শীতে ফিট থাকার গাইডলাইন

শীতে কেন এক্সারসাইজ় করা জরুরি? ইমিউনিটি বাড়াতে ও ক্যালরি বার্ন করতে কেমন হবে এক্সারসাইজ় রুটিন? কীভাবেই বা আলস্য ঝেড়ে ফেলে ঘাম ঝরাবেন? জানাচ্ছেন স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং ও লাইফস্টাইল কোচ সুমনা দত্ত বর্মন। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।

যদিও ফিটনেস বিষয়টা মরসুমি নয়, কিন্তু শীতে ফিট থাকার কিছু চ্যালেঞ্জ যেমন রয়েছে, তেমনই প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। একে তো এত উৎসবঅনুষ্ঠানের ভিড়ে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানাই এ সময়ে মুশকিল! এর দোসর শরীরচর্চায় আলস্য। কিন্তু ফিটনেস বজায় না থাকলে তো ইমিউনিটিতে ঘাটতি হতে পারে, হতে পারে শীতজনিত নানা সমস্যাও। তাই, নিজেকে এক্সারসাইজ় করতে উদ্বুদ্ধ করুন নিজেই...

শীতে ইমিউনিটি বাড়াতে এক্সারসাইজ় শীতের সময় কমন ফ্লু-তে ভোগেন অনেকেই। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। ঠান্ডার জন্য শরীরের ইমিউনিটি কমে যাওয়া এর একটি কারণ। নাক হল বাইরের জগৎ ও আমাদের শরীরের পারস্পরিক যোগাযোগের কেন্দ্র। তাই, ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাস বেশিরভাগই নেজ়াল ক্যাভিটি দিয়ে শরীরে ঢোকে। শরীর যে তাপমাত্রায় অভ্যস্ত, তার চেয়ে নেজ়াল টিসুর তাপমাত্রা যদি পাঁচ ডিগ্রি কমে যায়, তাহলে ইমিউনিটিতেও ঘাটতি হতে পারে। শরীরে থাকা একস্ট্রা সেলুলার ভেসিকলস ভাইরাস ঢোকার পথে সেখানেই তাকে শনাক্ত করে লড়াই করার চেষ্টা করে। এর ফলে, ইমিউনিটিতে ঘাটতি হয়। ঠিক এখানেই ওয়র্কআউটের ভূমিকা রয়েছে। এক্সারসাইজ় আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি সঞ্চালন ঘটায়। একজন অলস মানুষ আর একজন শারীরিক কসরত করা মানুষের মধ্যে এই অ্যান্টিবডি সঞ্চালনের প্রক্রিয়া আলাদা এবং অনেক বেশি দ্বিতীয় ক্ষেত্রে। বুঝতেই পারছেন, শীতে এত বিয়েবাড়ি, উৎসব, নেমন্তন্ন। এর মধ্যে অসুস্থ হতে কেউই চান না। এক্সারসাইজ় করে ইমিউনিটি বাড়ানোই এই সময়ে লক্ষ্য হওয়া উচিত।

ক্যালরি বার্ন, মেটাবলিক রেট, স্ট্রেংথ ট্রেনিং...

আর একটি বিষয় হল, পার্টিতে যাতে নিজেকে সুন্দর দেখায়, শেপে দেখায়, তার জন্যও শারীরিক কসরত জরুরি। যে হারে একজন ব্যক্তির শরীর ক্যালরি বার্ন করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা থেকে এনার্জির জোগান পায়, তাই হল মেটাবলিক রেট। শরীরকে তার কোর টেম্পারেচার ধরে রাখার জন্য শীতে বেশি ক্যালরির প্রয়োজন হয়। এতে শরীরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টি কত