আমি অভিনয় কার দেবাশিস মণ্ডল

এই মুহূর্তের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা তিনি। ‘মন্দার’-এর পর তাঁর প্রতি দর্শকের প্রত্যাশা বেড়েছে। দেবাশিস মণ্ডল নিজে কী ভাবছেন তাঁর অভিনেতা সত্তা নিয়ে? শুনলেন সায়ক বসু

অভিনয়ের কথায় পরে আসছি। আগে বলুন আপনার রিলেশনশিপ স্টেটাস কী। এই রে! শুরুতেই? সম্পর্ক আছে একটা। আসলে বন্ধুত্বটা আমার কাছে খুব জরুরি। সেখান থেকে সিরিয়াস কোনও সম্পর্ক হতে পারে। কিন্তু আধারটা বন্ধুত্ব। তবে এখন আমার মূল সম্পর্ক কাজের সঙ্গেই। ) " D C

কাজের উত্তরটা ক্লিশে। যাই হোক, তিনি কি ইন্ডাস্ট্রির কেউ, কলকাতায় থাকেন? (অত্যন্ত লাজুকভাবে) না, কলকাতায় না। কিন্তু কাজের কথাটা সত্যি বলছি। ওটাতেই ফোকাস করতে চাই।

বুঝেছি। তা হলে বলুন, অভিনেতা হিসেবে আপনার নিজের কাছে চাহিদা কী? অবশ্যই নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকা। যে চরিত্রটা করছি, তার প্রতি সুবিচার করা। এবং সমাজের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে পারছি কি না, সেটা দেখা।

সমাজের প্রতি দায়িত্ব! একজন অভিনেতার কি সেই দায় থাকা উচিত? কারণ সে কখনও নায়ক হয়, কখনও বা খুনি! ‘মন্দার’ যখন করছেন, তখন সমাজের প্রতি কী দায়িত্ব পালন করে চরিত্রটি? সমাজের প্রতি দায়িত্ব বলতে আমি বোঝাতে চাইছি, সমাজের ফসল হিসেবে তার প্রতি সৎ থাকাটা। আপনি ঠিকই বলেছেন, অভিনীত চরিত্রকে সঠিকভাবে করে যাওয়াটাই সুবিচার। কিন্তু আপনি ‘নায়ক’ বা খুনি’ বলছেন, তার মানে খুনিকে কালো হিসেবে গণ্য করছেন। আমি বলছি, সেই ‘খুনি’ যে সমাজ থেকে উঠে আসছে, যে মনস্তত্ব থেকে তৈরি হচ্ছে, সেটাকে ধরা অভিনেতার কাজ। সেই গ্রে এরিয়াটা। এটা সমাজ সচেতনতা ছাড়া সম্ভব নয়। দেখার দৃষ্টি। বলতে গেলে, সেটাই আমার সামাজিক দায়িত্ব। মন্দার কিন্তু একটা সমাজ এবং পরিস্থিতির ফসল। সেটাকে ধরতে পেরেছি বা অনির্বাণ এবং প্রতীক বিশ্বাসযোগ্য ভাবে লিখেছেন বলে চরিত্রটা এত গ্রহণযোগ্য হয়েছে।