একটা কথা অস্বীকারের জায়গা নেই যে আমাদের সমাজে বহু অসাধু ব্যক্তি বাস করেন। এই দুষ্কৃতীরা আয়ুর্বেদকে বিকৃত করে রেডিমেড প্রোডাক্ট হিসেবে বাজারে পরিবেশন করছেন। কিছু ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদকে অলৌকিক মেডিসিন হিসেবেও পরিচিত করা হচ্ছে! ক্রমাগত এমন অসৎ ব্যক্তির কার্যকলাপে বদনাম হচ্ছে কয়েক হাজার বছর ধরে চলে আসা সনাতন চিকিৎসাপদ্ধতির। জানলে অবাক হবেন, আয়ুর্বেদ নিয়ে জালিয়াতি করা সম্পর্কে সতর্কবার্তা রয়েছে চরক সংহিতার মতো গ্রন্থেও! ওই গ্রন্থে অজ্ঞাত ওষুধকে ‘বিষ’, ‘অগ্নি’, ‘বিষাক্ত সাপ’ ‘বজ্রপাতের' মতোই ভয়ঙ্কর ধরা হয়েছে এবং ভুয়ো চিকিৎসক অর্থাৎ ছদ্মবেশী চিকিৎসককে সর্বদা সর্বাগ্রে পরিত্যাগ করে চলতে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। ত্য
অথচ বর্তমানে আমরা দেখছি আয়ুর্বেদ শব্দের মায়াজালে বিভোর অসংখ্য মানুষ ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন’ আশ্বাসের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের অজান্তে ভুয়ো আয়ুর্বেদ চিকিৎসক এবং জাল আয়ুর্বেদ ওষুধের পাল্লায় পড়ে যান। আর তার ফল মোটেই ভালো হয় না। শেষে দোষ হয় আয়ুর্বেদের!
একথা সত্যি যে সাধারণ মানুষের পক্ষে কোন চিকিৎসক ভুয়ো আর কোন ওষুধ জাল তা ধরা সম্ভব নয়। যতদিনে তিনি বুঝতে পারেন ততদিনে রোগের ভুল চিকিৎসা হতে হতে রোগ হয়ে উঠতে পারে আরও জটিল ও দুরারোগ্য। তাই সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। আয়ুর্বেদ নিয়ে প্রকৃত জ্ঞান থাকলে তবেই এই ধরনের ভুল এড়ানো যাবে। এই নিবন্ধে আমরা প্রকৃত আয়ুর্বেদ এবং ভুয়ো আয়ুর্বেদ চেনার পথ নিয়ে আমরা আলোচনা করব প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমেন
● • আয়ুর্বেদ শব্দের নামে অবৈজ্ঞানিক আয়ুর্বেদ ওষুধের ব্যবহার কতটা ভয়াবহ হতে পারে? •• আমরা আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা প্রায়ই বিভিন্ন রোগীর কাছ থেকে নামহীন বা অদ্ভুত নামযুক্ত ওষুধের আশ্চর্য কার্যক্ষমতার কথা শুনে থাকি। কখনও সৌভাগ্যক্রমে সেগুলির দর্শনও ঘটে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে এবং ‘আয়ুর্বেদ ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন’— এই তত্ত্ব খাড়া করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আয়ুর্বেদের নামে মানুষকে প্রতারিত করে চলেছে যা আর্থিক ক্ষতি অপেক্ষা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক কারণ সেই ওষুধরূপী জিনিসগুলোর উপাদান অজ্ঞাত থাকায় তা বিষের ন্যায় ভয়াবহ।
Diese Geschichte stammt aus der 17 December 2022-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der 17 December 2022-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
হাতছানি দিয়ে ডাকে
দেবাশীষ দেব ৷৷ ভাষা ভেঞ্চার (৫/২৫, সেবক বৈদ্য স্ট্রিট, কল-২৯) ৷৷ ৭৫০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
কক্সবাজারে ক'দিন
ভ্রমণের শখ যাদের, তাদের কি রাজনৈতিক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আটকাতে পারে? কক্সবাজারের সফরে আমি এমনই একটি অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। বাংলাদেশে চলছিল ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা। তবুও, আশা না হারিয়ে শেষে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারলাম। সৈকতের সৌন্দর্য, সমুদ্রের ঢেউ, ঝর্ণা এবং স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা—সবই এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে রইল।
কোথায় সমাধিস্থ সুলতান রাজিয়া?
রাজিয়া সুলতান ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা শাসক, যিনি তার পিতার মৃত্যুর পর সিংহাসন লাভ করেন। মেধা, সাহস ও যুদ্ধের দক্ষতায় তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, নারীরা শাসনে সক্ষম। তবে, তার উত্থান অনেকের পছন্দ হয়নি এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে বন্দি করা হয়। পরবর্তীতে, আলতুনিয়ার সঙ্গে তার বিবাহ এবং বিদ্রোহের পর, রাজিয়া কোথায় মারা গেছেন, তা আজও রহস্য। ইতিহাসের নানা বিবরণে তার মৃত্যুর স্থান ও সময় সম্পর্কে নানা মত রয়েছে।
বরফের সাম্রাজ্য দুধপাথরি
বৈচিত্র্যময় ভারত আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ। কাশ্মীরের প্রকৃতি যেন এক জীবন্ত কবিতা, যেখানে শ্বেতশুভ্র পর্বত, সবুজ বন ও তুষারপাতের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার মতো এক অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে। দুধপাথরি, শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে, একটি অদ্ভুত সুন্দর ও নির্জন স্থান, যেখানে বরফে ঢাকা উপত্যকায় প্রবাহিত শালিগঙ্গা নদী আপনার মন মুগ্ধ করবে। এখানকার তুষারশোভিত দৃশ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ যেন স্বর্গের একটি ক্ষণস্থায়ী চিত্র।
ব্যতিক্রমের বারান্দা
সুমন প্রতিদিনের মতো সাতটা বাইশের বনগাঁ লোকালে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছাল। আজকের দিনটা বিশেষ ছিল, কারণ তিনি একজন ডাক্তারের স্ত্রী, লিপির সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তার স্বামী নির্মাল্য সেনগুপ্তের অকাল মৃত্যুতে লিপি চাকরি পেতে মেডিক্যাল পরীক্ষায় ফিট না হওয়া সত্ত্বেও সুমন তার পাশে দাঁড়ান। শেষমেশ, সুমন ডাক্তারের রিপোর্ট পরিবর্তন করে লিপির চাকরি নিশ্চিত করেন, এবং লিপি নতুন জীবনের পথে এগিয়ে যায়।
ট্রাম্পের জয়, মোদির স্বস্তি
হিউস্টনে ২০১৯ সালের 'হাউডি মোদি' সভায় নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একসাথে মঞ্চে উপস্থিত হন, এবং একে অপরকে উজ্জ্বল প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। এর পরেই ২০২০ সালে মোদি ও ট্রাম্পের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সেই সম্পর্কের উষ্ণতা অনেকটাই কমে যায়। রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক, পাকিস্তান এবং চীন নিয়ে ট্রাম্পের কট্টর অবস্থান ভারতকে কিছু সুবিধা দিতে পারে, তবে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি, বিশেষ করে H-1B ভিসা নিয়ে ভারতীয়দের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধোঁয়ার ব্যবহার
গভীর জঙ্গলে হারিয়ে গেলে বিপদ থেকে বাঁচার জন্য ধোঁয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনটি স্থানে আগুন জ্বালালে বা ত্রিভুজের মতো আগুন জ্বালালে দূর থেকে ধোঁয়া দেখা যাবে। বাতাস অনুকূলে থাকলে ধোঁয়া উদ্ধারকারীদের কাছে সাহায্যের সংকেত পৌঁছাবে। তবে, সতর্কতার সাথে আগুন নেভানো জরুরি।
মোবাইল ফোন ব্যবহার
জরুরি অবস্থায় মোবাইল ফোনটি হতে পারে আপনার উপকারী বন্ধু। আইফোনে এসওএস ফিচার ব্যবহার করে আপনি সহজে সাহায্য চাইতে পারবেন। সাইড বাটন ও ভলিউম বাটন একসঙ্গে চেপে এই ফিচার চালু করলে ‘ইমার্জেন্সি এসওএস’ লেখা দেখা যাবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি সেবায় ফোন করবে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ‘এসওএস ইমার্জেন্সি’ অপশন ব্যবহার করে সরাসরি জরুরি নম্বরে ফোন করতে পারবেন।
ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ বুঝবেন কীভাবে?
ওভারিয়ান ক্যান্সার মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে থাকা এক ধরনের ক্যান্সার, যা ওভারির কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে সৃষ্টি হয়। অসুখটির প্রাথমিক উপসর্গ অস্পষ্ট থাকায় এটি ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবেও পরিচিত। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফুলে যাওয়া, ক্লান্তি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসা পদ্ধতিতে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং উন্নত চিকিৎসা কৌশল যেমন এইচআইপিএসি ব্যবহার করা হয়। এটি শনাক্ত করতে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এবং অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়।
ব্যাখ্যাহীন বিপর্যয়
ক্রিকেট আসলে জীবনের এক রূপ, যেখানে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। রোহিত শর্মার দলের এমন বিপর্যয় ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বড় অঘটন। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হার এবং ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের কলঙ্ক ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক বড় লজ্জা। ব্যাটিং ব্যর্থতা, পেস ও স্পিনের বিরুদ্ধে খারাপ প্রদর্শন, এবং রক্ষণাত্মক টেকনিকের অভাব দলের পরাজয়ের মূল কারণ।