সকালে প্রাতভ্রমণ সেরে এসে কর্নেল রামপাল সিংহ বারান্দায় বসে চা খাচ্ছে। খবরের কাগজটা টেবিলে রাখা। মোটামুটি শিরোনামে চোখ বোলানো হয়ে গেছে। একঘেয়ে সব খবর। সবাই যেন আদর্শের পথ থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে। এত অন্ধকারে আলো কোথায়!
নীচে কর্নেলের সহকারী সত্যরঞ্জন লনের সামনে ফুলগাছগুলোয় জল দিচ্ছে। সঙ্গে আছে রঘু। সে এ বাড়ির দেখাশোনা করে। সত্যরঞ্জন মিত্র কর্নেলের পুরনো সহকর্মী। সে এই বাড়ির এক তলাতেই থাকে।
হঠাৎ এক জন এসে বাইরের গেটে বেল বাজাল। রঘু এগিয়ে গিয়ে গেট খুলল। লোকটার চুল উস্কোখুস্কো। মুখে অনেক দিনের না-কামানো দাড়ি। পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। লোকটা হাঁপাচ্ছে। দেখে মনে হয়, দূর থেকে আসছে। রঘু গেট খুলে তাকে জিজ্ঞেস করল, “কী দরকার? কাকে চাই?”
লোকটা বলল, “এটা কি গোয়েন্দা কর্নেল রামপাল সিংহের বাড়ি? আমি অনেক দূর থেকে আসছি। তাঁর সঙ্গে দেখা করা আমার ভীষণ দরকার।”
উপরের বারান্দা থেকে কর্নেল ব্যাপারটা দেখে আন্দাজ করতে পেরেছিল। সে ইশারা করে সত্যরঞ্জনকে বলল, লোকটাকে উপরে পাঠিয়ে দিতে। লোকটা পাশের কাঠের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে এল। কর্নেল তাকে সামনের চেয়ারটায় বসতে বলল। লোকটা হাত জোড় করে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তার পর ইতস্তত করে চেয়ারটায় বসল।
বসে সে বলতে শুরু করল, “হুজুর, আমি ঘনশ্যাম। মেদিনীপুরের শতদল রাজবাড়ি থেকে আসছি। আমার মনিব, জমিদার গোবিন্দবাবু খুন হয়েছেন। বিছানায় রক্তের দাগ। সকাল থেকে তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। বাবু বোধ হয় আর বেঁচে নেই।”
এই বলে ঘনশ্যাম হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিল। কিছু ক্ষণ বাদে থেমে সে পকেট থেকে একটা খাম বের করে কর্নেলের হাতে দিয়ে বলল, “বাবু আগে থেকেই বোধ হয় এটা টের পাচ্ছিলেন। ক'দিন আগে আমাকে ডেকে বললেন, ‘দ্যাখ ঘনশ্যাম, আমার যদি কিছু হয়, তা হলে ড্রয়ারে একটা খাম রাখা আছে। তার ভিতরে একটা চিঠি আছে। উপরে কর্নেলসাহেবের ঠিকানা লেখা আছে। তুই সোজা চিঠিটা নিয়ে গিয়ে কলকাতায় কর্নেল সাহেবের হাতে পৌঁছে দিবি।” কর্নেল ঘনশ্যামের হাত থেকে মুখবন্ধ খামটা নিয়ে খুলে ফেলল। ভিতরে একটা চিঠি। নীচে গোবিন্দ রায়চৌধুরীর সই। চিঠিতে লেখা,
Diese Geschichte stammt aus der 5 Sep, 2024-Ausgabe von ANANDAMELA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der 5 Sep, 2024-Ausgabe von ANANDAMELA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।