ভারতের উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে বড় এই রাজ্যটির মূল আকর্ষণই হল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। চিন, ভুটান ও মায়ানমারের সীমানা ঘেঁষা সবুজ পর্বত, নদী, অরণ্য, হ্রদ, রুক্ষ পার্বত্য অঞ্চল, ২৬টি প্রধান জাতি এবং প্রায় ১০০ উপজাতির মানুষ নিয়ে অপূর্ব সুন্দর এই দুর্গম রাজ্য। এই রাজ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় মহাভারত, পুরাণ সহ প্রাচীন কাব্য ও ইতিহাসে। প্রাচীনতার সারল্য এবং অনাঘ্রাত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যাদের প্রিয় তারা একটুআধটু পরিকাঠামোগত অসুবিধা সহ্য করতে পারলে ঘুরে দেখতে পারেন এই অপূর্ব রাজ্যটিকে। প্রকৃতির সান্নিধ্যপ্রেমী মানুষদের এ সত্যি এক স্বর্গ। একটু পরিকল্পনা মাফিক ঘুরলে অনায়াসে দেখে নেওয়া যায় অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছুটা অংশ।
ভালুকপং-বমডিলা-দিরাং-সেলা পাস-তাওয়াং সমগ্র অরুণাচলের পথঘাটের অবস্থা বেশ খারাপ হলেও সব মিলিয়ে এই পশ্চিম অংশের পরিকাঠামো অন্য অংশের থেকে ভালো। কলকাতা থেকে বিমানে বা রেলগাড়িতে গুয়াহাটি এসে, সেখান থেকে গাড়িতে ঘণ্টা পাঁচেকে পৌঁছনো যায় তেজপুর। এটি বেশ বড় জনপদ। রয়েছে বেশ বড় বাজার, বাস, জিপ স্ট্যান্ড, অফিস-কাছারি ও নাগরিক নানান সুযোগ সুবিধা এবং নানান দাম ও মানের হোটেল। কিছু শুকনো খাবারদাবার এবং শেষ মুহূর্তের কিছু দরকারি ওষুধপত্র কিনে নিতে পারেন। পরবর্তী পথের জন্য গাড়ি ভাড়া এখান থেকেই করে নিন। এছাড়াও গুয়াহাটি থেকে দেখে, বুঝে গাড়ি ভাড়া করা যেতে পারে। ভালো করে বুঝিয়ে বলতে হবে ভ্রমণসূচি। সেক্ষেত্রে তেজপুরে না থেকে সহজেই এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে পশ্চিম কামেং জেলার ভালুকপং পর্যন্ত। তেজপুর থেকে তাওয়াং পর্যন্ত রুটের গাড়িও চলে। পরদিন সকালে তেজপুরের হোটেল থেকে প্রাতরাশ সেরে রওনা হোন ভালুকপংয়ের দিকে। জিয়াভরলি নদীর তীরে আসাম ও অরুণাচলের সীমানায় একটি ছোট গঞ্জ ভালুকপং। এখানে ইনার লাইন পারমিট চেক করা হয়। একটু সময় নিয়ে ঘুরে আসা যায় নদীতীর থেকে। নুড়িপাথর বিছানো প্রশস্ত নদীখাতের দৃশ্য সুন্দর। রাতে থাকলে ভোর আর সন্ধেয় এখান থেকে নড়তে মন চাইবে না। এখান থেকে কিলোমিটার পাঁচেক দূরে
Diese Geschichte stammt aus der July 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der July 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
বসন্তে মানাং
নেপালের বেসিশহর থেকে মার্সিয়াংদি নদীর তীর ধরে মানাং ৯৮ কিলোমিটার। এখন ফোর হুইল গাড়িতে পৌঁছনো যায়। যাত্রাপথের আকাশ জুড়ে নামি নামি তুষারশৃঙ্গ আর মার্সিয়াংদির বয়ে চলা নিবিড়ভাবে দেখতে চাইলে মাঝপথে খানিক আনন্দময় পদযাত্রাও করতে পারেন। বসন্তে মানা গেলে ফোটা ফুলের শোভা বাড়তি পাওনা।
কর্ণাবতীর পাড়ে
কর্ণাবতী বা কেন নদী বয়ে গেছে পান্না অরণ্যের মধ্য দিয়ে। ঘন সবুজ বন, নীল নদী, পাথুরে নদীতট, গভীর গিরিখাত, ঝরনা আর অরণ্যের রাজা-প্রজাদের নিয়ে পান্নার জঙ্গলের কোর অঞ্চল খোলা থাকে অক্টোবর থেকে জুন। বাফার অঞ্চলে যাওয়া চলে বছরভর। খাজুরাহো থেকে পান্না ৩০ কিলোমিটার।
পৌষ সংক্রান্তির শিলাই পরব
পুরুলিয়ার হুড়া থানার বড়গ্রামে শিলাই নদীর উৎপত্তি। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে নদীর উৎসস্থলে বসে টুসু বিসর্জনের মেলা। এবারের শিলাই পরব শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি।
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস