মিথ্যে বলছে!

আপনার সন্তান কি মিথ্যে বলছে? কী তার কারণ? সামলাবেনই বা কী ভাবে? লিখছেন পৃথা বসু।

- পৃথা বসু।

সকল বাবা-মায়েরাই চায় নিজের সন্তানকে একজন সৎ মানুষ হিসেবে বড় করে তুলতে। কিন্তু আপনার সন্তান যদি মিথ্যে কথা বলে, আপনি একটু চমকে যান বইকি! ফুলের মতো শিশুটিও বাস্তবের ধুলো-কাদা গায়ে মেখে মিথ্যে বলতে শিখে গিয়েছে ভেবে খানিক হতাশও হন। তবে গবেষণা কিন্তু বলছে অন্য কথা। সেখানে বলা হচ্ছে, শিশুদের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি মাইলফলক হল এই মিথ্যে বলা। এর নেপথ্যে কিছু কারণ রয়েছে। কী ভাবে সামলাবেন? রইল বিস্তারিত আলোচনা—

কারণ কী? ■ শাসন থেকে বাঁচতে: পরীক্ষায় তেমন ভাল ফল না করলে অনেক বাবা-মা বকাবকি করেন। কেবল বকাবকি নয়, শাস্তির বহর বাড়তে বাড়তে অনেক সময়ে খেতে না দেওয়া বা ঘরে আটকে রাখার মতো অবস্থাতেও পৌঁছয়। সাইকোথেরাপিস্ট জলি লাহা বলছেন, “এই বিষয়টি বাচ্চাদের মিথ্যে কথা বলার নেপথ্যের অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে। তাই পরীক্ষায় হয়তো পেয়েছে ১৯, বাড়িতে বলল ৯০। সে কিন্তু জানে মার্কশিট হাতে পেলে মা সবই জানবে। কিন্তু সে তো অনেক পরের ব্যাপার। তাৎক্ষণিক ভাবে সে যদি মিথ্যের আশ্রয় নেয়, তা হলে অন্তত আগামী কয়েক দিন তাকে তার প্রিয় কাজগুলো থেকে বঞ্চিত হতে হবে না।”

বন্ধুদের মনোযোগ পেতে: অনেক সময়ে বাচ্চারা অনেক কথা বাড়িয়ে বলে। এর মূল কারণ নিজেকে জাহির করা বা অন্যদের মনোযোগ পাওয়া। গ্রীষ্মের ছুটিতে হয়তো বাড়িতেই ছিল, কিন্তু বন্ধুদের কাছে বলল যে, সুইৎজ়ারল্যান্ড গিয়েছিল।