সত্য ও ন্যায়ের পথে সুবিচারের আশায়
Desh|October 17, 2024
ঘরের উমাকে আমরা হারিয়েছি। এই অস্থির অশান্ত সময়ে দেবী উমা আজ ধর্ষক ও অন্যায়কারীদের নিধন করবেন, আঁধারময়তা দূর হয়ে আলোকের ঝরনাধারা বয়ে যাবে। এবারের পুজোতে এও আমাদের অন্যতম চাওয়া।
সত্য ও ন্যায়ের পথে সুবিচারের আশায়

• দেশ পত্রিকার সাম্প্রতিকতম সংখ্যায় (২ অক্টোবর ২০২৪) সম্পাদকীয় নিবন্ধের শিরোনাম—‘সত্যের আলোয় ভেসে যাক চরাচর'। সম্পাদকের সঙ্গে সহমত হয়ে বলতে চাই, নারী সমাজের, নারী শক্তির প্রতীক আমাদের ঘরের মেয়ে উমা বৎসরান্তে ঘরে আসুক, যদিও পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূল নয়। পাশাপাশি প্রতিবাদ, আন্দোলন চলুক।

আমাদের দু'টি প্রাচীন মহাকাব্যের মূল বিষয় সত্য ও ন্যায়ের পথে ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আমাদের রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে মহাভারতের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি চলছে। পদ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার তাগিদে বহু অন্যায়, বহু দুর্নীতির মদতদাতা এবং রক্ষাকর্তার ভূমিকা পালন করছেন সর্বোচ্চ পদাধিকারীরা। ভীষ্ম শরশয্যায় শুয়ে মৃত্যুর প্রতীক্ষায়, দ্রৌপদী এলেন পিতামহর সঙ্গে দেখা করতে। সরাসরি প্রশ্ন করলেন, অন্যায় ভাবে দুঃশাসন যখন তাঁর বস্ত্রহরণ করছিল, তখন তিনি বিচলিত হলেও নীরব ছিলেন কেন! উত্তরে ভীষ্মের বক্তব্য ছিল, তিনি সে-সময় ধৃতরাষ্ট্রের অন্নদাস ছিলেন তাই বাধ্য হয়ে অন্যায় মেনে নিয়েছিলেন, প্রতিবাদ করতে পারেননি। এর নজির বহুকাল থেকে আমাদের রাজ্য তথা দেশে দেখা যায়। পুলিশ ও প্রশাসন আধিকারিকরা সরকারের অন্নদাস (যদিও জনগণের করের টাকায় এঁদের বেতন হয়), তাই চাকরির ভয়ে, মানসিক নির্যাতনের ভয়ে সঙ্গত কারণেও তাঁরা সরকার পক্ষের বিরোধিতা করতে পারেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেন না। রক্ষকের ভূমিকা পালন না করে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন। আমাদের রাজ্যে সাম্প্রতিক কালের ঘোর অমানিশার অন্যতম কারণ এটি।

রামায়ণ থেকেই অকাল বোধনকে আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব, প্রাণের পূজা হিসেবে গ্রহণ করেছি। রাবণ বধের জন্য অসময়ে অসুরনাশিনী দুর্গার আরাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন রামচন্দ্র। ছোটবেলায় দেখেছি ভক্তি, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও ভালবাসার দুর্গাপূজা। তখন উৎসব নিয়ে অত মাতামাতি ছিল না। সেই পূজা এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক বদলে গেছে। আড়ম্বরের বাহুল্যে বেড়েছে উৎসব, হারিয়ে গেছে পূজা। তবে পুজোয় রাজনৈতিক চরিত্রের অনুপ্রবেশের ফলে বিবর্তনের বাঁকগুলো বদলে যাচ্ছে দ্রুত। পুজো এখন জনসংযোগের, আনুগত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আজকের কার্নিভালপুজো তার অন্যতম উদাহরণ।

Diese Geschichte stammt aus der October 17, 2024-Ausgabe von Desh.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

Diese Geschichte stammt aus der October 17, 2024-Ausgabe von Desh.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

WEITERE ARTIKEL AUS DESHAlle anzeigen
কবিতার খাতা
Desh

কবিতার খাতা

দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।

time-read
8 Minuten  |
January 02, 2025
কলের গাড়ি
Desh

কলের গাড়ি

এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।

time-read
10+ Minuten  |
January 02, 2025
উপেনবাবুর মেয়ে
Desh

উপেনবাবুর মেয়ে

গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।

time-read
10 Minuten  |
January 02, 2025
ভালবাসার গল্প
Desh

ভালবাসার গল্প

বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।

time-read
9 Minuten  |
January 02, 2025
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
Desh

তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন

জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।

time-read
4 Minuten  |
January 02, 2025
সুখলালের কিস্সা
Desh

সুখলালের কিস্সা

সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।

time-read
10+ Minuten  |
January 02, 2025
১৯৬৪
Desh

১৯৬৪

শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।

time-read
10 Minuten  |
January 02, 2025
রক্ষক
Desh

রক্ষক

আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।

time-read
10+ Minuten  |
January 02, 2025
ফুলের তোড়া
Desh

ফুলের তোড়া

বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”

time-read
9 Minuten  |
January 02, 2025
সমাজের শিকড়ে
Desh

সমাজের শিকড়ে

মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।

time-read
5 Minuten  |
January 02, 2025