গুইরামের ভূত

বাগানে একটা রাগী বিদেশি কুকুর ছেড়ে দিল মধু।

- শ্যামল চক্রবর্তী

গুইরাম ঘোষ ছিলেন নিখাদ বৃক্ষপ্রেমিক। দু’বিঘা জমির বাড়িতে ঘর মাত্র একটা। বাকিটা বাগান। তাল, নারকেল, কুল, আম, জাম, পেঁপে, জামরুল গোলাপজাম ফল ফলত অফুরান। ডজনখানেক খেজুরগাছ। শীতে খেজুররস হতো হাঁড়ি হাঁড়ি। ভাইপো মধুকে দিয়ে খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে খেজুরের গুড় বানাতেন, অতি সুস্বাদু পাটালিও।

বাগানে পাড়ার ছেলেদের উপদ্রব লেগে থাকত বছরভর। লাঠিহাতে গাছতলায় বসে পাহারা দিতেন বৃদ্ধ গুইরাম। সেদিন পাঁচিল টপকে ল্যাংড়া আমের গাছে উঠে টপাটপ গোটাকয়েক গাছপাকা আম পেড়ে গাছ বেয়ে নেমে আসছে লক্ষ্মণকাকুর ছেলে চন্দন। হঠাৎ দেখে গাছের নীচে লাঠিয়াল দাঁড়িয়ে।

‘নেমে আয়, লাঠির আদর খাবি!’, শুনেই চাঁদু ভয়ে তরতর করে গাছের মগডালে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাছের নীচে বসে বুড়ো। চাঁদু ভয়ে কাঁপছে। ছেলেকে খুঁজতে লক্ষ্মণ দাস এলেন বাগানে। ‘লখা যে! ছেলে তোর কাল বাড়ি ফিরবে।