লাইটস, ক্যামেরা, নর্থ-ইস্ট!

কেমন আছে উত্তরপূর্বের সাত রাজ্যের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি? সিনেমা কি তাঁদের কাছে ‘আর্টিস্টিক এক্সপ্রেশন', নাকি রাজনৈতিক মূলধন? উত্তর খুঁজলেন উপমা মুখোপাধ্যায়। রইল ১০টি অফবিট ফিচার ও ডকুমেন্টারির সন্ধান।

সা লটা ১৯৩৫ । অসমের ভোলাগুড়ি টি-এস্টেটে ‘চিত্রবান স্টুডিও’ গড়ে তুললেন বছর তিরিশের এক যুবক। কিছুটা ইতিহাস আর কিছুটা সাহিত্য ঘেঁটে এক রাজকন্যার দেশপ্রেমের গল্প নিয়ে বানিয়ে ফেললেন আস্ত এক সিনেমা। যুবকের নাম জ্যোতিপ্ৰসাদ আগরওয়াল। সিনেমার নাম ‘জয়মতী'। সেই শুরু। অসম তথা সমগ্র উত্তর-পূর্বের প্রথম সিনেমা বলতে ওটাই। তবু সমস্যা তো ছিলই। না ছিল মূলধন, না ছিল বাংলা বা মুম্বইয়ের মতো কোনও ইন্ডাস্ট্রি। এরপর এলেন সঙ্গীততাত্ত্বিক ভূপেন হাজারিকা। একদল গাইয়েকে জড়ো করে, পথে পথে ঘুরে গান গেয়ে টাকা তুললেন। ১৯৬৪-তে বানালেন ‘প্রতিধ্বনি'। এরপর সত্তরের দশকে ভবেন্দ্রনাথ সাইকিয়ার পরিচালনায় এল ‘সন্ধ্যারাগ’, ‘অগ্নিস্নান’, ‘কোলাহল’। এবারে, পর পর হোঁচট! আগের হাজার একটা সমস্যার সঙ্গে যোগ হল রাজনৈতিক অস্থিরতা। সে সবের পরেও আশির দশকে আশার আলো হয়ে এলেন জাহ্নু বড়ুয়া। আঞ্চলিক সিনেমার যে নকশা আঁকা শুরু হয়েছে তত দিনে, পুনে এফটিআই-এর ছাত্র জাহ্নু তাতে যোগ করলেন নান্দনিক দর্শন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা। তাঁর ‘অপরূপা’, ‘পাপুরি’, ‘খাগরলই বহু দূর’ সিনেম্যাটিক দৃষ্টিকোণে হয়ে উঠল ‘রিয়ালিস্ট’। অসমের এই ‘ফিল্ম ফিভার’ এরপর প্রবেশ করল মণিপুরে। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ের উপর ডকুমেন্টারি আর নির্বাক ছবির পাশাপাশি, সত্তর-আশির যুগ থেকে এখানেও পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফিচার বানানো