এক্সারসাইজ় চলুক নিয়ম মেনে....

তীব্র গরম, সিজ়ন চেঞ্জ – এ সবের বাইরেও রয়েছে বার্ধক্যের চোখরাঙানি। শরীরের ‘মন’ বুঝে ফিট থাকার মন্ত্র দিচ্ছে সানন্দা।

তী ব্র গরমে নাকাল রাজ্যবাসী। সামান্য বেনিয়মেও বিগড়োচ্ছে স্বাস্থ্য। প্রাণঘাতী তাপপ্রবাহে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা হিট এগড়শানের মতো ঘটনাও। আর এই পরিস্থিতিতে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বিপদে প্রবীণ নাগরিকরা। কোভিড কাল আমাদের শিখিয়েছে সুস্বাস্থ্যের গুরুত্ব। তাই ‘সিক্সটি প্লাস' জেনারেশনও এখন যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন। প্রবীণ নাগরিকের একটা বড় অংশ সকাল বা সন্ধের সময়কে বেছে নেন শারীরিক কসরতের জন্য। এবং সেটা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর অভ্যেস। কিন্তু সঙ্গতে চাই বিজ্ঞানসম্মত গাইডলাইন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে অসুখ-বিসুখের উপদ্রব। তাই আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা ও শারীরিক সামর্থ্য জেনে তবেই ওয়র্কআউট করুন। থাকছে বয়সকালীন শরীর, স্বাস্থ্য ও ওয়র্কআউটের গাইডলাইন...

কেন জরুরি? আবহাওয়া স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই প্রতিকূল। আর প্রসঙ্গ যখন বয়স্কদের ফিটনেস গাইডলাইন, তখন বছরের বাকি সময়ের তুলনায় কিছু বাড়তি সাবধানতা থাকবেই। • সকালের দিকে হাঁটা অনেকেরই অভ্যেস, সেটা অবশ্যই ভালও। কিন্তু প্রখর রোদের সংস্পর্শ এড়াতে হবে। সঙ্গে হেলথ মনিটরিং প্রয়োজন। আপনি নিয়ম করে মর্নিং ওয়াকে বেরোন, কিন্তু সকালের দিকেই আপনার ব্লাড প্রেশার বেশি থাকে। তা হলে সেটা কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। প্রয়োজন স্লিপ সাইকল বা পর্যাপ্ত ঘুমেরও

• ডায়াবিটিস, কিডনির সমস্যা, হাইপার টেনশনের সমস্যায় বিশেষ সতর্ক হোন। এক্সারসাইজ় শুধু নয়, সঙ্গে পরিমাণ মতো জল পান করুন। নচেৎ, কিডনি (জল মেপে না খেলে এ ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায় ও ‘ভিশিয়াস সাইকল' শুরু হতে পারে) বা হার্টের সমস্যা (ব্যক্তি বিশেষে আলাদা আলাদা সমস্যা দেখা দেয়, যেমন ইসকেমিক কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি অর্থাৎ, স্বাভাবিকের তুলনায় হার্টের আকার যদি বড় থাকে তা হলে সামান্য হাঁটাতেই ব্যক্তি হাঁপিয়ে যাবেন ও হাঁপানিজনিত সমস্যার আশঙ্কা থাকবে) বাড়তে পারে।