আমার কাজের ডার্ক হিউমরটা সকলে ধরতে পারে না

কনসেপচুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে তাঁর শিল্প সমাদৃত গোটা বিশ্বের দরবারে। বঙ্গকন্যা মিঠু সেন-এর মুখোমুখি উপমা মুখোপাধ্যায়

- উপমা মুখোপাধ্যায়

ইন্টারনেট বলে, তিনি ভারতীয় ভাববাদী শিল্পী। কিন্তু মিঠু সেনের কাজের পরিসর সেই বিশেষণের চেয়েও বেশ খানিকটা ব্যাপৃত। সম্প্রতি তাঁর একক চিত্র প্রদর্শনী ‘মাদারটাং' (‘mOTHERTONGUE’) অনুষ্ঠিত হল ‘অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর কন্টেম্পোরারি আর্ট'-এ। শিল্প মানে তাঁর কাছে পেন্টিং বা স্কাল্পটিং ছাপিয়ে এক সামগ্রিক বেঁচে থাকার নামান্তর। ১৯৭১-এ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তাঁর জন্ম। আর্টের প্রথাগত ডিগ্রি শান্তিনিকেতনের কলা ভবন থেকে। সেখানকার শিল্পচর্চাই কী তাঁর শৈল্পিক অনুপ্রেরণা? “ছোটবেলা থেকে কবিতা লিখতে খুব ভালবাসতাম। আমার মা একজন কবি। মা-কে দেখেছি, সংসার ভুলে, সবকিছু ভুলে কেমন মগ্ন হয়ে খালি কবিতাই লিখে যেতেন। ছবি আঁকা বিষয়টাকে আমি এখনও কতটা বুঝি, জানি না। তবে মায়ের ওই মগ্নতাটা বুঝেছি। সেটাই বোধহয় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। আমি সারাজীবন এমন কিছু খুঁজছিলাম, যেটা গতানুগতিকতার বাইরে। শান্তিনিকেতনের পরিবেশ আমাকে একটা আলাদা এস্থেটিকের খোঁজ দিয়েছে।” তখন শিল্পী যোগেন চৌধুরি শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতা করতেন। “প্রত্যেক পরীক্ষাতেই কম নম্বর পেতাম। কিন্তু যোগেনদা বলেছিলেন ‘তুমি অনেক দূর এগোবে, নম্বর নিয়ে ভেবো না।' এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই আমার শিল্পী হয়ে ওঠার কারণ কি না, সেটা এখন একজন পেশাদার শিল্পী হিসেবে বলা মুশকিল।”