এই শেষ সম্বোধনটার কোনও বেস নেই। ওটা আমায় খুশি করতে, কিংবা রাগাতে। বললাম “ঠিক আছে, ঠিক আছে।” হরিহরদা নিজের আঙুলগুলো মুঠো করে আমার থুতনি ছুঁয়ে, মুখে চুম্বনের মুদ্রা করছিল। চাটুজ্জেবাড়ির কাজের লোক হরিহরদা। বয়স পঁয়ষট্টি। বা পঁচাত্তরও হতে পারে! জন্মাবধি দেখছি। বছরকয়েক আগে চাটুজ্জেবাড়ির মেয়ে বীথির সঙ্গে আমার প্রেম ছিল। সেটা এই বুড়ো জেনে যায়। তখন থেকেই আমায় জামাই সম্বোধনে মজা করে। বীথিকে আমি রিফিউজ় করেছিলাম।
এ বুড়ো সেটাও জানে। আমায় বলেছিল, “বেঁচে গেলি।” চাটুজ্জেরা আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। ওদের আর আমাদের, দুটোই পুরনো বাড়ি। দুই প্রপিতামহ এই জায়গাটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। সামনেটা ওদের, পিছনদিকে আমাদের বাড়ি। আমরা তিন পুরুষের কেরানি। চাটুজ্জেদের বড় ব্যবসা, তামাকের হোলসেলার। তাই সামনেটা ওরা নিতে পেরেছিল। ওদের বাড়ির পাশ দিয়ে একখানা সরু... সরু মানে চার ফুটের গলি আমাদের প্রবেশপথ।
এই চার ফুটের গলিখানা আমাদের জেনারেশন ওয়াইজ় একটা স্থায়ী হীনম্মন্যতা। সেই কমপ্লেক্স আমার আর একটু বেশি। রাত ন'টা কি সোয়া ন'টা বাজছিল সেদিন, আমি বাড়ি ঢুকছিলাম, বীথি রাস্তা আটকে বলল, ‘‘একটু এদিকে আয়।” এদিকে মানে দু’বাড়ির মাঝখানে এক ফালি ফাঁকা জায়গাটা। নিচু পাঁচিল, একটা সরু নালা। তবে পুরো অন্ধকার নয়, আমাদের সদর দরজার মাথায় লাগানো বাল্বের আলো সেখানে ক্ষীণ পৌঁছয়। বীথি খুব টাইট পোশাকে ছিল, জিনসের উপর নিচু গলার টপ। বীথি আমাকে... বলব? আচ্ছা, বলেই ফেলি। বীথি সেদিন আমাকে কষিয়ে একটা থাপ্পড় মেরেছিল। বীথির ডাকনাম মিনু। আমাদের বাড়িতে তাকে মিনু বলেই ডাকা হত। কেবল গলির ওই অন্ধকারে প্রায় বছরখানেকের যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত আবেগে তাকে কোনওদিন বীথি বলতাম, কখনও বোধহয় মিন!
বীথি হেসে বলেছিল, ‘‘এক একদিন এক এক নামে ডাকছিস যে?” আমার তখন মাথা বোঁ বোঁ, চোখে ঘোর এবং শরীর ভর্তি গ্যাসঅম্বলের মতো আবেগ। আমি জবাব দিইনি। কেবল বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছাত্রের ইংরেজি উচ্চারণে বলেছিলাম, “ইউ আর আ ওয়াইল্ড উডবাইন.….. ডোন্ট নিড এনি নেম...” ( বীথি ইংরেজি মিডিয়ামে পড়া মেয়ে হলে কী হবে, মাধ্যমিক ফেল।
هذه القصة مأخوذة من طبعة August 30, 2023 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة August 30, 2023 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।