অদূরে বাজছে বিয়ের সানাই। আর এদিকে দ্বন্দ্বে-আনন্দে মনের মধ্যে চলছে এক অদ্ভুত দোলাচল। কথায় বলে, লাখ কথার পর হয় বিয়ে। তা মনই বা কেন একরকম কথা বলবে?
এক-একজনের কাছে বিয়ের ধারণা, সংজ্ঞা এক-এক রকম। বেনারসির রং কেমন হবে, ঠিক কীভাবে হবে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান, প্রি-ওয়েডিং শুটের লোকেশনই বা কোথায় হবে—আয়োজনের আতিশয্য নিয়ে উৎসাহউদ্দীপনা থাকে তুঙ্গে। কিন্তু এই সব উন্মাদনার ভিতরে চোরাস্রোত হয়ে বয়ে চলে এক অদ্ভুত টেনশন। কেমন হতে চলেছে আগামী জীবন—এই নিয়ে হাজারো প্রশ্ন, কনফিউশনে উথাল-পাথাল হয় মন।
এ কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না, যে আমাদের এই সমাজে বিয়ে কেবল দুটো মানুষের মধ্যে হয় না। হয় দুটো পরিবারের মধ্যে। যে বাড়িতে, যে পারিপার্শ্বিকতায় একটি মেয়ের বড় হয়ে ওঠা, সেই সংস্কৃতি-পরিবেশের সঙ্গে কি আদৌ হবু শ্বশুরবাড়ির ছবিটা মিলবে? নিজের এতদিনের ঘর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া, সেটা কি তার ‘একান্ত আপন’ হতে পারবে? এই নিয়ে তৈরি হয় অ্যাংজ়াইটি। আর বিয়ের পর এই অ্যাংজ়াইটিই বদলে হয় ‘সেলফ ডাউট’। শ্বশুরবাড়ির কারওর যদি মুখ ভার হয়, মনে হতে থাকে তার জন্যই মুখ তার বাংলার পাঁচ!
শুরুয়াত যেখানে আজকের ফাইভ জি স্পিডের দিনে সব জিনিসই আমরা বড্ড তাড়াতাড়ি চাই। নতুন পরিবেশে গিয়ে মানিয়ে নেওয়া নেহাতই চোখের পলকে হয়ে যাওয়ার নয়। এটা একটা প্রক্রিয়া, যার জন্য দরকার উপযুক্ত সময়। সেই অনুযায়ী অপেক্ষা করার মানসিকতা বা ধৈর্য খুব স্বাভাবিক কারণেই আজকের আধুনিকাদের মধ্যে কম। কারণ তাদের বেশিরভাগ বাঁচাটাই ‘ডেডলাইন’ নির্ভর। বিবাহ দু’জন মানুষকে একসঙ্গে থাকার কাগজে-কলমে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু এখন তো বিয়েকে কেবল সন্তান উৎপাদনের সামাজিক ব্যবস্থা বলা চলে না। এটা একটা পুরোদস্তুর সিস্টেম। যাতে মিশে রয়েছে মনের নানা পরত। ‘স্যাক্রিফাইস' ও ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট'-এর ক্রমাগত স্থানান্তর এই ‘বিয়ে’ নামক সিস্টেমটির আসল কথা। আজকের মেয়েরা স্বাধীনচেতা। নিজের জীবনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত এতকাল নিয়েছেন স্বয়ং তাঁরা। বিয়ের পর তাতে আরও পাঁচজনের হস্তক্ষেপ শুরু হয়ে যায়। অথবা সেই সিদ্ধান্ত কাস্টমাইজ় হতে শুরু করে এই সিস্টেম অনুযায়ী। আর এখান থেকেই হয় সমস্যার সূত্রপাত।
هذه القصة مأخوذة من طبعة 30 Nov, 2023 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة 30 Nov, 2023 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
আমি জীবনকে ভালবাসি। জীবনের প্রত্যেকটা দিন ভালবাসি
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন শিল্পী মল্লিকা সারাভাই। নৃত্য উপস্থাপনার মাধ্যমে দিলেন একাধিক জরুরি বার্তা। পারফরম্যান্সের পরে তাঁর মুখোমুখি মধুরিমা সিংহ রায়।
আইন
আপনাদের পাঠানো আইনি প্রশ্নের সদুত্তর দিচ্ছেন বিশিষ্ট আইনজীবী দ্যুতিমালা বাগচী।
সমাধান যখন আইভিএফ
আইভিএফ করালে জীবনধারায় কেমন পরিবর্তন আনা জরুরি? এ নিয়ে ভুল ধারণা কী কী? জানাচ্ছেন ইনফার্টিলিটি ও আইভিএফ স্পেশ্যালিস্ট ডা. সুজয় দাশগুপ্ত। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
ঘরোয়া রূপটান
বাড়িতেই হতে পারে রূপটান। টিপস দিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ শেহনাজ হুসেন।
কাঠচম্পা সাক্ষী
মনের গভীরে একটা দুঃখ চেপে বসে থাকে কমলার। বড় ছেলের বিয়ে হয়েছে। আর বাড়ির বৌ এক রাতও এ বাড়িতে থাকেনি। এক বার ‘মা’ বলেও ডাকেনি। ছোট ছেলের বিয়ে তো নিজেই দেখে দিলেন। তফাত তেমন কিছু হয়নি। শান্ত স্বভাবের। কম কথা বলে মেয়েটি। আসলে সমাজে পরিবর্তন এসেছে।
স্বাদ-এ শেফ ১
চিকেন বা মাছের যে কোনও পদ বহুল জনপ্রিয় বাঙালিদের মধ্যে। চিরায়ত সেই স্বাদকেই নতুন আঙ্গিকে ধরেছে ডাইনার ৪৯বি। বিভিন্ন রেসিপির মধ্যে থেকে চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফের কর্ণধার সপ্তক মান্না।
হার্টের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি: ট্যাভি
বয়স্কদের ক্ষেত্রে অ্যাওটিক স্টেনোসিসের চিকিৎসায় ওপেন হার্ট সার্জারির বদলে জনপ্রিয় হচ্ছে নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি—‘ট্যাভি’। বিশদে আলোচনা করলেন বিশিষ্ট কার্ডিয়োলজিস্ট ডা. শুভানন রায়। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
প্রসঙ্গ পপ-আপ
কোনটা প্রদর্শনী, কোনটা পপআপ? পপ-আপ করতে গেলে কী মাথায় রাখা উচিত? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
হাইএন্ড পপ-আপ সংস্কৃতি
দোকান, শপিং মল বা অনলাইন কেনাকাটাকে কয়েক গোলে পিছনে ফেলে দেবে লাইফস্টাইল পপ-আপের ক্রেজ। শহর জুড়ে বছরভর আয়োজিত হচ্ছে একাধিক হাইএন্ড পপ-আপ। যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সম্ভ্রান্ত রুচিবোধ ও সাধবিলাসের স্বপ্ন। শহুরে এই নতুন ট্রেন্ডের খোঁজ করলেন অনিকেত গুহ
পপ-আপে সফল যাঁরা
নিজেদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁদের ধ্যান-জ্ঞান। পপআপ তাঁদের সেই সাফল্যের পথে অন্যতম জরুরি মাধ্যম। পপআপে সফল এমন ৮ জন নারীর গল্প শুনলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।