হিমাচলের জগৎসুখ হয়ে শানগড়
Bhraman|April 2024
মানালি থেকে আপেল বাগানে ঘেরা নিরালা গ্রাম জগৎসুখ। জগৎসুখ থেকে নাগ্গার বেড়িয়ে সেঞ্জ উপত্যকার রোপা গ্রাম পেরিয়ে প্রাচীন গ্রাম শানগড়। অরণ্য, ঝরনা, বুগিয়াল, মন্দির, সরল পাহাড়ি মানুষজন আর আকাশ-জোড়া তুষারশৃঙ্গ নিয়ে শানগড় গ্রাম মনে থেকে যায়।
লেখা: সঙ্গীতা চক্রবর্তী ছবি: শান্তনু চক্রবর্তী
হিমাচলের জগৎসুখ হয়ে শানগড়

দি ল্লির কাশ্মীরি গেট থেকে সন্ধের বাতানুকূল বাসে চণ্ডীগড় হয়ে মানালি আসতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা সময় লাগল । তখনও আকাশে আলো ফোটেনি। একটা গাড়ি ভাড়া করে চলে এলাম আরও এক নির্জন ঠিকানায়— জগৎসুখ। রাস্তার পাশেই গঞ্জ। তিন বন্ধু উঠলাম একটি হোমস্টেতে।

আকাশ একটু ফরসা হতেই প্রকৃতিদর্শন হল। মাইলের পর মাইল জুড়ে শুধুই আপেলবাগান । মাঝে মাঝে কিছু ঘরবাড়ি। আকাশের প্রান্তসীমায় তুষারধবল শৃঙ্গেরা। আলুর পরোটা দিয়ে প্রাতরাশ সেরে হোমস্টের বাইরে এলাম। বেজায় ঠান্ডা। পর্যটকদের ভিড় নেই। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে হিমাচলের সাবেকি কাঠকোনা শৈলীর কাঠের বাড়ির সংখ্যা বেশ কমে গিয়েছে। এখন সবই কংক্রিটে বানানো।

শর্বরী মাতার মন্দিরটি দেখে নিলাম । এখানকার অর্জুন গুহাও বেশ বিখ্যাত। কথিত আছে, এখানে অর্জুন শিবের আরাধনা করেন, শিবকে তুষ্ট করে পাশুপত অস্ত্র লাভ করেন। যদিও মন্দিরে পূজিত হন শ্রীকৃষ্ণ ।

হোমস্টের মালিক বিকাশবাবুর নিজেরও বেশ কয়েক বিঘা আপেল বাগিচা আছে। বাড়ির পিছন দিকে নেমে যাওয়া অপরিসর রাস্তা ধরে নিয়ে গেলেন বাগানে। কাঁটাতারের দরজার ওপাশে মাঝারি উচ্চতার সব গাছ আপেলের ভারে ঝুঁকে আছে। হিমাচলের লাল আপেল তিন ধরনের। গোল্ডেন আপেলের খেত অবশ্য আলাদা। এখানে আপেল পাড়া নিষিদ্ধ কিনা জানি না। তাই কেবল আপেলের ছবি তুলে চলেছি। বিকাশবাবু বললেন, পাড়তেও পারেন। বেশ কয়েকটা আপেল পেড়ে কামড় বসালাম। খুবই মিষ্টি।

বিকাশবাবুর বাগান পেরিয়ে যত এগনো যায়, ততই পথের দু'পাশ জুড়ে আপেল বাগানের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। যেখানে বাগান শেষ, সেখান থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে নীচে সমতল খাদ। মানালিকে দেখা যাচ্ছে। নদীর ধ্বংসলীলার কিছু ছাপ এখনও দগদগে। অন্য দিকে, এখান থেকে আপেল বাগিচা আর উপরের জগৎসুখকেও চমৎকার দেখাচ্ছে। বিভোর হয়ে ছবি তুলছি, হঠাৎ দেখি বিকাশবাবু ছুটে আসছেন। কাছে এসে হাঁফাতে হাঁফাতে বললেন, ‘অনেক বাগান মালিক বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য পোষা শিকারি কুকুরদের ছেড়ে রাখে, একা আগন্তুক দেখতে পেলেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে। কাজেই সাবধান!”

ঝলমলে রোদ্দুর মাখা দিন। হিমেল বাতাস বইছে। মানালি থেকে জগৎসুখ হয়ে রাস্তা গিয়েছে নাগারে। হিমাচল পর্যটন দপ্তরের লোকাল বাস যায়। এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে বেশ কিছু বসতি। বসতির নীচে ধাপে ধাপে নেমে গিয়েছে আপেলখেত।

Diese Geschichte stammt aus der April 2024-Ausgabe von Bhraman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

Diese Geschichte stammt aus der April 2024-Ausgabe von Bhraman.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

WEITERE ARTIKEL AUS BHRAMANAlle anzeigen
পাসিঘাট থেকে আলো হয়ে মেচুকা-দোর্জেলিং
Bhraman

পাসিঘাট থেকে আলো হয়ে মেচুকা-দোর্জেলিং

অরুণাচলের সিয়াং নদীর তীরের পাসিঘাট থেকে ইয়োমগো চু-র তীরের আলো। আলোতে দুটি রাত কাটিয়ে ইয়ারগাপ চু-র তীরের মেচুকা। ৪০০ বছরের পুরনো গুম্ফা থেকে দেখা বিস্তীর্ণ মেচুকার রূপটি মনে রয়ে যাবে। চোখে পড়ে যেতে পারে ইয়ারগাপ চু-র তীরে ঘোড়ার পালের হঠাৎ ছুটে চলাও । যাওয়া চলে বর্ষা বাদে সারা বছর।

time-read
10+ Minuten  |
February 2025
উপকূল পথে কোনারক থেকে প্ৰয়াগি লাইট হাউস
Bhraman

উপকূল পথে কোনারক থেকে প্ৰয়াগি লাইট হাউস

কোনারক থেকে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ধরে প্রয়াগি সৈকত। পথের বেশিটাই পদযাত্রা। তবে, যে নদীগুলি বঙ্গোসাগরে এসে পড়েছে, নৌকো করে সে সব নদীর মোহানা পেরিয়ে আবার সমুদ্রতীর ধরে চলা । এই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের এই উপকূল যাত্রায় কোথাও পথশ্রম লাঘব করেছে অটোও। শীতকালই উপকূলযাত্রার উপযুক্ত সময়।

time-read
9 Minuten  |
February 2025
সবচেয়ে বড় প্রজাপতি
Bhraman

সবচেয়ে বড় প্রজাপতি

বিশ্বে প্রায় ১৭,৫০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কুইন আলেকজান্দ্রাস বার্ডউইং। এটি ১৯০৬ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং মূলত পাপুয়া নিউ গিনির রেন ফরেস্টে পাওয়া যায়। স্ত্রী প্রজাপতিদের ডানার বিস্তার ২৮ সেমি-এর বেশি, আর পুরুষদের প্রায় ২৭ সেমি। তবে আবাসস্থল সংকোচনের কারণে এরা এখন বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

time-read
1 min  |
February 2025
নীলনদের তীরে
Bhraman

নীলনদের তীরে

পিরামিডের শহর গিজা থেকে শুরু হল ট্যুরিস্ট ট্রেনে সফর। নীলনদের তীর ধরে ট্রেন চলল। পরদিন সকালে পৌঁছল আসওয়ান। ফিলেই ফেরিঘাট থেকে মোটরবোট ছুটল আজিলকিয়া দ্বীপে। সেখানে প্রাচীন ফিলেই মন্দির দেখে ওবেলা নীলনদের ধারের বর্ণময় নুবিয়ান গ্রাম ঘার্ব সোহিল ভ্রমণ ।

time-read
6 Minuten  |
February 2025
লুকোনো হ্রদেদের গ্রাম মাওফানলুর
Bhraman

লুকোনো হ্রদেদের গ্রাম মাওফানলুর

হ্রদেদের রাজ্য মাওফানলুরের কাছেপিঠেই ঢেউ খেলানো ঘাসের উপত্যকা মারখাম, কিনসি নদীর ওয়েনিয়া ঝরনা হয়ে ঝরে পড়া, কিনসির নদী-দ্বীপ নংখনম। শিলং থেকে মাওফানলুর যেতে ঘন্টাতিনেক সময় লাগে।

time-read
4 Minuten  |
February 2025
ঘুমপাড়ানি পাহাড়ি গাঁ মানেদাঁড়া
Bhraman

ঘুমপাড়ানি পাহাড়ি গাঁ মানেদাঁড়া

রুংডুং নদীর ধারে অচিন গাঁ মানেদাঁড়া। রুংডুং আর পাখপাখালির কলতান যেন মানেদাঁড়ার আবহসংগীত।

time-read
3 Minuten  |
February 2025
কাশ্মীর সীমান্তে করনা উপত্যকার টিটওয়াল
Bhraman

কাশ্মীর সীমান্তে করনা উপত্যকার টিটওয়াল

এপারে ভারত, ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে কিষেণগঙ্গা নদী। করনা উপত্যকার টিটওয়াল গ্রাম ভ্রমণ এই জুনে।

time-read
5 Minuten  |
February 2025
লালগঞ্জের নিরালা সৈকতে
Bhraman

লালগঞ্জের নিরালা সৈকতে

সপ্তাশেষের ছোট্ট ছুটিতে চিরচেনা বকখালি ফ্রেজারগঞ্জের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন অচেনা লালগঞ্জ সৈকত।

time-read
4 Minuten  |
February 2025
লুকনো এক দানব আগ্নেয়গিরি
Bhraman

লুকনো এক দানব আগ্নেয়গিরি

পুহাহোনু, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি, প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে লুকিয়ে রয়েছে। এটি মৌনা লোয়ার দ্বিগুণ আকারের হলেও বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয়। সাগরের ওপরে এর ছোট দুটি শিলা ‘গার্ডনার পিনাকলস’ মাত্র ১৭০ ফুট উঁচু, কিন্তু নিচে বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। একসময় এটি পৃথিবীর উষ্ণতম অগ্ন্যুৎপাত সৃষ্টি করেছিল, যার তাপমাত্রা ছিল ৩,০৯২°F!

time-read
1 min  |
February 2025
বছর চল্লিশ আগে স্কুল থেকে একবার বন্ধুরা মিলে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর ও শুশুনিয়ায় শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেই সুখস্মৃতি আজও অমলিন। বহু বছর পর সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে স্কুলজীবনের পাঁচ বান্ধবী আবার একত্রিত হয়েছি। স্থির করেছি সংসার থেকে দিন তিনেকের ছুটি নিয়ে আমরা পাঁচজন আবার বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া বেড়াতে যাব। এই দুই জায়গায় কি রাজ্য পর্যটনের থাকার কোনও ব্যবস্থা আছে?
Bhraman

বছর চল্লিশ আগে স্কুল থেকে একবার বন্ধুরা মিলে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর ও শুশুনিয়ায় শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেই সুখস্মৃতি আজও অমলিন। বহু বছর পর সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে স্কুলজীবনের পাঁচ বান্ধবী আবার একত্রিত হয়েছি। স্থির করেছি সংসার থেকে দিন তিনেকের ছুটি নিয়ে আমরা পাঁচজন আবার বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া বেড়াতে যাব। এই দুই জায়গায় কি রাজ্য পর্যটনের থাকার কোনও ব্যবস্থা আছে?

গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https://registrationandtouristcare.uk.gov.in এই লেখাটি যখন প্রস্তুত হচ্ছে, তখন বদ্রীনাথে জি এম ভি এন-এর হোটেল দেবলোক এবং বদ্রীনাথ যাত্রী নিবাস এই দু'টি অতিথিনিবাসের বুকিং বন্ধ রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে বুকিং চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গাড়োয়াল মন্ডল বিকাশ নিগমের তরফ থেকে ‘ভ্রমণ’কে জানানো হয়েছে

time-read
4 Minuten  |
February 2025