অভিনেতা হিসেবে উন্নতি করার জন্য আমি নিজের মনটা বড় রাখতে চাই : অনির্বাণ চক্রবর্তী

তিনি মনে করেন, অভিনয় চর্চা ২৪ ঘণ্টার বিষয়। এবং তার জন্য ইগো থাকলে চলে না। অনির্বাণ চক্রবর্তী বললেন তাঁর সিনেমা নিয়ে ভাবনাচিন্তার কথা। শুনলেন সায়ক বসু।

‘প্রধান’ নিয়ে কথা শুরু করি। ‘প্রধান যিনি হন, তাঁর মধ্যে লাইমলাইট পাওয়ার বা ‘কেন্দ্রে থাকার একটা বাসনা অনেক সময় দেখা যায়। অভিনেতা বা স্টারদের ক্ষেত্রে 'প্রধান' হওয়ার এই বাসনাকে আপনি কীভাবে দেখেন? আমি উচিত অনুচিত বলার কেউ নই। শুধু নিজেরটুকু বলতে পারি। আমার মনে হয়, একজন অভিনেতা যত বেশি এগুলোর মধ্যে ঢোকে, তত বেশি তার কাজ বা ক্রাফট লঘু হয়ে যায়। অভিনেতা হিসেবে আমার যে চর্চা বা পড়াশোনার দরকার আছে, সেটার দিকে তো মন দিতে হবে। অভিনয়ের অনুশীলন ২৪ ঘণ্টার কাজ। সবসময় কনশাসলি যে হয়, তা নয়। যত বেশি অন্য কাজগুলোয় ইনভেস্ট করব, অভিনয়ের জন্য সময় তত কমে যাবে। লাইমলাইট বা ভালবাসা, যা যা একজন অভিনেতা পায়, সেগুলো তার কাজেরই বহিঃপ্রকাশ। আলাদা চেষ্টা করে পাওয়া যায় না।

আপনি আগে চাকরি করতেন। সেটা ছেড়ে যখন এই অনিশ্চয়তার জীবনে ঢুকলেন, তখন আরও বেশি করে লাইমলাইটের প্রবণতায় ইগো বা স্টারসুলভ অ্যাটিটিউড তৈরি হল না... এর জন্য কি সচেতনভাবে কোনও পন্থা নিয়েছিলেন? না না। পন্থা বলতে একটাই... আমি যে কাজটা ভালবেসে করতে চেয়েছিলাম, সেটাই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। ২০১৭ সালে আমি পড়ানোর চাকরি ছেড়ে দিই। ২০১৮ সাল থেকে পুরোপুরি অভিনয়ে ঢুকি। ভাবনাচিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আলাদা করে কোনও এফর্ট দিইনি। আমি অনেস্টলি কাজ করে গিয়েছি শুধু। তারপর যখন কাজ বেড়েছে, তখন বুদ্ধি, বিবেচনা দিয়ে ঠিক করেছি, কোন কাজগুলো আমার করা উচিত, কোনগুলো নয়। আমি তো এই জগতের বাইরের একজন মানুষ। আমার কোনও গডফাদার ছিল না। নিজেকেই করতে হয়েছে। আর দেখুন, অনিশ্চয়তা তো সব পেশাতেই একভাবে আছে।