CATEGORIES
Kategorien
ভ্রমণচিত্রের সহজপাঠ||
বেড়াতে গিয়ে আমরা সবাই ছবি তুলি। কিন্তু যে খুঁটিনাটি জানা থাকলে আপনার ছবি হয়ে উঠতে পারে একটি অনন্য ভ্রমণচিত্র, এখানে তারই ধারাবাহিক সহজপাঠ। এই সংখ্যায় পঞ্চম পর্ব।
বনের পাখি ডেময়জেল ক্রেন
সারস বা ওর নানান প্রজাতির দেখা রস বা Crane-এর নানান প্রজাতির দেখা মেলে আমাদের দেশে। তার মধ্যে অন্যতম হল ডেময়জেল ক্রেন {Demoiselle Crane}, যার বিজ্ঞানসম্মত নাম— Grus virgo৷ সারসের বাকি প্রজাতিগুলাের মধ্যে এরা আকারে সবথেকে ছােট প্রজাতি। পাখিটিকে স্বচক্ষে দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা হয় গুজরাত ভ্রমণের সময়। গুজরাতের কচ্ছের ক্ষুদ্র রনে বিক্ষিপ্তভাবে নানা জায়গাতে এদের চোখে পড়লেও মূলত বেশি সংখ্যায় দেখি কচ্ছের ক্ষুদ্র রনের বাজনা ক্রিক {Bajana Creek} নামক অতি স্বল্প জনবসতি-যুক্ত একটি অঞ্চলে। অঞ্চলটি পক্ষি-প্রেমিকদের কাছে মূলত একটা স্বর্গরাজ্য। ভােরের আলাে ফুটতেই আমরা যখন হাজির হই সেখানে, শত শত ডেময়জেল ক্রেন প্রায় আকাশ অন্ধকার করে উড়ে এসে জলাজমিতে বসতে থাকে।
বাঘের নাচ পুলি কালি
এবছর ওনাম উৎসব শুরু হবে ১২ অগস্ট। পুলি কালি ১৫ অগস্ট। ২০২০-তে করােনা লকডাউনের জেরে পুলিকলি হয়নি | এ-লেখা যখন প্রস্তুত হচ্ছে, করােনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তখন জেরবার সারা দেশ। আমাদের আশা, এ-বছর ওনাম উৎসবের সময় পৃথিবী সুস্থ থাকবে।
রুফাস-নেকড হর্নবিল
রুফাস-নেকড হর্নবিল মূলত ভুটান, উত্তর-পূর্ব। ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে পাওয়া গেলেও তাদের সংখ্যা সারা পৃথিবীতে ১০,০০০-এরও কম। বর্তমানে আই ইউ সি এন তাদের ভালনারেবেল প্রজাতির আওতায় রেখেছে।
করােনাকালে কাশ্মীর
লেখা: ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ছবি: শান্তনু চক্রবর্তী প্রাণ ভরিয়ে কাশ্মীর ভ্রমণ । এই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে।
ভ্রমণচিত্রের সহজপাঠ
বেড়াতে গিয়ে আমরা সবাই ছবি তুলি। কিন্তু যে খুঁটিনাটি জানা থাকলে আপনার ছবি হয়ে উঠতে পারে একটি অনন্য ভ্রমণচিত্র, এখানে তারই ধারাবাহিক সহজপাঠ। এই সংখ্যায় তৃতীয় পর্ব।
মায়াবী মেক্সিকো
প্লায়া ডেল কারমেনের লাস্যময় নৃত্যগীতে ভরা রাত, টুলুম আর চিচেন ইৎজায় প্রাচীন মায়া সভ্যতার অবশেষ, ভ্যালাডলিডের রংচঙে গলিতে অলস পদচারণা আর ভূগর্ভস্থ স্বচ্ছ জলের হ্রদ সিনােটে জলকেলি— ২০২০-র লকডাউনের প্রাক্-মুহূর্তের ভ্রমণকথা।
কুলিকে পাখির রাজ্যে
কুলিকে পাখির সংসার। কলকাতা থেকে দিনে দিনে ঘুরে আসা যায়। তবে, সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতির খবর নিয়ে তবেই বেরবেন।
মৌসুনি দ্বীপ
বঙ্গোপসাগরের উপকূলে মুড়িগঙ্গার মােহানায় সৃষ্ট মৌসুনি দ্বীপ, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ১৬ কিলােমিটার দীর্ঘ দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক করেছে চিনাই নদী। মাছধরা ও চাষবাসই দ্বীপের বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা। অধিকাংশ বাড়িই মাটির। এই দ্বীপ থেকে দেখা যায় অদূরে জম্বু ও সাগরদ্বীপ। বালিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ মৌসুনিতে পর্যটন পরিকাঠামাে গড়ে ওঠায় স্থানীয় মানুষ খুবই উপকৃত।
ভ্রমণচিত্রের সহজপাঠ||
বেড়াতে গিয়ে আমরা সবাই ছবি তুলি। কিন্তু যে খুঁটিনাটি জানা থাকলে আপনার ছবি হয়ে উঠতে পারে একটি অনন্য ভ্রমণচিত্র, এখানে তারই ধারাবাহিক সহজপাঠ। এই সংখ্যায় দ্বিতীয় পর্ব।
টরিয়ক মাহালদিরাম
বড় দিনের ছুটিতে হঠাৎই সুযােগ এল পাহাড়ে যাবার। বাগডােগরায় অপেক্ষমাণ। ছিল হােমস্টের পাঠানাে গাড়ি। রােহিণীর রাস্তা ধরে কার্শিয়াং, সেখান থেকে টুং, মার্গা রৌস ডেক পেরিয়ে, ডান দিকের চড়াই বেয়ে বাগােড়া। ডিসেম্বরের ঠান্ডা ঘিরে ধরল আমাদের, পড়ে এল আলাে | এর মধ্যে খানিক এগােতেই ঘন কুয়াশায় মােড়া সরলবর্গীয় বৃক্ষের অরণ্য। অসম্ভব নিঝুম, রহস্যময়। জঙ্গলের মধ্যে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লাম। চারদিক এত শুনশান যে নিজের নিশ্বাসের শব্দও শােনা যাচ্ছে। গাড়িতে উঠে আরও কিছুটা যেতে জঙ্গলের ঘনত্ব কমতে থাকল। একসময় চারিদিক ফাকা। উজ্জ্বল উদার খােলামেলা প্রকৃতি আবারও |
ভেলাভেদারের সাভানায়
ভেলাভেদারের ব্ল্যাকবাক ন্যাশনাল পার্কে পালে পালে কৃষার তাে আছেই, তার সঙ্গে আছে নীলগাই, নেকড়ে, বনবিড়াল, শিয়াল। আর প্রচুর ঘাসবনের পাখি। এই ফেব্রুয়ারিতে দুই ছানা সহ এক মা হায়নার। সাক্ষাৎ পেতে এই ভ্রমণ।
ইন্ডিয়ান পিট্টা
ইন্ডিয়ান পিট্টাকে বাংলায় সাধারণভাবে ‘বর্ণালি’ নামেই আমরা চিনি। এছাড়াও সুমচা, হালতি বা নীলপাখি নামেও কোথাও কোথাও এর পরিচিতি। হিন্দিতে অবশ্য নওরঙ নামেই এদের বেশি খ্যাতি। শরীরে ন'টা রঙের উপস্থিতির জন্যই সম্ভবত এদের এরকম নাম।
ভরাবসন্তে সান্দাকফু
এই এপ্রিলে সান্দাকফু। গােটা পথটাই রডােডেনড্রনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে। আর সেই রঙের মজলিশে যােগ দিয়েছে রংবেরঙের পাখি।
সিমলাপাল বড়দি পাহাড় সবুজদ্বীপ
এই বসন্তে রাঙা শিমুল পলাশ আর প্রাচীন মন্দির-প্রাসাদ দেখতে চলুন বাঁকুড়া।
দেখব এবার জগৎটাকে
ঘরের বাইরের বিশ্ব দেখার জন্য কে না ব্যাকুল! তবু আমাদের পায়ে শেকল, দরজায় তালা। কোথাও আশার আলাে নেই। শ্বাসের হাওয়া নেই। তাই বলে এই বদ্ধদশায় জড়ের মতাে পড়ে থাকাও মানুষের প্রাণের নিয়ম নয়।
পর্যটনে সুন্দর অসুন্দর
গ্রীষ্মের ভারত যেন ভ্রমণনােৎসবের দেশ। শীতের শ্বেতবস্ত্র ছেড়ে ভারতের নানা । রাজ্যে তখন রঙিন সাজসজ্জা। অনেক রাজ্যেই বরফ গলে সবুজ ভুবন উকি দিচ্ছে। কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশও তখন আপন। সখার মতাে আমাদের ডাকে। ঘরের কাছে আমাদের সিকিম দার্জিলিং তাে আছেই। সিকিমে গুচ্ছ গুচ্ছ লাল গুরাস হাসছে। প্রকৃতিই এখন এক আন্তরিক আমন্ত্রণলিপি।
মালপে আর কাপু বিচ
উদুপি থেকে মাত্র ছ' কিলােমিটার দূরে মালপে সৈকত। সেখান থেকে লঞ্চে সাত কিলােমিটার গভীরে উত্তাল আরবসাগরের বুকে সেন্ট মেরিজ দ্বীপ। উদুপি থেকে নিরালা কাপু সৈকত দশ কিলােমিটার। সব মিলিয়ে এক নিটোল সামুদ্রিক ভ্রমণ।
নীলকণ্ঠ পােখরির খোঁজে
পশ্চিম সিকিমের দাফেবির পাসের দু’দিকে পনেরাে-কুড়িটা নানা মাপের হ্রদ আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দুই হ্রদ লক্ষ্মণ পােখরি আর লক্ষ্মী পােখরি । যাওয়ার ভালাে সময় এপ্রিল, মে এবং অক্টোবর, নভেম্বর।
সুন্দরের সঙ্গে লুকোচুরি
আমাদের মাদের এই প্রিয় পৃথিবী আজ আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে। দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে থাকা এই বসুন্ধরার লৌকিক-অলৌকিক সৌন্দর্য বেশ কিছু কাল আকাশ জোড়া একটা কালাে পর্দায় ঢাকা। কিন্তু একবার যে সেই পরম সুন্দরকে দেখেছে সে কি আর তাকে ভুলতে পারে। আমার তাে এমনও মনে হয়, যেন কত কাল এই বিস্ময়কর বিশ্বলােকের আলিঙ্গন পাইনি। দীর্ঘ এই বিরহকালে প্রতি অঙ্গ কান্দে মাের বসুন্ধরার প্রতি অঙ্গ লাগি।
বাজনাগুড়ি বেলিয়াবেড়া চণ্ডীআশ
সুবর্ণরেখার তীরে বাজনাগুড়ি আর ডুলুংয়ের ধারে বেলিয়াবেড়া। জঙ্গলমহলের পাশে চণ্ডীআশ। একাকে আরণ্যক হাতিবাড়ি। ঝাড়গ্রাম জেলার এই সব গ্রামে গিয়ে দেখে আসুন বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল, বাংলার অপরূপ রূপ।
পুরুলিয়ার ফুটিয়ারি
এ বছর ১৪ জানুয়ারি পুরুলিয়ায় টুসু উৎসব। ফুটিয়ারি ড্যামের জলে টুসু চৌডল বিসর্জন হয়।
দেবাঙ্গন হিমবাহ পেরিয়ে
মানালি থেকে ১৪ কিলােমিটার দূরের জগৎসুখ থেকে হাঁটা শুরু। দেবাঙ্গন কল (৫,১৭৮ মিটার) পেরিয়ে দেবাঙ্গন হিমবাহ (৪,৬০৭ মিটার) পেরিয়ে নেমে আসা মালানা হিমবাহে (৪,৫৪০ মিটার)। তারপর অ্যানিমাল পাস পেরিয়ে থাচ (৩,৭৬৫ মিটার), সারাম থাচের পর আসে তােষ। তােযের জিপস্ট্যান্ড থেকে মানালির জিপ মেলে। ভয়ংকর সুন্দর এই পথে ছড়িয়ে আছে মহাভারত আর পুরাণের গল্পগাথা।
দুঃসহ দুর্ভোগ
৬ অক্টোবর ২০১৯ কক্স অ্যান্ড কিংস ভ্রমণ সংস্থার হাত ধরে পশ্চিম ইউরােপ যাব মনস্থির করেছিলাম।
নির্জন দাগারা সৈকতে
হাওড়া-ভুবনেশ্বর স্পেশ্যাল ট্রেন হাওড়া থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ রওনা হয়ে জলেশ্বর পৌঁছয় ৪টে নাগাদ। জলেশ্বর থেকে দাগারা সৈকত ৩৫ কিলােমিটার।
শীতশেষের কাশ্মীরে
লেখা: অয়ন গঙ্গোপাধ্যায় ছবি: সুবীর কাঞ্জিলাল
বিশ্বের বিস্ময়||
আশ্চর্য সৌন্দর্যের অজানা দ্বীপভূমি
চলুন বেরিয়ে পড়ি
দ্ধি গৃহ, অন্ধ দিন, বন্ধ দেশ-বিদেশ। এভাবেই গেল প্রায় গােটা বক একটা বছর । এখন সহ্যের সীমা পার । ধৈর্যের বাঁধে ভাঙন । মন চায় প্রাণ চায় চক্ষুও চায় বাইরের পৃথিবীতে বেরিয়ে পড়তে। পড়ছেও অনেকেই। আমাদের চেনা জানা কেউ কেউ উড়ে গেলেন। বাগডােগরা। সেখান থেকে কেউ জলদাপাড়া, কেউ দার্জিলিং, কেউ কেউ দুটোই।
হেতমপুরের হাজারদুয়ারি মহল
শান্তিনিকেতনের অদূরেই হেতমপুর। হেতমপুরের রঞ্জন প্রাসাদ, রাজপরিবারের পিতলের রথ, টেরাকোটার মন্দির, সুপ্রাচীন কলেজ, বিদ্যালয় শতবর্ষ পেরিয়ে আজও অমলিন।
শামুকখােল
স্টর্ক, সিকোনিডি (Ciconiidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, দীর্ঘ পায়ের, আকারে বেশ বড় ও দীর্ঘ-ঘাড়যুক্ত, ওয়েডিং পাখি। ওয়েডিং পাখি বলতে বােঝায় সেই সমস্ত দীর্ঘ পায়ের পাখিদের, উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে হেরন, ফ্লেমিঙ্গো, আইবিস, স্টর্ক ইত্যাদি।