মাঙ্কিপক্স: চিকিৎসা ও সচেতনতা

বিশ্বজুড়ে নতুন ত্রাস ‘মাঙ্কিপক্স’। সামনে আসছে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ। ডায়াগনসিস ও সাবধানতা নিয়ে কথা বললেন বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয় ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।

- অনিকেতগুহ।

সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করে। যদিও সেই সংক্রমণ ছিল নিতান্তই দুর্বল ভ্যারিয়েন্টের। কিন্তু চিকিৎসকদের চিন্তা আরও কিছুটা বাড়িয়ে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে কেরলের মলপ্পুরমে এক ব্যক্তির শরীরে এমপক্সের শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলল। মাঙ্কিপক্সের এই উপরূপে প্রথম কেউ আক্রান্ত হলেন ভারতে এবং তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে। গত মাসেই এমপক্সের সংক্রমণ ও তার নতুন উপরূপ ক্লেড ১ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই আশঙ্কা সত্যি করে এ বার ভারতেও ঢুকে পড়ল মাঙ্কিপক্সের ভয়ঙ্করতম ভ্যারিয়েন্ট।

মাঙ্কিপক্স কী? উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে স্মল পক্সকে দূরীভূত করা সম্ভব হয়েছে। বস্তুত এই প্রক্রিয়া চলেছিল দীর্ঘ সময় ধরে। ভ্যাকসিনেশন, প্রতিষেধক ও সার্বিক সচেতনতাই ছিল এই সাফল্যের প্রধান হাতিয়ার। চলতি বছরের প্রায় গোড়া থেকে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এমপক্স তথা মাঙ্কিপক্সের নাম। প্রাথমিক ভাবে ইউরেশীয় দেশগুলোতে এর প্রকোপ শুরু হলেও জুন, জুলাই মাস নাগাদ এটি দ্রুত ছড়াতে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। সেই তালিকায় বাদ যায়নি আমাদের দেশও।