পরিপূরক চূর্ণী ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়

তাঁদের অনেক সত্তা। সবক'টিই পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে। অভিনেতা, পরিচালক, স্বামীস্ত্রী, মা-বাবা হওয়ার পাশাপাশি চূর্ণী এবং কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরদায়ও ‘জুটি’ বেঁধেছেন। কথোপকথনে উঠে এল সবক’টি সত্তা। শুনলেন অংশুমিত্রা দত্ত।

আপনারা দু'জনেই পরিচালক, দু'জনে অভিনেতাও বটে। তাই প্রথমেই জানতে চাই, নিজেকে অ্যাক্টর-ডিরেক্টর বলবেন, ডিরেক্টর-অ্যাক্টর? নাকি চূর্ণী: আমি নিজেকে অ্যাক্টর-ডিরেক্টর বলব কারণ ওটা শুনতে ভাল লাগে (হাসতে হাসতে)। আর অভিনেতা হিসেবে আমি বেশি কাজ করেছি, বহুদিন অভিনয় করার পর পরিচালনা করেছি। কৌশিক: আমি ডিরেক্টর-অ্যাক্টর মনে করি নিজেকে। অভিনেতা হিসেবে আমাকে শুধু নিজের চরিত্র, পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবতে হয়। আমি যেহেতু সিনেমার গল্প নিজে লিখি, ফলে আইডিয়া, লেখা, নির্মাণ থেকে শুরু করে ছবির সমস্ত ডিপার্টমেন্টের খুঁটিনাটি আমি জানি। সেই কাজটা করতে পেরে আমি অনেক বেশি তৃপ্তি পাই।

অভিনেতা হিসেবে অন্য পরিচালকের কাছে আত্মসমর্পণ করতে অসুবিধে হয় না? চূর্ণী: আমি তো এই কাজটা প্রথম থেকেই করে এসেছি। ফলে একদমই অসুবিধে হয় না। একজন পরিচালক নিজের একটা ভিশন নিয়ে ছবি করতে আসেন। তাঁর ভাবনাটা হয়তো আমার চেয়ে একদমই আলাদা। কিন্তু এখানে তো ঠিক-ভুল বলে কিছু হয় না। সবার সিনেমার ভাষা তো এক না। তাঁর ভিশনে ছবিটা যেরকম, সেখানে কখনও ঢুকব না।

কৌশিক: অন্যের ছবিতে অভিনয় করতে এলে আমার পরিচালক সত্তা সেটে থাকে না। মনিটরও দেখি না। তখন বরং আমি নিজের চরিত্র, যোগ্য পারিশ্রমিক নিয়ে সচেতন হয়ে যাই। আমাকে এই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করে জীবিকা অর্জন করতে হবে। অন্য কিছু তো আমি করতে পারব না। আমার অত গুণ নেই। আমি ছবি বানাতে পারি, আর অভিনয়টা করতে পারি। ফলে এটা আমার আর একটা উপার্জনের জায়গা। যদি কেউ একটা

চরিত্রে আমাকে ভাবে, কীভাবে ভাবছে, তার ভাবনাকে আমি রূপ দিতে পারছি কিনা, কতটা ভাল পারফর্ম করতে পারছি, এগুলোই ভাবি। যাতে পরের বার সে ছবি বানানোর সময় আবার আমাকে কাস্ট করার কথা ভাবে।

‘শুভ বিজয়া’ ছবিতে একসঙ্গে আপনারা অভিনয় করলেন জুটি হিসেবে। এই ছবিটিকে বেছে নেওয়ার কারণ কী? চূর্ণী: আমি ছবির স্ক্রিপ্ট পড়ার আগেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ পরিচালক রোহন। উজানের চেয়েও বয়সে ছোট একটা ছেলে একটা পূর্ণাঙ্গ ছবি বানানোর কথা ভেবেছে, তা-ও একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। কৌশিক: ২২ বছরের একটা ছেলে বলছে সে আরও দুটো ছবি বানিয়ে ফেলেছে! আমার মনে হয়েছিল, ১২ বছর বয়সে ছবি বানানো শুরু