীরে বয়স যত বেড়েছে, বুঝেছি আমার মধ্যে বেড়ে উঠছে এক নারী সত্তা। পৃথিবীতে সব কিছুর সঙ্গে ফাইট করা যায়, কিন্তু নিজের সঙ্গে? খুব তাড়াতাড়িই আমি সিদ্ধান্ত নিই যে সাবালক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেন্ডার চেঞ্জ করব। ক্লাস সিক্সে যখন পড়ি, আমার মা ক্যানসারে গত হন। জীবনের একটা দিক খালি হয়ে যায়। আরও সেলফ অবসেস্ড হয়ে পড়ি। মনে হত, বাঁচতে হলে নিজের জন্যই বাঁচব, নিজের মতো করে বাঁচব।” -