লোভী কাক ও সাধু চক্রবাক

তারপর ফিস ফিস করে বলল, “শবদেহ খাও কি? কোন শব খাও বলবে? আমিও খেয়ে তোমাদের মতো শুভ্রবর্ণ হই।'

- পূর্বা সেনগুপ্ত

লোভ কখনও শেষ হয় না, তা বৃদ্ধি পেতেই থাকে। কখনও কাঠে আবৃত অগ্নির মতো তা ধিকি ধিকি জ্বলে। আবার ইন্ধন পেলে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। এই আগ্রাসী লোভ জীবের স্বভাবকে নষ্ট তো করেই তার উপর ক্রমাগত তাকে অনিষ্টকারী জীবে পরিণত করে। তথাগত বুদ্ধ তখন জেতবনে অবস্থান করছেন। এই সময় অন্যান্য ভিক্ষুর কাছ থেকে শুনলেন সঙ্ঘের এক ভিক্ষু বড় লোভী। তিনি সর্বদা কোনও বিহারে ভিক্ষুসঙ্ঘের জন্য বিশেষ আহারের বন্দোবস্ত হয়েছে, কোথায় ভিক্ষুদের নতুন চীবরদান করা হচ্ছে সে বিষয়ে খবর নিয়ে বেড়াতেন। আহারের ক্ষেত্রে তাঁর কোনও চক্ষুলজ্জা ছিল না। একবারের জায়গায় দু'বার চাইতে কুণ্ঠিত হতেন না তিনি। কয়েকজন হিতৈষী ভিক্ষুবন্ধু তাঁর প্রতি অনুকম্পাবশত শাস্তা বুদ্ধকে সব কথা জানালেন। ভিক্ষু বড় লোভী। তথাগতের ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি খেলে যায়। তিনি ভিক্ষুকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কী হে ভিক্ষু, তুমি কি সত্যিই লোভী? একটা চীবরে তুষ্ট নও?'

বুদ্ধের সম্মুখে লোভী ভিক্ষু নতদৃষ্টি হয়ে কেবল অভিযোগের সত্যতা সম্বন্ধে সম্মতি জানালেন।