সারাদিনই আমি মূলত প্রোটিনের উপর থাকি

ফিটনেস ভিডিও হোক বা জিম-টাইম, নেটিজেনরা তাড়িয়ে উপভোগ করেন তাঁর সব ভিডিও। শুধু মেয়েরাই নয়, বহু পুরুষও বিস্মিত তাঁর চেহারার গঠনে। শন বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তাঁর ফিটনেসের রহস্য। আলাপচারিতায় মনীষা মুখোপাধ্যায়।

এই অভিনেতার সিক্স প্যাক অ্যাবস নিয়ে | নিরন্তর চর্চা চলে টলিপাড়ায়। ছোটপর্দায় ‘মন ফাগুন'-এ তাঁকে দেখেছেন দর্শকরা। সম্প্রতি দেখছেন ‘রোশনাই’ ধারাবাহিকে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও অভিনয় করেছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে রক্তে রয়েছে অভিনয়ের রসদ। দিদিমা স্বর্ণযুগের নায়িকা সুপ্রিয়া চৌধুরী যে! আর তাই রক্তের টানেই হয়তো এই ইন্ডাস্ট্রিতে জড়িয়ে পড়লেন অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনের জন্ম কলকাতায় হলেও বেড়ে ওঠা নৈনিতালের এক বোর্ডিং স্কুলে। ক্লাস টুয়েলভ ওখান থেকেই পাশ। আর এই স্কুলে রপ্ত করা শৃঙ্খলাকেই নিজের জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছেন অভিনেতা। তাই শরীরচর্চা ও খেলাধুলার প্রতি টান ছোটবেলা থেকেই। স্কুলের কথা বলতে গিয়ে কোথাও যেন একটু নস্টালজিক হয়ে পড়লেন। বললেন, 'স্কুলে থাকতে ভোর সাড়ে ছ'টায় উঠে পিটি করতে হতো। তারপর এসে নিজের জামাকাপড় নিজে প্রস্তুত করে, ব্যাগ গুছিয়ে স্নান-খাওয়া সেরে স্কুলের জন্য তৈরি হতে হতো। এগারো বছর বয়স থেকেই আমি এই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এখনও তাই সারা বছর সাড়ে ছ'টা-সাতটার মধ্যে ঘুম ভেঙে যায়। তারপর ব্ল্যাক কফি খেয়ে আমি জিমে চলে যাই। সেখানে ঘণ্টা দেড়েক সময় কাটিয়ে আমি বাড়ি ফিরে ব্রেকফাস্ট সারি। খাওয়াদাওয়ার রুটিনেও আমি অনিয়ম করতে শিখিনি। এক্ষেত্রেও স্কুল খুব কাজে এসেছে। বাইরের খাবার স্কুলে খাওয়া নিষেধ ছিল। ফলে ঘরোয়া খাবারেই আমার তৃপ্তি হয়। বাইরের ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড আমাকে খুব একটা টানে না।'