হাফলং এক অনাঘ্রাত কুসুম
Saptahik Bartaman|15 June 2024
কিছু ছবি ক্যামেরার লেন্সে, কিছু ছবি চোখের লেন্সে গেঁথে নিয়ে পাহাড়, বাঁশবন, কলাঝাড় পিছনে ফেলে একরাশ মনখারাপের চিঠি ব্যাগে পুরে আবার সেই পথ ধরেই হাফলং থেকে কলকাতার পথে।
কৃষ্ণা মাইতি
হাফলং এক অনাঘ্রাত কুসুম

উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট্ট শহরটায় এখনও সেভাবে ভ্রমণপিপাসু মানুষের পায়ের ছাপ পড়েনি। অনেকে হয়তো নামও শোনেননি। ২৩০০ ফুট উচ্চতায় অসমের এই একমাত্র শৈলশহর হাফলং। পূর্বে অসমের উত্তর কাছাড় জেলার সদর শহর ছিল এটি। বর্তমানে ডিমা হাসাও জেলার প্রাণকেন্দ্র। ডিমা হাসাও কথাটার মানে ডিমসা ভাষায় উইয়ের ঢিবি। ঢেউ খেলানো পাহাড়ের ঢালে বাঁশঝাড় আর কলাগাছের বুনো গন্ধ। হালকা মেঘ কুয়াশায় মাখামাখি আদিম অরণ্যে পাইন বন আর অর্কিডের ভিড়। ফুলের ভারে অবনত জংলি লতা, উপজাতি মহিলাদের বাঁশের টুকরি পিঠে বেঁধে পাহাড় বেয়ে ওঠানামা করা— এইসব নিয়েই হাফলং।

প্রকৃতি এখানে অকৃপণভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে। আছে নানা উপজাতি গ্রাম, জাতিঙ্গা পাহাড়ে পাখিদের আত্মহনন স্থান। যেজন্য সবাই হাফলংয়ের নাম জানে। লামডিং স্টেশন থেকে শুরু হয় মন ভরিয়ে তোলা পথের সৌন্দর্য। সুন্দর সুন্দর নামের স্টেশন। খুব একটা জনবহুল নয় সে সব স্টেশন। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে চলার জন্য সামনে পিছনে ইঞ্জিনের সাহায্য নিতে হয়। ট্রেনে চলতে থাকে তার সঙ্গে চলে দূরে দূরে দু'একটা গ্রাম। ট্রেন পথে এক একটা বাঁক পেরিয়ে যায় আর প্রকৃতির নব নব রূপ উন্মোচিত হয় চোখের সামনে। জানালা থেকে চোখ সরানো যায় না। ঘন সবুজ বাঁশঝাড়, উপত্যকা দেখতে দেখতে অন্ধকার সুড়ঙ্গ পথ পেরিয়ে এবার নিউ হাফলং স্টেশন। আটটি সুড়ঙ্গ নিউ হাফলং স্টেশন পর্যন্ত। এর মধ্যে একটি তিন কিমি লম্বা। শহরের দু'টি ভাগ আপার এবং লোয়ার। নিউ হাফলং স্টেশন লোয়ার হাফলংয়ে। আমাদের হোটেল আপার হাফলংয়ে। চারপাশে মেঘ কুয়াশায় ঘেরা নির্জন পরিচ্ছন্ন স্টেশন। প্ল্যাটফর্মে রংবেরঙের ছাতার নীচে কেটে রাখা তরমুজ, পেঁপে সাজিয়ে বিক্রি করছে উপজাতি কন্যা। আনারসের সময়ে প্রচুর আনারস বিক্রি হয় এখানে। স্টেশন থেকে হোটেলে আসার রাস্তাটাও ভারী চমৎকার। আদিম অরণ্যের হাতছানি। বড় বড় গাছগাছালিতে ভরা আমাদের হোটেল। দোতলার বারান্দায় আলো-আঁধারিতে এলিয়ে দিয়েছে ডালপালা। ইচ্ছে করলেই স্পর্শ করা যায়। তাদের। আশপাশে আরও বেশ কয়েকটা হোটেল আছে। সবই বড় স্নিগ্ধ মায়াময় গাছ দিয়ে ঘেরা। চারদিনের হাফলং ভ্রমণ শুরু করলাম সাইনড ভিউ পয়েন্ট দেখে। আমাদের হোটেলের সবথেকে কাছের ভিউ পয়েন্ট। হেঁটেই যাওয়া যায়। এখান থেকে লোয়ার হাফলং শহরের সুন্দর

Diese Geschichte stammt aus der 15 June 2024-Ausgabe von Saptahik Bartaman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

Diese Geschichte stammt aus der 15 June 2024-Ausgabe von Saptahik Bartaman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

WEITERE ARTIKEL AUS SAPTAHIK BARTAMANAlle anzeigen
পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর
Saptahik Bartaman

পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর

পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, এবং আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন গ্রহের গোচরের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে।

time-read
2 Minuten  |
28 December 2024
ভারত ও নতুন বছর
Saptahik Bartaman

ভারত ও নতুন বছর

২০২৪-কে বিদায় দিয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাই এক নতুন আশার আলো নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোকে আসন্ন বছর নিয়ে আলোচনায় থাকুন!

time-read
4 Minuten  |
28 December 2024
পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি
Saptahik Bartaman

পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি

\"উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝে সিটং আর মংপু যেন প্রকৃতির অবারিত ক্যানভাস। কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা, কমলালেবুর বাগান আর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য স্থান এখানে এক অনন্য অভিজ্ঞতার দান।

time-read
7 Minuten  |
28 December 2024
‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো
Saptahik Bartaman

‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো

বগলার বঙ্গদর্শন’ ঋত্বিক ঘটকের অপূর্ণ এক নির্মাণ। ইতালীয় গল্পের বাংলা রূপে সমাজ ও মানুষের হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যা একসময় পূর্ণতা পেতে পারত।\"

time-read
9 Minuten  |
28 December 2024
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
Saptahik Bartaman

অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি

মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!

time-read
2 Minuten  |
28 December 2024
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
Saptahik Bartaman

জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য

পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।

time-read
2 Minuten  |
28 December 2024
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
Saptahik Bartaman

আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি

২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।

time-read
3 Minuten  |
28 December 2024
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
Saptahik Bartaman

সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী

সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন

time-read
1 min  |
28 December 2024
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
Saptahik Bartaman

যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া

৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।

time-read
1 min  |
28 December 2024
শ্রদ্ধা
Saptahik Bartaman

শ্রদ্ধা

শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।

time-read
2 Minuten  |
21 December 2024