অস্টিয়োপোরোসিস ও সুস্থতা

অস্টিয়োপোরোসিসের কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকার বিষয়ে কথা বললেন কলকাতার নামী হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধান ডা. রাকেশ রাজপুত। লিখছেন দেবলীনা অধিকারী।

নানা কারণে হাড়ের গঠনগত পরিবর্তনের জন্য হাড় ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে পড়ে। হাড়ের গঠনগত বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গেলে দু'ধরনের গঠনের কথা উল্লেখ করতে হয়। হাড়ের বহির্ভাগ একটি শক্ত খোল দ্বারা আবৃত থাকে, একে বলে কটিকল। তার নীচের অংশে নরম মৌচাকের মতো ছিদ্রবহুল জালিকা থাকে, একে বলে ট্র্যাবেকুলার বোন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের জালিকাগুলো বড় হতে থাকে। এর ফলে হাড়ের গঠনগত পরিবর্তন হয়, ধীরে ধীরে ঘনত্ব কমতে থাকে। হাড়ের ক্ষয় দ্রুত হতে শুরু করে এবং রক্ত থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ সংগ্রহ করতে পারে না। নতুন টিসুও তৈরি হয় না। সামান্য শারীরিক আঘাতেই হাড় ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থারই বৈজ্ঞানিক নাম অস্টিয়োপোরোসিস।

কাদের হয়? যেহেতু এই রোগ বয়স নির্ভর, তাই ষাটোর্ধ্ব মানুষদের এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পুরুষদের সাধারণত আরও দশ বছর পর থেকে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । পোস্ট মেনোপজের পরে মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় বেশি থাকে। । পরিবারের কেউ আগে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে বা ওবিসিটির সমস্যা থাকলে এই রোগের আশঙ্কা বাড়ে। >> শরীরের গঠন খুব ছোট হলে বা হাড় পাতলা হলে পরবর্তীকালে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া কোনও কোনও রোগের কারণেও কম বয়সে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে— থাইরয়েড বা হরমোনাল সমস্যা । ডায়াবিটিস লিভার বা কিডনির সমস্যা অটোইমিউন ডিজ়িজ় যেমন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস। এ ছাড়াও যাঁরা বহু দিন ধরে ডায়াবিটিসের ওষুধ খাচ্ছেন, স্টেরয়েড নিচ্ছেন বা দীর্ঘ দিন ধরে হরমোন থেরাপির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।