- আমার ‘বুদ্ধদেব স্মরণে' শীর্ষক প্রচ্ছদকাহিনিতে (দেশ, ১৭ অগস্ট ২০২৪ ) একটি তথ্যবিচ্যুতি ঘটেছে। লেখাটিতে আছে যে, বুদ্ধদেবের সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হয় তখন আমি মৌলানা আজাদ কলেজে বাংলা অনার্সের ছাত্র ছিলাম। এটি ভুল। বুদ্ধদেবের সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হয়, তখন আমি কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বুদ্ধদেব ছিল প্রেসিডেন্সিতে বাংলা অনার্সের ছাত্র। ওর যে-সিনিয়রের নাম উল্লেখ করেছি, সেই ভবতোষ সাহাও ছিল বাংলা অনার্সের ছাত্র। দ্বিতীয়ত, মৌলানা আজাদ কলেজে আমার বাংলা অনার্স ছিল না। পাস কোর্সের ছাত্র ছিলাম আমি, রাজনীতির কারণে প্রথাগত পড়াশোনাই করে উঠতে পারিনি আমি।
অনিচ্ছাকৃত এই তথ্যবিচ্যুতির জন্য আমি দুঃখিত। এই অবসরে, বুদ্ধদেব প্রসঙ্গে আমি অন্য একটি কথাও বলতে চাই, যে-কথা আমার লেখায় উল্লেখ করিনি। তা হল, এই যে কলকাতায় একটা বিরাট মাপের আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়, এই বইমেলার সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। বুকসেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে তা ছিল খুব ছোট একটা বইমেলা, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর সামনে দেওয়ালে দেওয়ালে র্যাক করে করা হয়েছিল। পরে সেটা বড় আকার নেয়, তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায়। এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন সে-বইমেলার অন্যতম উদ্যোগী, উৎসাহী।
অন্য দিকে, কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভালও শুরু হয়েছিল ছোট আকারে। বুদ্ধদেবের নেতৃত্বেই তা বিশাল আকার নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালের স্বীকৃতি লাভ করে। দেশি-বিদেশি বহু প্রথিতযশা ফিল্মমেকাররা এখানে এসেছেন, বক্তব্য রেখেছেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। বুদ্ধদেবই ছিল এই উৎসবের প্রাণপুরুষ।
কলকাতা বইমেলা ও কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব—বাঙালি তথা ভারতীয় জনজীবনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর এই দুই কীর্তি, এই দুই অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর রুচিশীল, আপাদমস্তক সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচায়কও। বিমান বসু, কলকাতা
Diese Geschichte stammt aus der September 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der September 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।