- সাম্প্রতিক দেশ পত্রিকার প্রচ্ছদকাহিনি (১৭ জুলাই ২০২৪) পড়তে গিয়ে একটি প্রবাদের কথা মনে পড়ছিল – 'Don't give a man fish rather teach him how to fish by himself. মানুষকে মাছ ধরে দেওয়ার পরিবর্তে তাকে মাছ ধরতে শেখাও—এটি সুপরিচিত প্রবাদ, যা স্বনির্ভরতা, স্বাধীনতা এবং ক্ষমতায়নের গুরুত্বের উপর জোর দেয়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ দীর্ঘমেয়াদি উপকার পান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে জীবনসংগ্রামে জয়ী হতে পারেন।
কিন্তু এগুলি আমাদের কাছে বর্তমানে কেবল প্রবাদ হিসেবেই রয়ে গেছে। মানুষ এখন দ্রুত এবং হাতে হাতে ফলাফল পেতে চায়। এই রাজ্য, প্রতিবেশী রাজ্য, আমাদের দেশ বা প্রতিবেশী দেশ, সকলেই আজ এই ‘সহজ উপায়' তত্ত্বের বশবর্তী। এই সময় দীর্ঘমেয়াদি স্বপ্ন দেখতে কেউ শেখান না। আগে পরিবার থেকে এই শিক্ষা দেওয়া হত। আমাদের ধর্মশাস্ত্রে নিজের যোগ্যতায় অর্থ উপার্জনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মানুষের হাত-পাতা যেমন সহজ প্রবৃত্তি, সেই সহজ প্রবৃত্তিকেই আজ অবলম্বন করেছে শাসকগোষ্ঠীর একাংশ।
কয়েক জন লক্ষ্মীর ভান্ডার ভাতা প্রাপক জানিয়েছেন, এই অর্থে তাঁদের সে ভাবে কোনও অধিকার নেই। কয়েক জন পূজাপার্বণ বা সন্তানের টিউশন ফি দিতে, পরিবারে খরচ করেন। আমাদের গর্বিত বাংলা নানা সম্ভারে সমৃদ্ধ। নানা জেলা নানা ঐতিহ্যে ভরপুর। সেই সম্পদ রক্ষার কাজে বিভিন্ন প্রকল্প, যেখানে মহিলারা সরাসরি যুক্ত হতে পারেন, সেখানে এই অর্থ বিনিয়োগ করা যেতে পারে। নিজেদের ক্ষমতায় নিজের পায়ে দাঁড়াক আমাদের মা-বোনেরা। মানুষকে পঙ্গু করে রাখার বর্তমান চেষ্টা আপাতত ফল দিলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে এটাই সমাজের পক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। সুজিতকুমার বিশ্বাস, নদিয়া-৭৪১২৪৭
Diese Geschichte stammt aus der August 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der August 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।