সো । মনাথ বলতেন, “বুঝলে হে সুচি, অর্থবল যার যেমনই হোক, বংশপরিচয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। অভিজাত বংশের বাচ্চারা দিনহীন হলেও কারও দয়া নিতে তাদের বাধে। তাদের আত্মসম্মানবোধ প্রচুর।” বাপ্পার পূর্বপুরুষেরা একদা বংশানুক্রমে রায়চৌধুরীদের গাড়োয়ানের কাজ করেছে। রাজত্ব চলে যাওয়ার পরেও বহুদিন রমরমা ছিল এঁদের অবস্থা। ধনে মানে স্বজনে চাকরে গমগম করত এই প্রাসাদ। বাপ্পার ঠাকুরদা আমৃত্যু এবাড়ির সেবা করেছে। অবস্থা যখন তলানির দিকে, ঘোড়াশালের থেকে শেষ বুড়ো ঘোড়াটিও যখন দেহ রেখেছে, একে একে ছুটি নিয়েছে নায়েব, খাজাঞ্চি, পারিষদ, মোসাহেবের দল, তখনও পুরনো বিশ্বস্ত চাকর হিসেবে রয়ে গিয়েছিল সে। বাপ্পার বাবা আশুতোষও কিশোর বয়সে কিছুদিন এ বাড়ির ফাই-ফরমাস খেটেছিল। সে অবশ্য খুব অল্পদিনের জন্যই। তখন যদিও রায়চৌধুরীদের অবস্থা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। জমিদারি গেলেও শুধু জমিদারি মেজাজটা অক্ষুণ্ন ছিল এ বাড়ির পুরুষদের। আয় কমে গেলেও ব্যয়ের হাতে লাগাম টানেনি কেউ। ফলে সঞ্চিত রসদ ফুরোতে সময় লাগেনি। সুচিত্রার যখন বিয়ে হল, এ বাড়ির পুরনো গৌরব আর নেই। তখন এই পরিবার বারো শরিকে বিভক্ত। অভাব কালো ছায়া বিছিয়েছে চারদিকে। সুচিত্রার অক্লান্ত চেষ্টায় ছোট মেয়ে সুনয়নারও বিয়ে হয়ে গেল দেখতে দেখতে। তবে বিয়ের বাজারে ওর রূপ খুব একটা কাজে দেয়নি। মায়ের অবশিষ্ট সমস্ত গহনা দিয়ে, এবং বাজারে বেশ কিছু ঋণ করে বোনের বিয়েটা সারল সূর্যতপা। যেন গঙ্গাস্নান করলেন সুচিত্রা! যদিও বড় মেয়ের জন্য নিজের এক দানা সোনাও রাখতে পারেননি তিনি, উপরন্তু ঋণে জর্জরিত করেছেন, তবু কন্যাদায়ে একটা মুক্তির স্বাদ তো আছেই! এবার সূর্যতপার বিয়েটা হয়ে গেলেই তাঁর ষোল আনা পূর্ণ। সময় যেন পাগল ঘোড়া। লেজ দুলিয়ে ছুটছে তো ছুটছেই। সেই ছোটার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে সূর্যতপা।
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 15, 2023 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 15, 2023 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।