আলোর উৎসব ভরে উঠুক ভালোবাসায়

চাইলে আপনিও পারেন প্রতিটি আলোর উৎসবকে আরও বর্ণময় এবং স্মরণীয় করে রাখতে। কিন্তু কীভাবে আপনি ভবিষ্যতের সুখ-শান্তি নিশ্চিত করবেন, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন রঞ্জন দে।

কথায় বলে, ‘যদি ভালোবাসার আলোয় হৃদয় আলোকিত হয়, তাহলে আলোর উৎসব হয়ে ওঠে আরও বর্ণময়৷' বিক্রম এবং অমৃতাও এই বিষয়টি গভীর ভাবে উপলব্ধি করেছিল বিয়ের পর প্রথম আলোর উৎসবে। বিক্রমের চোখে অমৃতা চোখ রাখতেই বিক্রম বলেছিল, ‘আজ আকাশ থেকে চাঁদ নেমে এসেছে আমার উঠোনে।' উত্তরে অমৃতা জানিয়েছিল, ‘তুমি এতদিন যেভাবে চাঁদকে যত্ন নিয়ে আগলে রেখেছ, আজ মনে হচ্ছে, তোমার সঙ্গে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।' পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার এই উপলব্ধি, বিক্রম এবং অমৃতার হৃদয় আলোকিত করেছিল। তাই তারা বিয়ের পর প্রথম আলোর উৎসবে মেতে উঠেছিল দ্বিগুন আনন্দে এবং বিবাহিত জীবনকে করে তুলেছিল আরও সার্থক।

দাম্পত্য জীবনের প্রথম আলোর উৎসবকে বিক্রম এবং অমৃতা যেমন স্মরণীয় করে রেখেছে, চাইলে আপনিও পারেন প্রতিটি আলোর উৎসবকে আরও বর্ণময় এবং স্মরণীয় করে রাখতে। এর জন্য পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সঠিক বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, বিশ্বাস এবং আস্থা রাখা চাই। আর চাই সহানুভূতি, প্রশংসা এবং কোমল ব্যবহার। নয়তো, দাম্পত্য সুখ অধরাই থেকে যাবে। কারণ, দাম্পত্য জীবনের সুখশান্তি দাঁড়িয়ে থাকে একটা সরু সুতোর উপর।

সম্মান আদান-প্রদান সত্যি বলতে কী, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভিত মজবুত এবং সুন্দর হবে তখনই, যখন পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা, সম্মান প্রদর্শন এবং কেয়ারিং মনোভাব থাকবে। এই সব ছোটোছোটো শব্দগুলোকে গুরুত্ব সহকারে মেনে নিয়ে প্রয়োগ করলে ম্যাজিকের মতো হাতে আসবে দাম্পত্য সুখ। মনে রাখবেন, আপনি যদি আপনার জীবনসঙ্গীকে সঠিক সম্মান দেন, তাহলে আপনিও বিনিময়ে পাবেন সম্মান এবং ভালোবাসা। আর যদি বিশ্বাস, আস্থা, সম্মান প্রদর্শন, যত্ন নেওয়া প্রভৃতি বিষয়গুলো একতরফা