
স ময়টা একদম ভাল যাচ্ছে না অভিনেতা রণজিতের। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে সংসদের সদস্য হওয়ার বদলে এবার না তাঁকে জেলের ঘানি টানতে হয়! যদিও তার সেক্রেটারি কাম পিআর ম্যানেজার কাম ড্রাইভার অসিত বাবু তাঁকে অভয় দিয়ে চলেছেন, “ও আপনি কিচ্ছু চিন্তা করবেন না স্যর, নতুন নতুন রাজনীতিতে এলে এ রকম সমস্যা একটু হয়েই থাকে, দেখছেন না রোজ খবরের কাগজে কোনও না কোনও প্রার্থীর কেচ্ছা ছাপা হচ্ছে! আরে এ সব হল বিপক্ষ পার্টির চক্রান্ত, প্রার্থীর ভোট প্রচারে ভয় পেলেই অপোনেন্ট পার্টি এ সব ঝামেলা পাকিয়ে বেড়ায়। এসব নিয়ে আপনি কিচ্ছু ভাববেন না, এতে বরং আপনার প্রচারই হচ্ছে। আর এমনিতেও, আমাদের দেশে একবার জেলে না গেলে কেউ রাজনীতিবিদ হতেই পারে না।” অসিত বাবুর কথা শুনে পিলে চমকে উঠেছে রণজিৎ বাবুর। তার চোদ্দো পুরুষের কেউ কোনও দিন জেলে যায়নি, বাবা-কাকারা সব ছিলেন নির্বিবাদী ভাল মানুষ, কখনও কারও সঙ্গে ঝগড়া করতেন না, কোনও বিবাদ শুরু হওয়ার আগেই হার স্বীকার করে নিতেন। তাই পাড়ার কোনও না কোনও লোক রোজ সকালে বাড়িতে আসত ঝগড়া করতে, “এ কি প্রাণগোপাল বাবু, কাল আপনাদের বেড়ালটা আমাদের বাগানের সব সজনে গাছ মুড়িয়ে খেয়ে নিয়েছে!” “কিন্তু থরহরি বাবু বেড়াল তো শাকসবজি খায় না, আর আমাদের বাড়িতে তো কোনও বেড়াল নেই....” “কী! বেড়াল শাকসবজি খায় না! আমি স্পষ্ট দেখলাম একটা বেড়াল আমার বাগানের সজনে ডাঁটা চিবোতে চিবোতে রাস্তা পার হয়ে আপনার বাড়ির পিছন দিকের পাঁচিলটা টপকে ঢুকল... ওটা নির্ঘাত আপনাদেরই বেড়াল... দিন আমার ডাঁটার দাম দিন।” 66 “তা হলে হয়তো আমাদেরই বেড়াল হবে, কত দিতে হবে?” “দিন, একশো টাকা দিন।” “ওই ক’টা ডাঁটার দাম একশো টাকা?” “কী বলছেন মশাই, অতগুলো ডাঁটা অন্তত হাফ কিলো পাঁঠার মাংসের সমান তো হবেই। নিন নিন আর দেরি করবেন না, দেবেন? না কি পুলিস ডাকব?”
“না, না, পুলিশ ডাকার আবার কী দরকার, এই নিন....” এ হেন নিরীহ পরিবারের ছেলে রণজিৎ যদি জেলে যান, তা হলে তাঁর বাবা তাঁকে নিশ্চয়ই ত্যাজ্য পুত্র করবেন। কেন যে অসিত বাবুর কথা শুনে রণজিৎ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন! এখন সেই মনোনয়নের ঠেলায় উপনয়নের এত দিন পর তাঁকে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে।
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 15, 2024 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 15, 2024 من SANANDA.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول

নো ডে উইদআউট আ লাইন
পরেশ মাইতি ও জয়শ্রী বর্মণের জীবন জুড়ে রয়েছে রং আর তুলি। যদিও তুলির টানে, রঙের রেখায় তাঁদের দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু মিলে যান অন্তরের আহ্বানে। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনে পারমিতা সাহা।

দাম্পত্যের মন
একে দাম্পত্য, তার উপর আবার মন— - জটিলতা তো থাকবেই! মনস্তত্ত্বের সেই বহুবিধ ও বহুস্তরীয় জটিলতা ও পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।

প্রাসাদে ন্যুব্জ নগরী!
কলকাতা শহরে বহুতল হেলে পড়ার নেপথ্যের কারণ কী? আগামী দিনে সত্যিই কি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এই শহর? আলোচনায় ভূবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুজীব কর। লিখছেন পৃথা বসু।

গিয়ে বারে সিনড্রোম
দেশ জুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম ‘গিয়ে বারে’ বা জিবি সিনড্রোম। চিকিৎসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দিচ্ছেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন অনিকেত গুহ।

রুমমেটের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক
সম্পর্কে জড়ানো হোক বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা, প্রতিটা সিদ্ধান্তই ভেবেচিন্তে নিন।

রূপ রুটিনের নয়া ট্রেন্ড ‘স্লাগিং’
বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের এক অতি পরিচিত ট্রেন্ড, স্লাগিং । বিশদে আলোচনা করলেন রূপ বিশেষজ্ঞ মৌসুমী মিত্র। লিখছেন পৃথা বসু।

নিশিগন্ধা-অরণ্য কাহিনি
অরণ্যের ঘরে ঢুকে নিশিগন্ধা থ মেরে যায়। ও যেন এক রঙিন স্বপ্নের মায়া জগতে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে রাখা উল্টো দিকের ইজেল থেকে হরেক রঙের বাহারে আর এক নিশিগন্ধা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর গজ দাঁতটাও কী জীবন্ত! কী অপূর্ব রঙের কাজ! অনেক আদরে সোহাগে নিখুঁত ভাবে বোলানো হয়েছে প্রতিটা তুলির টান।

দাম্পত্য সন্তান, সমীকরণ
স্বামী-স্ত্রী-সন্তান, দাম্পত্যনামার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সন্তানলাভের পরেও কি অটুট থাকে দাম্পত্যের রসায়ন? সম্পর্কের ব্যতিক্রমী প্রবাহে কতটা ‘সুখী’ হয় দাম্পত্যজীবন? বোঝার চেষ্টায় অনিকেত গুহ।

আমার কাছে ঢাকিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ একটা আন্দোলনের মতো
পুজো মণ্ডপ থেকে ঢাককে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রবিশঙ্কর থেকে জাকির হুসেন, আমজাদ আলি খান... বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করেছেন নামী শিল্পীদের সঙ্গে। এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপক গোকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

জঙ্গল, পাহাড় এবং নদীর সঙ্গম
এমনই এক জায়গা চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেস্ট। নেপালের বুকে যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করলেন পারমিতা সাহা।